বিচারপতির বিরুদ্ধে অবমাননাকর টুইট, নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়ে রেহাই পেলেন বিবেক
দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতির বিরুদ্ধে অবমাননাকর মন্তব্যের জেরে পরিচালক বিবেক অগ্নিহোত্রীর বিরুদ্ধে স্বতঃপ্রণোদিত ফৌজদারি অবমাননার মামলার (criminal contempt case) রুজু করেছিল আদালত। ২০১৮ সাল থেকে চলা সেই মামলায় অবশেষে রেহাই পেলেন ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’ পরিচালক। দিল্লি হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি এস মুরলিধরের বিরুদ্ধে অবমাননাকর টুইট করে আইনি গেড়োয় পড়েন পরিচালক। আগেই হলফনামার মাধ্যমে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করেছিলেন বিবেক, কিন্তু সশরীরে তাঁকে আদালতে উপস্থিত থেকে ক্ষমা চাওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। সেইমতো এদিন হাইকোর্টে হাজিরা দেন বিবেক অগ্নিহোত্রী।
বিচারপতি সিদ্ধার্থ মৃদুল ও বিকাশ মহাজনের এদিন আদালত অবমাননার অভিযোগ থেকে মুক্তি দেন বিবেককে। নির্দেশে বলা হয়, ‘অভিযুক্ত অবমাননাকারি সশরীরে আদালতের সামনে হাজিরা হয়ে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন, টুইটারে তাঁর দ্বারা করা অবমাননাকর মন্তব্যের জন্য। বিবেক অগ্নিহোত্রী জানিয়েছেন আলাদত ও আইন ব্যবস্থার প্রতি তিনি শ্রদ্ধাশীল, ইচ্ছাকৃতভাবে আদালতের আবমাননা করেননি, তিনি ক্ষমাপ্রার্থী। বর্তমান পরিস্থিতি বিচার করে ওঁনাকে রেহাই দেওয়া হল আদালত অবমাননার দায় থেকে’। আগামিদিনে টুইটে মন্তব্য় করার আগে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে বিবেক অগ্নিহোত্রীকে।
২০১৮ সালে, বিবেক অগ্নিহোত্রী দিল্লি হাইকোর্টের তৎকালীন বিচারপতি ও অধুনা ওড়িশা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি জাস্টিস এস মুরলিধরের বিরুদ্ধে টুইটে বিষোদগার করেছিলেন। ভীমা কোরেগাঁও মামলার প্রধান অভিযুক্ত গৌতম নভলাখার ট্রান্সিট রিম্য়ান্ডের আবেদন খারিজ করেছিলেন জাস্টিস মুরলিধর,পাশাপাশি তাঁর জামিন মঞ্জুর করেছিলেন। এরপরই টুইটে বিবেক অগ্নিহোত্রী বিচারপতির বিরুদ্ধে পক্ষপাতের অভিযোগ এনেছিলেন। এর জেরেই আদালত অবমাননার অভিযোগ ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে। সিনিয়র অ্যাডভোকেট রাজশেখর রাওয়ের থেকে চিঠি পেয়ে তদন্ত শুরু করে দিল্লি হাইকোর্ট।
মামলা দাখিল হতেই তড়িখড়ি টুইট মুছে ফেলেন বিবেক। পরে আদালতের কাছে হলফমানায় নিঃশর্ত ক্ষমা চান। যদিও গত বছর ডিসেম্বর মাসে হাইকোর্টের তরফে তাঁকে সশরীরে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। সেইমতোই এদিন আদালতে হাজির হন তিনি। অবশেষে আদালত অবমাননার মামলার নিষ্পত্তি পেলেন বিবেক অগ্নিহোত্রী।
For all the latest entertainment News Click Here