বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচেই কামাল, কেন ছোটা হার্দিক বলা হয় পূজা বস্ত্রকারকে?
বীরেন্দ্র সেহওয়াগকে আদর্শ করে ক্রিকেট জীবনে এগিয়েছেন পূজা বস্ত্রকার। মহিলা ক্রিকেটে তাঁর আদর্শ ঝুলন গোস্বামী, মিতালি রাজ এবং অঞ্জুম চোপড়া। তাদের সঙ্গে সাজঘর শেয়ার করে দারুণ অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন পূজা। চলতি বিশ্বকাপে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচেই জয় পেয়েছে ভারত। এই জয়ের জন্য বড় ভূমিকা পালন করেছিলেন পূজা বস্ত্রকার। আটটি চারের সাহায্যে ৫৯ বলে ৬৭ রানের দুরন্ত ইনিংস খেললেন তিনি। আট নম্বরে ব্যাট করতে নেমে পূজার আক্রমণাত্মক ব্যাটিং নজর কেড়েছে ক্রিকেট বিশেষজ্ঞদেরও। ভারতীয় মহিলা দলের প্রিয় ‘ছোটা হার্দিক’-এর পারফরম্যান্সে উচ্ছ্বসিত তাঁর সতীর্থরা। পূজার দুরন্ত বোলিং এবং ব্যাট করার ক্ষমতার জন্যই তাকে ছোটা হার্দিক বলা হয়।
২০১৮ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ভারতের হয়ে একদিনের ম্যাচে অভিষেক পূজার। এখনও পর্যন্ত দেশের হয়ে পূজা খেলেছেন ১৪টি এক দিনের ম্যাচ। দেশের হয়ে দু’টি টেস্ট এবং ২৪টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে পূজার। ২০২১ সালের ১৬ জুন ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে টেস্ট অভিষেক হয়েছে ভারতীয় দলের এই অলরাউন্ডারের। মহিলাদের ঘরোয়া ক্রিকেটে জাতীয় পর্যায়ে খেলছেন ২০১৩ সাল থেকে। অলরাউন্ডার পূজা ডান হাতে ফাস্ট বোলিংও করেন। একদিনের আন্তর্জাতিকে ছয়টি উইকেট রয়েছে তাঁর।
ঘরোয়া ক্রিকেটে মধ্যপ্রদেশের হয়ে খেলেন পূজা। মাত্র ৪ বছর বয়সেই পূজার ক্রিকেটে হাতেখড়ি পাড়ার ছেলেদের সঙ্গে। তখন থেকেই ক্রিকেটের প্রতি ভালোবাসা। বাবুলাল বা বাবলু নামেই তিনি পরিচিত পূজা। প্রথাগত ক্রিকেট শেখার সময় স্থানীয় স্টেডিয়ামে আশুতোষ শ্রীবাস্তবের কাছে শুরু করেন ক্রিকেট শেখা। তিনিই পূজার প্রথম কোচ। আশুতোষ কয়েক দিন নেটে দেখার পর বুঝতে পারেন বড় ক্রিকেটার হওয়ার মশলা রয়েছে পূজার মধ্যে। তার পর থেকেই পূজার দিকে সব সময় বাড়তি নজর রাখতেন আশুতোষ। মাত্র ১০ বছর বয়সে মাকে হারান পূজা। সীমিত আর্থিক সঙ্গতি এবং সাত সন্তানকে বড় করার সঙ্গে সঙ্গেই তাঁর বাবা কনিষ্ঠ সন্তানের ক্রিকেটার হওয়ার স্বপ্নকে উৎসাহ দিয়েছেন সব সময়। বাবা-দিদি সকলেই পূজাকে খেলাধূলার জন্য উৎসাহ দিয়েছেন। ক্রিকেট সরঞ্জাম কেনার জন্য কখনও বাবার উপর চাপ দেননি। খেলে যা টাকা পেতেন তা দিয়েই কিনতেন।
For all the latest Sports News Click Here