বুক ঢাকায় সঞ্জয়ের উপর তেলেবেগুনে জ্বলে ওঠেন অমিশা, চোকাতে হয়েছিল ‘চরম মূল্য’

সদ্যই দ্বিতীয়বারের জন্য বাবা হয়েছে ডেবিড ধাওয়ান পুত্র রোহিত ধাওয়ান। ২০১২ সালে রোহিত ধাওয়ানের সংগীত অনুষ্ঠানের আসর বসেছিল গোয়ায়। ধাওয়ান পরিবারের এই বিয়ের আসরে যোগ দিতে গোয়ায় হাজির ছিলেন সঞ্জয়, মান্যতা দত্ত, অমিশা-সহ আরও অনেকে।  সেখানেই মাত্রাতিরিক্ত বোল্ড পোশাক পরেছিলেন ‘রেস’ অভিনেত্রী। সেই থেকেই সূত্রপাত ঝামেলার। 

টাইমস অফ ইন্ডিয়াকে ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ইন্ডাস্ট্রির এক মানুষ জানিয়েছিল, সঞ্জয় দত্ত খুব পুরোনো ধ্যান-ধারণার মানুষ। মেয়েদের খুব বেশি খোলামেলা পোশাক পরা নাকি পছন্দ করেন না সঞ্জু, তাই খুব শান্তভাবেই আমিশাকে তিনি বলেছিলেন, ‘আমি তোমাকে বোনের চোখে দেখি, তুমি এমন পোশাক পরবে না’। এরপর নিজের হাতে অমিশার ওড়না দিয়ে তাঁর বক্ষযুগল ঢেকে দিয়েছিলেন সঞ্জয়’। তারপর কী ঘটেছিল? ওই সূত্র জানায়, সঞ্জয় দত্ত এক্কেবারেই উপলব্ধি করেননি এই বিষয়টা নিয়ে ‘সিন ক্রিয়েট’ করবেন। অমিশা ওড়না খুলে ফেলে দিয়ে সঞ্জয় দত্তের উপর চিত্কার শুরু করেন। অমিশা পালটা প্রশ্ন করেন, ‘তুমি কে? আমাকে এই সব জ্ঞান দেওয়ার? এই বিষয়ে সঞ্জয়ের নাক গলানো সাজে না, ইত্যাদি..’।  সঞ্জয়ের বিরুদ্ধে দুর্ব্যবহারের অভিযোগ আনেন অমিশা। 

এরপর সেইমুহূর্তেই সংগীতের আসর ছেড়ে বেরিয়ে আসেন সঞ্জয়-মন্যতা। পরদিন মুম্বইয়ে ফিরে আসেন ‘মুন্নাভাই’।  অনেকেই অমিশাকে থামাতে চেয়েছিল, কিন্তু কথা শোনেননি অভিনেত্রী। কিন্তুর এক মারাত্মক ফল ভুগতে হয়েছিল অমিশাকে। ঝামেলার জন্য অমিশার সঙ্গে কাজ করতে রাজি ছিলেন না সঞ্জয়, তার ফলস্বরূপ ডেভিড ধাওয়ান ও প্রিয়দর্শনের ছবি থেকে বাদ পড়েন অমিশা। 

পরে অবশ্য বিষয়টা ধামা চাপা দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন অমিশা। কিন্তু ততক্ষণে ঝগড়ার ব্যাপারটা জানাজানি হয়ে গিয়েছে। টাইমস অফ ইন্ডিয়াকে আমিশা বলেছিলেন, ‘মোটেই এমন কিছু ঘটেনি। সঞ্জয় আমার ঘনিষ্ঠ বন্ধু, উনি আমার সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করতেই পারেন না। আমাকে কেউ ছুঁলে সঞ্জয় তাঁকে নিজেই মেরে ফেলবে। আমাকে একটা মাছিও ছুঁতে পারবে না সঞ্জয় পাশে থাকলে। এগুলো খুবই নোংরা গুজব। দুর্ব্যবহারের মতো কোনও ঘটনাই ঘটেনি’।