‘বিছানায় শুয়ে ভাবতাম যন্ত্রণা কখন শেষ হবে’, মানসিক অবসাদ নিয়ে অকপট ঋতাভরী
সোশ্যাল মিডিয়ায় দারুণ অ্যাক্টিভ অভিনেত্রী ঋতাভরী চক্রবর্তী। একের পর এক পোস্ট Q&A সেশন আরও নানা কার্যকলাপের মাধ্যমে অনুরাগীদের মাতিয়ে রাখেন তিনি। নিজের ব্যাপারে নানা অজানা তথ্য অনুরাগীদের সঙ্গে শেয়ার করেন নায়িকা। স্বভাবে বেশ প্রাণোচ্ছ্বল এবং চনমনে তিনি। যদিও সোশ্যাল মিডিয়া তাঁর হাসি-খুশি ছবির পিছনেও রয়েছে একটা অবসাদগ্রস্ত মন। কঠিন একটা লড়াইয়ের গল্প অনুরাগীদের সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছেন তিনি।
সদ্য সামাজিক মাধ্যমে একটি ছবি পোস্ট করেন ঋতাভরী। ছবির ক্যাপশনে তিনি জানিয়েছেন, একটা সময় ছিল যখন তিনি প্রচণ্ড ডায়েট মেনে চলতেন। শরীরে মেদ জমেছে কি না তা দেখতে রোজ আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে ছবি তুলতেন। গত ৮ মাস আগে পর পর দুটো অস্ত্রোপচার হয় তাঁর। এরপরই শরীরে পরিবর্তন আসে নায়িকার।
অভিনেত্রী লিখছেন, ‘২০১৩ সাল থেকে আমি অনেক ডায়েট ও ওয়ার্কআউট মেনে চলতাম। মেদ জমেছে কি না দেখার জন্য রোজ আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে ছবি তুলতাম। শরীরে মাপ ৩৬-২৬-৩৬ আছে কিনা তা নিয়ে খুব সতর্ক ছিলাম। কিন্তু ৮ মাস আগে আমি অসুস্থ হয়ে পড়ি এবং দুটো সার্জারি হয়। এই সময়ে আমি নড়তেও পারতাম না। অধিকাংশ সময় বিছানাতেই থাকতে হত। ভাবতাম কখন যন্ত্রণা শেষ হবে’।
তিনি আরও লেখেন, ‘অস্ত্রোপচার সফল ভাবেই হয়েছে। কিন্তু এর জেরে অবসাদগ্রস্থ হয়ে পড়ি, যা কাটিয়ে ওঠার এখনও চেষ্টা করছি। আমি নিজেকে বোঝানোর চেষ্টা করেছি যে, অবসাদ কাটিয়ে উঠতে সময় লাগতে পারে। কিন্তু আমার উচ্চাকাঙ্খা ও কর্মপ্রেম সত্ত্বার ধৈর্য্য কম। এটা পোস্ট করার কারণ, তোমাদের বলতে চাই শারীরিক যন্ত্রণা নয়, মানসিক অবসাদ থেকে সেরে ওঠার চেষ্টা করছি। অবসাদ আমায় সবকিছু থেকে চুপ করিয়ে দিয়েছিল’।
ঋতাভরী জানিয়েছেন, এখনও অবসাদ নিয়ে মুখোমুখি কথা বলার পরিস্থিতে পৌঁছাননি তিনি। তবে খুব শীঘ্রই বিস্তারিত এই নিয়ে কথা বলবেন, কীভাবে তিনি সুস্থ হয়ে উঠেছেন। আরও লেখেন, ‘সবসময় পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ। আমি তোমাদের ভালবাসি এবং তোমাদের ভালবাসাকে মর্যাদা করি। আমি পর্দায় খুব বড় ভাবে তাড়াতাড়ি ফিরব। কিন্তু এখন শুধু সুস্থ হতে চাই নিজেকেই আরও ভাল করে গড়ে তুলতে চাই’।
For all the latest entertainment News Click Here