বিয়ে করার ঘোর বিরোধী ছিলেন কাজল, কীভাবে ‘সিংঘম’কে দেখে পাল্টেছিল তাঁর সেই ধারণা?
কোনওদিনই বিয়ে করে সংসার পাতার তেমন স্বপ্ন দেখেননি কাজল। বলা ভালো, বিয়ে করতে না চাওয়ায় বিশ্বাসী ছিলেন তিনি। উঁহু, অন্য কেউ নয়, নিজের মুখে একথা জানিয়েছেন স্বয়ং কাজল! কিন্তু এক লহমায় তাঁর এইসব ধারণা পাল্টে গেছিল অজয় দেবগণের সঙ্গে সম্পর্কে যাওয়ার পর। অজয়ের ব্যক্তিত্বের স্থিরতা ও গাম্ভীর্য তাঁকে আশ্বাস জুগিয়েছিল বিয়ের প্রতি।
সম্প্রতি, টুইক ইন্ডিয়ার জন্য কাজলের সাক্ষাৎকার নিচ্ছিলেন টুইঙ্কল। সেখানেই গল্প-আড্ডার ফাঁকে কাজল কবুল করেন তিনি কোনওদিনই বিয়ে নাম বিষয়টায় তেমন বিশ্বাসী ছিলেন না। বলি-অভিনেত্রীর কথায়, ‘এতটাই অপছন্দ ছিল যে মনে মনে ভাবতাম মাথায় বন্দুক না ঠেকিয়ে ধরলে বিয়ের পিঁড়িতে বসবই না। এতটাই বিয়ে সমন্ধে বিতৃষ্ণা ছিল আমার। কিন্তু অজয়ের সঙ্গে আলাপ হওয়ার পর ধীরে ধীরে সেই সমস্ত ধারণা স্রেফ উবে গেল। এত ঠান্ডা প্রকৃতির মানুষ ও, তারপর ওরকম নম্র স্বভাব। সবমিলিয়ে কোথাও একটা ভরসা পেয়েছিলাম। নিজেও অনেক শান্ত হয়েছিলাম। ভীষণভাবে মনে হয়েছিল হাজার কিছুর পরেও এই অমানুষটা আমাকে কোনওদিনও ছেড়ে যাবে না। এবং আমার ক্ষেত্রেও তাই, অর্থাৎ যাইই ঘটুক না কেন অজয়কে আমিও কোনওদিনও ছেড়ে যাব না’। বক্তব্য শেষে হেসে কাজলের সংযোজন, ‘ বলতে নেই, তবে আমার মনে হয় জীবনে সঠিক মানুষটির সন্ধান অনেকের তুলনায় বহু আগেই পেয়ে গেছিলাম আমি’।
প্রসঙ্গত , ১৯৯৫ সালে ‘হলচল’ ছবির সেটে এই দুই তারকার প্রথম আলাপ হয়। অবশ্য এঁদের করোও ক্ষেত্রেই ‘লাভ অ্যাট ফার্স্ট সাইট’ বিষয়টি ঘটেনি। প্রথম দেখতে অজয়কে অন্তর্মুখী মানুষ মনে হয়েছিল কাজলের। অন্যদিকে তাঁকে অত্যন্ত বিরক্তিকর ও একগুঁয়ে স্বভাবের মানুষ ভেবে নিয়েছিলেন ‘সিংঘম’। তবে ধীরে ধীরে সেই আলাপ গড়ায় বন্ধুত্বে। সেখান থেকে প্রেম। অবশেষে চার বছর চুটিয়ে প্রেম করার পর ১৯৯৯ সালের ২৪শে জানুয়ারি সাত পাকে বাঁধা পড়েন অজয় এবং কাজল।
For all the latest entertainment News Click Here