বিশ্বকাপে নেই ওয়েস্ট ইন্ডিজ, ব্যর্থতার অতলে তলিয়ে যাওয়ার পাঁচটি কারণে চোখ রাখুন
শনিবার স্কটল্যান্ডের কাছে সুপার সিক্স রাউন্ডের ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজ পরাজিত হওয়া মাত্রই এবারের মতো তাদের বিশ্বকাপ খেলার স্বপ্ন জলাঞ্জলি দিতে হয়। দেখে নেওয়া যাক কোন কোন কারণে ব্যর্থতার অতলে তলিয়ে গেল ২ বারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা।
১. চূড়ান্ত খারাপ ফিল্ডিং: চলতি ওয়ার্ল্ড কাপ কোয়ালিফায়ারে নিজেদের সব থেকে খারাপ ফিল্ডিং দল হিসেবে উপস্থাপন করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। গ্রুপ লিগেই অন্তত ১০টি ক্যাচ মিস করে তারা, যার কয়েকটির বড়সড় মাশুল দিতে হয় ক্যারিবিয়ানদের। গ্রাউন্ড ফিল্ডিংও ছিল নিতান্ত দৃষ্টিকটু।
ম্যাচ হারতে না হলেও শূন্য রানে আমেরিকার গজানন্দ সিংয়ের ক্যাচ ছাড়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। গজানন্দ শেষমেশ ১০১ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন। জিম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে ৫টি ক্যাচ মিস করে ম্যাচ হারে ক্যারিবিয়ানরা। ১ ও ৩ রানে সিকন্দর রাজার ২টি ক্যাচ মিস করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। রাজা ৬৮ রানের ইনিংস খেলে ক্যারিবিয়ান শিবিরে জোরালো ধাক্কা দেন।
এমনকি সুপার সিক্সেও ক্যাচ মিসের রোগ সারেনি ওয়েস্ট ইন্ডিজের। স্কটল্যান্ডের বিরুদ্ধে ১৮১ রানের পুঁজি নিয়ে শুরুতেই ১টি উইকেট তুলে নেয় তারা। তবে ম্যাকমুলেন যখন ২১ রানে ব্যাট করছেন, তখন তাঁকে জীবনদান দেন মায়ের্স। ম্যাকমুলেন শেষমেশ ৬৯ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলে ম্যাচ জেতান স্কটল্যান্ডকে।
আরও পড়ুন:- Ashes 2023: হেডের দুরন্ত ক্যাচ ধরে ইংল্যান্ডের হয়ে সর্বকালীন রেকর্ড রুটের, ভেঙে খানখান কুকের নজির- ভিডিয়ো
২. অসুস্থতা ও ভুলভাল প্রথম একাদশ নির্বাচন: ওয়ার্ল্ড কাপ কোয়ালিফায়ারে গুরুত্বপূর্ণ ক্রিকেটারের অসুস্থতা ওয়েস্ট ইন্ডিজ শিবিরকে ভোগায়। ব্রুকস অসুস্থ থাকায় ওপেনার জনসন চার্লসকে শুরুর দিকের ম্যাচগুলিতে তিন নম্বরে ব্যাট করতে নামায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। শাই হোপ নিজে তিন নম্বরের চ্যালেঞ্জ নেওয়ার সাহস দেখাননি।
৩. চোট-আঘাত: ফর্মে থাকা ইয়ানিক কারিয়ার চোটের মাশুল দিতে হয় ওয়েস্ট ইন্ডিজকে। হাসারাঙ্গা-গ্রেভসদের সাফল্যই বুঝিয়ে দেয় কারিয়ার লেগ-স্পিন টুর্নামেন্টে কার্যকরী ভূমিকা নিতে পারত ক্যারিবিয়ানদের হয়ে।
আরও পড়ুন:- বিশ্বকাপের আগেই অশ্বিনকে টিম ইন্ডিয়ার ক্যাপ্টেন হিসেবে দেখতে চাইছেন মিস্টার ফিনিশার
৪. নির্বুদ্ধিতায় সুপার ওভারে হার: নেদারল্যান্ডসের লোগান ভ্যান বিক ৫০ ওভারের লড়াইয়ে ১৪ বলে ২৮ রানের সংক্ষিপ্ত অথচ ঝোড়ো ইনিংস খেলেন। তাঁর বেশিরভাগ শট ছিল প্যাভিলিয়ন প্রান্তের দিক থেকে লেগ-সাইডে। সেদিকের বাউন্ডারির দৈর্ঘ্য ছিল সব থেকে ছোট। অথচ সুপার ওভারে ভ্যান বিককে বল করার জন্য একই প্রান্ত বেছে নেয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। সেই অ্যাডভান্টেজ কাজে লাগিয়ে ভ্যান বিক সুপার ওভারে ৩০ রান সংগ্রহ করে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কফিনে পেরেক পুঁতে দেন।
৫. প্রস্তুতিতে খামতি: কোয়ালিফায়ারের আগে ওয়েস্ট ইন্ডিজ আমিরশাহির বিরুদ্ধে সিরিজ খেলে। তবে কোয়ালিফায়ারের জন্য ঘোষিত ১৫ জনের স্কোয়াডের ৬ জন গুরুত্বপূর্ণ ক্রিকেটার সেই সিরিজে অংশ নেননি। ফলে নতুন কোচিং স্টাফদের অধীনে একজোট হওয়ার সুযোগ হাতছাড়া করেন তারা। স্বাভাবিকভাবেই ঐক্যবদ্ধভাবে পারফর্ম করার কোনও লক্ষণ কোয়ালিফায়ারেও চোখে পড়েনি ওয়েস্ট ইন্ডিজের মধ্যে।
For all the latest Sports News Click Here