‘বীথি মাসি’ হল মৌ-এর মা! ২৭ বছর পর ‘মৌঝর’-এর ছেলের বিয়ের আমেজে শেষ মেয়েবেলা
শুক্রবার শেষবারের মতো ‘মেয়েবেলা’র অন্তিম পর্ব দেখা যাবে পর্দায়। হটস্টারের সুবাদে শেষ এপিসোডের ইতিমধ্যেই প্রকাশ্যে এসেছে। কেমনভাবে শেষ হবে ‘মেয়েবেলা’, কী চমক থাকছে সেই নিয়ে তো আগেই হিন্দুস্তান টাইমস বাংলার পাঠকদের আভাস দিয়েছিলাম, এবার বিস্তারিত জেনে নিন ‘মেয়েবেলা’র শেষদিন কী কী ঘটল। আরও পড়ুন-‘বিয়ের পরেও ডোডোদা বলেই ডেকেছি’, রূপা-বিতর্ক থেকে অর্পণের সঙ্গে রসায়ন, অকপট ‘মেয়েবেলা’র মৌ
মেসো-র বিরুদ্ধে কোর্টে কেস জিতে মিত্র বাড়িতে ফেরে মৌ আর ডোডো। বাড়ি ফিরে বিথী মাসি-কে মা বলে সম্বোধন করে মৌ। কথা দেয়, ‘আমি তোমাকে সারাজীবন আগলে রাখব’। মিত্র বাড়ির নীচের তলাটা বিক্রি করে দেওয়ায় মৌ-এর কোনও হাত ছিল না, সেই কলঙ্ক মুছতে মৌ-এর পাশে চুপিসাড়েই থেকেছে বীথিকা, সে-কথা জানতে পেরে বীথিকে বুকে টেনে নেয় ‘আম্মা’। শাশুড়ি-বউমার মধুর মিলনের পরেই ২৭ বছর এগিয়ে যায় ‘মেয়েবেলা’র গল্প।
মিত্র বাড়িতে বাজছে বিয়ের সানাই। চোখে মোটা ফ্রেমের চশমা, খোঁপা বাঁধা চুল, হালকা রঙা শাড়িতে বয়স্কা লুকে দেখা মিলল মৌ-এর। আর হালকা পাকা চুল, গোঁফ আর চশমা চোখ দেখা মিলল ডোডোর। পরনে সাদা পাঞ্জাবি আর চোস্তা। গত ২৭ বছরে কী কী ঘটেছে মিত্র পরিবারের সদস্য়দের সঙ্গে সেই গল্প দর্শকদের সঙ্গে এদিন ভাগ করে নিল মৌ। জানাল আম্মা আর বড়মা আর তাদের মাঝে নেই। শেষ বয়সে ছেলের কাছে আমেরিকায় গিয়ে থাকার সৌভাগ্য হয়েছিল বড়মার। অন্যদিকে টিটো বিয়ে করেছে, পাত্রীও খুব চেনা। পিউয়ের সঙ্গেই সংসার টিটোর, দু-বার পরস্পরকে ডিভোর্স দিয়ে সদ্য় তিন নম্বরবার বিয়ে করেছে তাঁরা। টিকলি পুরুলিয়ার আদিবাসীদের উন্নয়নে কাজ করছে, সেখানেই থাকে। সেজকা আর সেজকাম্মা এখন আলাদা বাড়িতে থাকে, বাড়ি তৈরির স্বপ্ন পূরণ হয়েছে তাঁদের। ছোটকা বাড়ি ছেড়েছে, সে-ভাবে কারুর সঙ্গে যোগাযোগ না রাখলেও টিকলির সঙ্গে যোগাযোগ অটুট। পিপি আর ছোটপিসা দুই যমজ সন্তান দত্তক নিয়েছে- রং আর তুলি। গুঞ্জা আর অয়নের বিয়েটা হয়নি, তবে নিজের পায়ে দাঁড়িয়ে মেয়েকে মানুষ করেছে গুঞ্জা।
মৌ-এর মশাই কোথায় কেউ জানে না। মানি ছেলের সঙ্গে মুম্বইতে থাকে, জানায় মৌ। শেষ এপিসোডে মৌ,ডোডো আর তাঁদের ছেলে ডিডো (নির্মোহ) ছাড়া মিত্র পরিবারের কাউকেই দেখা যায়নি। মৌ-ডোডোর খুনসুটির ঝলকও উঠে এল। এখনও ডোডোদা বলেই স্বামীকে সম্বোধন করে মৌ। নির্ঝরকে বলতে শোনা গেল, ‘তুই কিন্তু আগে এত কথা বলতিস না মৌ, যত বয়স বাড়ছে তত তোর বকবক বাড়ছে’।
ডোডোর ছেলে তাঁর প্রতিচ্ছবি। যেমনটা জানিয়েছিলাম, অর্পণ ঘোষালকেই দেখা গিয়েছে নির্মোহ রূপে। টর্নড জিনস, লেদার জ্যাকেট আর হেলমেট পরে একদম শেষ দৃশ্যে ‘বাইকার’ লুকে এন্ট্রি নেয় ডিডোর। ছেলের সঙ্গে সবার পরিচয় করিয়ে দেয় মৌ, ব্যাকগ্রাউন্ডে ভেসে ওঠে ‘মেয়েবেলা’র টাইটেল ট্র্যাক। এখানেই ‘হ্যাপি এন্ডিং’ মৌ-ডোডোর গল্পে।
মাত্র পাঁচ মাসে সিরিয়াল শেষ হওয়ায় খানিক মন খারাপ ভক্তদের। তবে একটা চটজলদি হলেও গল্পের একটা সুন্দর সমাপ্তি হয়েছে ভেবেই খুশি একাংশ, আবার কোনও কোনও ভক্তের মতে। ২৭ বছরের লিপ দেখানোর কোনও দরকার ছিল না। মৌ-ডোডোর মিল দেখিয়েই শেষ করা যেত ‘মেয়েবেলা’।
For all the latest entertainment News Click Here