‘বাসে উঠে কিছু মনে নেই’, ৪৫ ডিগ্রিতে ফাটাফাটির শুটিংয়ে অজ্ঞান হয়ে যান সংঘশ্রী
গরমের ছুটিতে বড় পর্দায় মুক্তি পেয়েছিল ‘ফাটাফাটি’। অরিত্র মুখোপাধ্যায় পরিচালিত এই ছবি বড় পর্দায় মুক্তি পেতেই তার টপিকের জন্য দর্শকদের থেকে বিপুল সাড়া পেয়েছে। ঋতাভরী চক্রবর্তী এবং আবির চট্টোপাধ্যায় অভিনীত এই ছবি ভীষণই প্রশংসিতও হয়েছে। বক্স অফিসেও ভালোই লক্ষ্মী লাভ করেছে এই ছবি। কিন্তু সেটা তো পুরো রান্নাটা তৈরি হওয়ার পরের ব্যাপার। রান্না করার থুড়ি ছবিটা বানানোর সময় অভিনেতা থেকে পরিচালক কোন অভিজ্ঞতার মধ্যে দিয়ে গেছেন?
সকলেই জানেন এবার প্রায় মার্চের শেষ দিক থেকেই কী ভয়ঙ্কর গরম পড়েছিল। বোলপুর অঞ্চলে তখনই ৪৫ ডিগ্রি তাপমাত্রা প্রায় ছাড়িয়ে গিয়েছিল। আর সেই অবস্থাতেই এই ছবির টিম সেখানে শুট করে। শুটিংয়ের অভিজ্ঞতা ভাগ করে অরিজিতা বলেন ‘আমরা তখন বোলপুর বাসস্ট্যান্ডে শুট করছি। শুটিং শুরুর কিছু পর থেকে অরিত্র দা (পরিচালক) আর কাট বলছিলেন না। তাঁর মুখ থেকে অন্য কথা বেরোচ্ছিল। আমরা বুঝে নিচ্ছিলাম উনি কী বলতে চাইছিলেন।’
প্রায় একই অভিজ্ঞতা অভিনেত্রী সংঘশ্রী মিত্রেরও। তাঁকে এই বাসস্ট্যান্ডের দৃশ্যে সাইকেল চালিয়ে আসতে দেখা যাবে। সেই দৃশ্যের কথা মনে করে অভিনেত্রী বলেন, ‘যেদিন এই দৃশ্যের শুট হচ্ছে সেদিন আমার খুব শরীর খারাপ ছিল। কোনও ভাবেই যেন তাকাতে পারছিলাম না। তবুও তার মধ্যেই ওই কাঠ ফাটা রোদে সাইকেল চালিয়ে শুট করি।’
আবহাওয়ার জন্য যতই কষ্টের সন্মুখীন হতে হোক এই ছবির টিম যে দারুণ মজা করে কাজ করেছে ছবিতে সেটাও অভিনেতারা বারবার বলেছেন। তাঁদের যখন বোলপুরে শুটিং চলছিল তখন তাঁরা একদিন অল্প একটু বৃষ্টি পায়। কাজ থামিয়ে দিতে হয় সেদিন। একদিকে সেদিন কাজ পণ্ড হয়েছিল। সঙ্গে আবার গরম আরও বেড়ে গিয়েছিল।
তবে যত গরমেই কষ্ট করে শুটিং হোক না কেন এই ছবি যে দর্শকদের মনে ধরেছে ওটাই শেষ কথা। এখানে এক প্লাস সাইজের মডেল এবং তাঁর লড়াইয়ের কথা তুলে ধরা হয়েছে। ঋতাভরীকে এখানে মডেলের চরিত্রে দেখা গিয়েছে। তিনি আদতে একজন ডিজাইনার হতে চেয়েছিলেন। কিন্তু ঘটনাচক্রে উল্টো কিছু হয়। এখানে তাঁর স্বামীর ভূমিকায় আবিরকে দেখা গিয়েছিল।
For all the latest entertainment News Click Here