বাবা-মায়ের বিবাহবার্ষিকী, পানামা কাণ্ডে জেরার পর ইনস্টায় প্রথম পোস্ট ঐশ্বর্যর
বাবা-মায়ের ৫২তম বিবাহবার্ষিকী। দু’জনের থ্রোব্যাক ছবি শেয়ার করে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন অভিনেত্রী ঐশ্বর্য রায় বচ্চন। নীল নয়না সুন্দরী বুধবার রাতের দিকে ইনস্টাগ্রামে মা বৃন্দা রায় এবং প্রয়াত বাবা কৃষ্ণরাজ রায়ের একটি ছবি শেয়ার করেন। পানামা নথি মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের পর এটাই সামাজিক মাধ্যমে ঐশ্বর্যর প্রথম পোস্ট।
ছবিতে ঐশ্বর্য মা-বাবাকে পাশাপাশি দাঁড়িয়ে ক্যামেরার সামনে পোজ দিতে দেখা গেছে। দুজনের মুখে চওড়া হাসি। ছবি পোস্ট করে বাবা-মা’কে বিবাহবার্ষিকীর শুভেচ্ছা জানিয়ে ঐশ্বর্য লেখেন, ‘বিবাহবার্ষিকীর অনেক শুভেচ্ছা প্রিয়, ডার্লিং মাম্মি-ড্যাডি। ভালোবাসি তোমাদের এবং ধন্যবাদ তোমাদের অপার ভালোবাসা, আশির্বাদের জন্য… সবসময়’। ২০১৭ সালে প্রয়াত অভিনেত্রীর বাবা কৃষ্ণরাজ রায়।
প্রায়শই বাবা-মা, মেয়ে আরাধ্যা এবং স্বামী অভিষেকের সঙ্গে ছবি পোস্ট করেন ঐশ্বর্য। জীবনের বিশেষ দিনে পরিবারের সকলের সঙ্গে ছবি পোস্ট করতে দেখা যায় নীন নয়না সুন্দরীকে। ২০০৭ সালে অভিষেক বচ্চনের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন ঐশ্বর্য। তাঁদের একমাত্র মেয়ে আরাধ্যার বয়স ১০ বছর।
পানামা কাণ্ডে গত সোমবার দিল্লিতে ইডির দফতরে টানা ৫ ঘণ্টা ম্যারাথন জেরা করা হয় ঐশ্বর্য রায় বচ্চনকে। এদিন পানামা পেপার্স কেলেঙ্কারি কাণ্ডে ঐশ্বর্যর বয়ান রেকর্ড করে ইডি। কর ফাঁকি দিয়ে বিদেশে টাকা গচ্ছিত রাখবার অভিযোগে ফরেন এক্সচেঞ্জ ম্যানেজমেন্ট অ্যাক্ট, ১৯৯৯-এর আওতায় তাঁর বয়ান নথিভুক্ত করা হয়। এর আগে নিজের বিদেশি সম্পত্তির বিবরণ কেন্দ্রীয় সংস্থার কাছে জমা দিয়েছেন অ্যাশ।
পানামা কেলেঙ্কারিতে শুরু থেকেই চর্চায় থেকেছে বচ্চন পরিবারের নাম। ঐশ্বর্যর পাশাপাশি অমিতাভ বচ্চন, অভিষেক বচ্চনের নামও জড়িয়ে এই কাণ্ডে। কর ফাঁকি দিয়ে বিদেশে টাকা রাখবার অভিযোগ নতুন নয়। দ্বীপ রাষ্ট্র পানামায় আফশোর কোম্পানির মাধ্যমে টাকা রাখতেন বিশ্বের বহু ধনী ও প্রভাবশালী ব্যক্তিত্বরা, এমনই অভিযোগ।
২০১৬ সালে পানামার একটি লিগ্যাল ফার্ম ‘মোসাক ফনসেকা’-এর তরফে ফাঁস হয়ে যায় সেই সব ব্যক্তিত্বদের নাম, যেখানে উঠে আসে বহু প্রভাবশালী ভারতীয়র নাম। এই লিস্টে নাম রয়েছে ঐশ্বর্যরও। অভিযোগ কর ফাঁকি দিয়ে বিদেশে টাকা জমিয়েছেন অ্যাশ। আগামিদিনে ফের ইডির জেরার মুখে পড়তে হবে কিনা ঐশ্বর্যকে তা স্পষ্ট নয়।
For all the latest entertainment News Click Here