বিরাট, রোহিতদের ভাগ্য তাহলে তাঁর হাতে? স্পষ্ট জবাব দিলেন সেহওয়াগ
জাতীয় নির্বাচক প্রধানের পদ থেকে চেতন শর্মা সরে গিয়েছেন প্রায় তিন মাসেরও বেশি সময় হয়ে গিয়েছে। কিন্তু চেতনের জায়গায় কাউকে পাকাপাকি ভাবে বসায়নি ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। অন্তবর্তীকালীন জাতীয় নির্বাচক হিসাবে দায়িত্ব সামলাচ্ছেন শিবসুন্দর দাস। কিন্তু জাতীয় নির্বাচক হিসাবে কাকে দেখা যেতে পারে। তা নিয়ে চলছে রহস্য। ইতিমধ্যেই শোনা গিয়েছে সেই দায়িত্ব নিতে পারেন বীরেন্দ্র সেহওয়াগ। যদিও সেওয়াগ বোর্ডের প্যাকেজে মোটেই খুশি নন। যার কারণে তিনি নির্বাচক প্রধান হওয়ার জন্য আবেদনও করেননি বলে জানা গিয়েছে।
একজন প্রাক্তন ক্রিকেটারকে নির্বাচক হতে গেলে তাঁকে নূন্যতম ১০টি ওডিআই এবং অন্তত পক্ষে ৩০টি প্রথম শ্রেণীর ম্যাচ খেলতে হয়। ফলে সেদিক থেকে সেহওয়াগ যদি আবেদন করে থাকতেন তাহলে তাঁর নির্বাচক প্রধান হওয়ার ক্ষেত্রে আর কোনও রকম সমস্যাও থাকত না। ভারতীয় বোর্ডের অন্দরে কান পাতলে বীরুর নামই শোনা যাচ্ছিল। কিন্তু বোর্ডের প্যাকেজ একেবারেই পছন্দ হয়নি এই কিংবদন্তির।
কারণ সিনিয়র সিলেকশন প্যানেলের চেয়ারম্যান বার্ষিক ১ কোটি আয় করেন এবং অন্য চার সদস্যকে বার্ষিক ৯০ লক্ষ টাকা করে দেওয়া হয়। কিন্তু সেহওয়াগের যা যোগ্যতা সেই অনুযায়ী এটা যে একেবারেই কম তা বলার অপেক্ষা রাখে না। এই মুহূর্তে বীরেন্দ্র সেহওয়াগ বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন। যারা ক্রিকেটের ম্যাচ ভিত্তির বিভিন্ন রকম অনুষ্ঠান আয়োজন করে থাকে।
তবে টাইমস অফ ইন্ডিয়া তাঁর কাছে জানতে চাইলে তিনি তাদেরকে স্পষ্ট জানিয়ে দেন, তিনি এই পদের জন্য আবেদন করেননি। এই মুহূর্তে নির্বাচক মণ্ডলীতে দক্ষিণাঞ্চল থেকে রয়েছেন এস শরৎ। মধ্যাঞ্চলের দায়িত্ব সামলাচ্ছেন সুব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়। পশ্চিমাঞ্চল থেকে রয়েছেন সলিল আনকোড়া। তবে উত্তরাঞ্চলে কেউ এই মুহূর্তে দায়িত্বে নেই। বিসিসিআই উত্তরাঞ্চলের নির্বাচক হওয়ার বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে। তবে উত্তরাঞ্চলে বেশ কিছু বড় নামের ক্রিকেটার রয়েছে। গৌতম গম্ভীর লখনউ সুপার জায়ান্টসের মেন্টরের দায়িত্ব সামলাচ্ছেন। পাশাপাশি হরভজন সিং এবং যুবরাজ সিংও রয়েছে উত্তরাঞ্চল থেকে। কিন্তু এই ত্রয়ী এখনও পাঁচ বছরের অবসর সময়ের মানদণ্ড পূরণ করেননি। বিসিসিআই-এর নিয়মে খেলা থেকে অবসর নেওয়ার পাঁচ বছর হলে, তবেই এই পদের জন্য যোগ্য হবে কোনও প্রার্থী। তবে সবচেয়ে বেশি জল্পনা ছড়িয়েছে বীরেন্দ্র সেহওয়াগকে নিয়ে।
তবে বিসিসিআই এক কর্তা সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে জানিয়েছেন, ‘সিওএ-র সময়, বীরুকে (সেহওয়াগ) প্রধান কোচের চাকরির জন্য আবেদন করতে বলা হয়েছিল এবং তার পরে এই প্রস্তাব অনিল কুম্বলের কাছে গিয়েছিল। তবে নির্বাচক হিসেবে এটি অসম্ভব যে, বীরু নিজেই আবেদন করবেন এবং বেতন প্যাকেজ এমন কিছু নয়, যেটা এই পদমর্যাদায় আর্থিক ভাবে কার্যকর। কিন্তু আমরা যদি মান বা প্রোফাইলের কথা বলি, তবে শুধুমাত্র বীরুই উত্তরাঞ্চল থেকে নির্বাচক পদের জন্য যোগ্য।’
For all the latest Sports News Click Here