বিদ্রোহ দমনে কড়া তেহরান, গ্রেফতার হলেন ইরানের বিখ্যাত ফুটবলার
সেই দেশের মহিলাদের ফুটবল মাঠে ঢোকার ওপর রয়েছে ‘নিষেধাজ্ঞা’। হিজাব থেকে একটি চুলও বেরিয়ে এলে সেখানে যেতে হয় জেলে। এহেন দেশে বিগত তিনমাস ধরে শুরু হয়েছে বিদ্রোহ। এই বিদ্রোহ দমন করতে নাজেহাল কট্টরপন্থী সরকার। ইরানের বহু বিশিষ্ট ব্যক্তি, খেলোয়াড়রা প্রকাশ্যে বিদ্রোহকে সমর্থন জানিয়েছেন। এমনকি বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে ইরানি ফুটবলাররা জাতীয়সঙ্গীত না গেয়ে সরাকরের বিরোধিতা করেছিলেন। এরই মাঝে ইরানের নামকরা ফুটবলার ভোরিয়া গফুরিকে গ্রেফতার করা হল ইরানে। ‘মিথ্যা প্রচার’ করার অভিযোগে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। মনে করা হচ্ছে, ইরানি জাতীয় দলের ফুটবলারদের সতর্ক করতেই গফুরিকে গ্রেফতার করা হয়।
উল্লেখ্য, ইরানের জাতীয় দলে খেলা গফুরি তেহরানের ক্লাব এস্তেঘলালের অধিনায়কও ছিলেন। এহেন ফুটবলারের গ্রেফতারির খবর আজ সংবাদমাধ্যমকে জানায় সরকার। ইরানেম বিদেশমন্ত্রী জাভেদ জারিফের সমালোচনা করার জন্যই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। এদিকে বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচের আগে ইরানের জাতীয় ফুটবল দলের অধিনায়ক এহসান হাজসাফি জানিয়েছিলেন তাঁরা বিদ্রোহীদের সঙ্গেই আছেন। এরপর ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচের আগে জাতীয় সঙ্গীত না গেয়ে প্রতিবাদ জানান তাঁরা। তবে এই গ্রেফতারির পর বিদ্রোহের পথ থেকে যেন কিছুটা সরে এসেছেন তাঁরা। ওয়েলসের বিরুদ্ধে ম্যাচের আগে ইরানের সকল ফুটবল খেলোয়াড়কেই জাতীয় সঙ্গীত গাইতে শোনা যায়।
দু’মাস আগে প্রতিবাদী মাহশা আমিনির মৃত্যুর পর থেকে ফুঁসছে ইরান। হিজাব পুড়িয়ে, চুল কেটে ইসলামের নামে মহিলাদের শিকলবন্দি করার প্রতিবাদ করা শুরু হয়। সঠিক ভাবে হিজাব না পরার কারণে পুলিশের হাতে গ্রেফতার হন ২২ বছর বয়সি কুর্দি মাহশা আমিনি। গ্রেফতারের তিন দিনের মধ্যেই হাসপাতালে রহস্যমৃত্যু হয় তাঁর। যদিও, প্রশাসন বারবার দাবি করে এসেছে শারীরিক অসুস্থতার ফলেই মৃত্যু হয়েছে মাহশার। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই ইরানে প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে। ছড়িয়ে পড়েছে বিক্ষোভের আগুন। জানা গিয়েছে, এখনও পর্যন্ত ইরানি সরকারের অত্যাচারে ৪০০ জন প্রতিবাদীর মৃত্যু হয়েছে। গ্রেফতার হয়েছে ১৬,৮০০ জনেরও বেশি।
For all the latest Sports News Click Here