বিকিনি-পরে হেঁটে শরীর দেখাতে স্বচ্ছন্দ নন, মিস ওয়ার্ল্ড-এর আয়োজকদের বলেন ঐশ্বর্য
১৯৬৬ সালে রীতা ফারিয়ার পর ১৯৯৪ সালে দ্বিতীয়বারের জন্য ভারতীয় হিসাবে মিস ওয়ার্ল্ডের খেতাব জিতে নেন ঐশ্বর্য রাই বচ্চন। পরবর্তী সময়ে বলিউড এবং হলিউড দুই জায়গাতেই জনপ্রিয়তা কুড়িয়েছেন ঐশ্বর্য। তবে সেসময় মিস ওয়ার্ল্ড প্রতিযোগিতায় কিছু বিষয় তাঁর কাছে অস্বস্তিকর হয়ে উঠেছিল বলে মুখ খুলেছেন ‘রাই’ সুন্দরী। ঐশ্বর্য মনে করে সুন্দরী প্রতিযোগীতায় বিকিনি আর সুইমস্যুট পরার কোনও প্রয়োজনীয়তা নেই।
সম্প্রতি সামনে এসেছে ২০১৭ সালে দেওয়া ঐশ্বর্য রাই বচ্চনের একটি সাক্ষাৎকার। ঐশ্বর্য জানিয়েছিলেন, ১৯৯৪ সালে আমার জয়ের পর ১৯৯৫ থেকে বিকিনি কিংবা সুইমস্যুট পরার রাউন্ডটি আর প্রতিযোগিতায় রাখা হয়নি। কারণ, আমি আয়োজকদের বলেছিলাম, প্রতিযোগিতায় এধরনের পোশাক পরতে আমাদের মতো কিছু দেশ থেকে আসা প্রতিযোগীরা স্বচ্ছন্দ্য নাও বোধ করতে পারেন। বিকিনি কিংবা সুইমস্যুট পরে নিজেকে তুলে ধরা আমাদের মতো দেশের মেয়েদের জীবনযাপনের সঙ্গে খাপ খায় না। এটা শুধু আমি নিজের জন্য বলিনি, সামগ্রিক ভাবে আমাদের মতো দেশের মহিলাদের জন্য বলেছি।
পরবর্তী সময়ে মিস ওয়ার্ল্ড প্রতিযোগিতার আয়োজকরা সুইমস্যুট পরার রাউন্ডটি সরিয়ে দেন। শারীরিক সৌন্দর্যের বদলে ‘মস্তিষ্ক এবং ব্যক্তিত্ব’-এর সৌন্দর্যের উপর জোর দেন। মিস ওয়ার্ল্ডের সভানেত্রী জুলিয়া মোর্লে এলি ম্যাগাজিনকে বলেন, ‘বিকিনি পরে মহিলাদের শুধু হাঁটতে দেখার দরকার নেই। এটি মহিলাদের কোনও কাজেই লাগে না, শুধু মহিলা কেন কারোরই কোনও কাজে লাগে না।’
ঐশ্বর্য ১৯৯৭ সালে মণি রত্নমের তামিল ছবি ‘ইরুভার’-এর মাধ্যমে অভিনয় জীবনে পা রাখেন। পরে হিন্দিতে ববি দেওলের বিপরীতে ‘অর পেয়ার হো গয়া’ ছবিতে তাঁকে দেখা যায়।যেটি মুক্তি পেয়েছিল ১৯৯৭ সালে। তিনি ২০০৭ সালে অভিনেতা অভিষেক বচ্চনের সঙ্গে সাতপাকে বাঁধা পড়েন ঐশ্বর্য রাই বচ্চন। বর্তমানে তাঁদের ১১ বছরের একটি মেয়ে রয়েছে, নাম আরাধ্যা। শেষবারও মণি রত্নমের ‘পন্নিয়িন সেলভান-১’-এ কাজ করেছেন ‘রাই’ সুন্দরীকে। এবছরই এপ্রিল মাসে মুক্তি পাবে ছবিটি। এই ছবিতে রয়েছেন, বিক্রম, জয়ম রবি, কার্তি, ত্রিশা, জয়রাম, ঐশ্বর্য লক্ষ্মী এবং শোভিতা ধুলিপালা মত তারকারা।
For all the latest entertainment News Click Here