বিতর্ক যতই হোক, শান্তিনিকেতন আমি যাবই কেউ আটকাতে পারবেন না : অনুপম খের
রবিবার কলকাতায় এসেছেন অনুপম খের। ওইদিন সকালে কালীঘাট মন্দিরে পুজো দেন, বিকেলে কলকাতা জাদুঘরে আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেন অনুপম। এই পর্যন্ত ঠিকঠাকই ছিল। তবে অভিনেতার শান্তিনিকেতনে যাওয়ার প্রসঙ্গ উঠতেই শুরু হয়েছে বিতর্ক। তবে মোদী ঘনিষ্ঠ অভিনেতা সাফ জানিয়েছেন, শান্তিনিকেতনে তিনি যাবেন-ই। অনুপমের কথায়, ‘কোই মাই কা লাল আটকাতে পারবে না।’ এমনকি অভিনেতা এও জানিয়েছেন তাঁর মতো সিংহকে কোনও ইঁদুর আটকাতে পারবে না। আজ সোমবার-ই শান্তিনিকেতন যাওয়ার কথা অনুপমের।
প্রসঙ্গত, বিশ্বভারতীর জমি বিতর্ক এখনও মেটেনি। বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অমর্ত্য সেনকে নিশানা করায়, তাঁর বিরুদ্ধে পাল্টা গৈরিকীকরণের অভিযোগ তুলেছিল তৃণমূল। এদিকে এবার শান্তিনিকেতনে যাচ্ছেন বিজেপি ঘনিষ্ঠ অনুপম। ১৩ মার্চ বিশ্বভারতীর লিপিকা অডিটোরিয়ামে ৫৭তম লেকচার সিরিজ অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। সেখানেই বক্তব্য রাখার কথা অনুপম খেরের। সঙ্গে থাকছেন ‘কাশ্মীরি ফাইলস’ খ্যত পরিচালক বিবেক অগ্নিহোত্রী। এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজিত এই আলোচনা সভার নাম যেহেতু ‘ব্যর্থতার ক্ষমতা’। তাই তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন ছাত্রছাত্রী ও আশ্রমিকদের একাংশ। তাঁদের কথায় নামেই স্পষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে রাজনৈতিক আলোচনা হবে, সেটা ঠিক নয়।
এদিকে এর আগেও বিশ্বভারতী ক্যাম্পাসের মধ্যে NRC, CAA- নিয়ে আয়োজিত আলোচনা সভা ঘিরেও বিতর্ক হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজনীতির রং লাগানোর অভিযোগ উঠেছে। আর এবার বিশ্বভারতীতে যাচ্ছেন অনুপম খের। রবিবারও কলকাতা মিউজিয়ামে আয়োজিত সভার বিষয়বস্তু ছিল ‘কাশ্মীর থেকে কলকাতার ঐতিহ্য’। সেখানে বক্তব্য রাখেন বিজেপি নেতা স্বপন দাশগুপ্ত, এছাড়াও অভিনেতা অনুপম খের, পরিচালক বিবেক অগ্নিহোত্রী বক্তব্য রাখেন। এদিকে কাশ্মীর এবং নিজের পরিবারের কথা বলেন অনুপম, কাশ্মীর থেকে নিজের পরিবারের উদ্বাস্তু হওয়ার কথাও বলেন। বিবেক অগ্নিহোত্রী বলেন, দিল্লি ফাইলস-এর পর বাংলার ফাইলও খুলতে চেয়েছিলেন, তবে তাঁকে কাজ করতে দেওয়া হয়নি। বিবেকের কথায়, ‘১৯৪৬ সালে দাঙ্গা নিয়ে কাজ করার চেষ্টা করেছিলাম, পশ্চিমবঙ্গে আমার টিম এসেছিল সাক্ষাৎকার নিতে এসেছিল, কিন্তু কাজ করতে দেওয়া হয়নি।’ অনুপমের মতো বিবেকও জানান, তাঁদের শান্তিনিকেতন যাওয়া নিয়ে বিতর্ক হলেও তাঁরা সেখানে যাবেন।
For all the latest entertainment News Click Here