‘বুঝতে পারিনি কীভাবে রিঅ্যাক্ট করব’:রোহিতের সঙ্গে ‘অবাক’ বাক্যলাপ প্রসঙ্গে অশ্বন
শুভব্রত মুখার্জি: মোহালিতে লঙ্কানদের বিরুদ্ধে প্রথম টেস্টে এক ইনিংস এবং ২২২ রানে বড় ব্যবধানে জয় পেয়েছে রোহিত শর্মার নেতৃত্বাধীন ভারতীয় দল। ম্যাচের পরের দিন প্রাতরাশের টেবিলে একসঙ্গে বসেছিলেন ভারতীয় ক্রিকেটাররা। সেখানেই অধিনায়ক রোহিত শর্মা এবং তারকা অফ স্পিনার রবিচন্দ্রন অশ্বিনের মধ্যে এক ‘অবাক’ করা বাক্যলাপ হয়েছিল। সেকথাই সামনে আনলেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। প্রসঙ্গত রবিচন্দ্রন অশ্বিন ভারতের টেস্ট ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উইকেট সংগ্রাহক। লঙ্কানদের বিরুদ্ধে সিরিজে মোহালির প্রথম টেস্টেই শ্রীলঙ্কার দ্বিতীয় ইনিংসে চারিথ আসালাঙ্কাকে আউট করে অশ্বিন, কপিলদেবকে টপকে ভারতীয় টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উইকেট সংগ্রাহক হয়েছেন। ম্যাচ শেষে ভারতীয় টেস্ট দলের সদ্য অধিনায়ক রোহিত শর্মা প্রশংসায় ভরিয়েছেন অশ্বিনকে।
অধিনায়ক রোহিত এই ভূয়সী প্রশংসার পাশাপাশি অশ্বিনের সঙ্গে ব্রেকফাস্ট টেবিলে এক দীর্ঘ আলোচনা করেন। ৩৫ বছর বয়সি ভারতের অন্যতম সেরা লেগ স্পিনার সম্বন্ধে রোহিত ম্যাচ শেষে বলেছিলেন ‘আমার চোখে ও (অশ্বিন) সর্বকালের সেরা একজন। দীর্ঘদিন ধরে ও ভারতের হয়ে খেলছে শুধু নয় ধারাবাহিকভাবে পারফরম্যান্স করছে। মানুষের আলাদা চিন্তাধারা থাকতেই পারে তবে আমি যে জায়গাটা থেকে জিনিসটা দেখছি তাতে করে অশ্বিন আমার চোখে বিশ্বের অন্যতম সেরা ক্রিকেটার।’
বিসিসিআইয়ের সঙ্গে সম্প্রতি এক বার্তালাপে রোহিতের কমেন্টের বিষয়টি উত্থাপন করা হয়। অশ্বিন জানান ‘আমি জানি না আমি রোহিতকে কী বলব। প্রশংসা গ্রহণ করার ক্ষেত্রে আমি অত্যন্ত খারাপ। আমি ঠিক জানি না বিষয়টিতে আমি কিভাবে রিঅ্যাক্ট করব। নিজেকে ঠিক কোন জায়গায় রাখব। আমি জানি না আমি এই প্রশংসা কীভাবে গ্রহণ করব। কিছু সময় আমি আবেগপ্রবণ হয়ে পড়ি। সেই সময় আমি আমার অনুভূতি সঠিককভাবে ব্যাখ্যা করতে পারি না। রোহিত প্রেস কনফারেন্সে আমার অকুন্ঠ প্রশংসা করেছে। আমার কাছে বিষয়টি ভীষণ ভাল লেগেছে।’
অধিনায়ক রোহিত প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে অশ্বিন জানান ‘আমরা সবাই জানি ট্যাকটিক্যালি অধিনায়ক রোহিত শর্মা কতটা শক্তিশালী। অত্যন্ত মানবিকভাবে ও দলকে নেতৃত্ব দেয়। দলের প্রত্যেককে ও সমানভাবে গুরুত্ব দেয়। প্রত্যেকে কি মনে করছে সেটাকে ও গুরুত্ব দেয়। প্রত্যেককে ও আলাদা করে আত্মবিশ্বাস জুগিয়েছে।’
For all the latest Sports News Click Here