‘বাবাদের গল্পগুলো শব্দহীন হয়…’ ফাদার্স ডে’তে কেন এমন লিখলেন মীর?
ফাদার্স ডের দিন বিশেষ স্বীকারোক্তি মীরের। জানালেন এক আক্ষেপের কথাও। এই বিশেষ বাবা এবং তাঁর সন্তানদের সম্পর্ক, সমীকরণ উদযাপনের দিনে একদম অন্য কথা, অন্য অভিজ্ঞতা শোনালেন মীর।
১৮ জুন, রবিবার ছিল এই বছরের ফাদার্স ডে। সেদিনই মেয়ে মুসকানকে নিয়ে এই বিশেষ পোস্ট লেখেন মীর। জানান তিনি তাঁর কন্যাকে ছোটবেলায় কখনই গল্প পড়ে শোনাতে পারেননি। গল্প বলে তাঁকে ঘুম পাড়ানো হয়নি মীরের। বাকিদের গল্প বলতে গিয়ে মেয়েকেই আর গল্প বলতে পারেননি তিনি। তাই মুসকানের এই বছরের জন্মদিনে তিনি একদম অন্য ধরনের একটা চমক দেন তিনি। শুরু করেন গপ্পো মীরের ঠেক।
এদিন মেয়ের সঙ্গে একটি ছবি পোস্ট করে মীর লেখেন, ‘কারণ আপনাদের সবাইকে গপ্পো শোনাতে শোনাতে আমি ওর ছোটবেলায় ওকে কোনদিন গপ্পো পড়ে ঘুম পাড়ানোর সময় পাইনি। তাই মুসকানের জন্মদিনে প্রথম গপ্পো ছাড়া হয় এই ঠেকে। বাবার প্রায়শ্চিত্ত। দিনটা ছিল এ বছরের ২৩শে জানুয়ারী।’
একই সঙ্গে নিজের অভিজ্ঞতা থেকে সবাইকে পরামর্শ দিয়ে বলেন সবাই যেন তাঁদের সবার সন্তানকে গল্প পড়ে শোনান। সময় কাটান। এই বিষয়ে তিনি লেখেন ‘জ্ঞান দেব না। নিজেও পছন্দ করি না কেউ দিলে। শুধু এটুকু বলব যতই কাজের চাপে হাত বাঁধা অবস্থা হোক না কেন, বাচ্চাকে গপ্পো পড়ে শোনানোর সুযোগটা হাতছাড়া করবেন না।’
বাবারা কতটা আত্মত্যাগ করেন সেটাও তিনি এদিন তাঁর কথায় তুলে ধরেন। প্রসঙ্গে এই জনপ্রিয় প্রাক্তন আরজে লেখেন, ‘আমার মতন বাবাদের গপ্পোগুলো অনেকসময়েই শব্দহীন হয়। আমার মতন বাবাদের গপ্পোগুলো অনেকসময়েই শেষমেশ কিছু বলে উঠতে পারে না। গপ্পোমীরের ঠেকে জমা হোক সেইসব না বলে উঠতে পারার গপ্পেরা। হ্যাপি ফাদার্স ডে’।
অনেকেই তাঁর এই দরদী লেখায় নিজেদের সঙ্গে মিল খুঁজে পেয়েছেন। এক ব্যক্তি লেখেন, ‘বাবাদের লড়াইয়ের সঙ্গী হল মেয়েরা। তাই আপনার না বলা গল্পগুলো হয়তো ওর মনে গেঁথে আছে। কারণ মেয়েরা যে বাবাদের অংশ হয়। মুসকান দেখবেন আপনার গল্পগুলোকে একদিন নিজের মতো করে বলবে। আর আপনার মন ভরে যাবে। বাবাদের জায়গা সব থেকে প্রথমে হয়।’ আরেক ব্যক্তি নিজের অভিজ্ঞতা জানিয়ে লেখেন, ‘সারা দিন পড়াশোনা, এটা ভালো, ওটা খারাপ এই লড়াইয়ের শেষে রাতে শোয়ার সময় ছেলেকে সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়ের, মামা সমগ্র পড়ে শোনাই। সব চাপ, ক্লান্তি উধাও। ছেলে সারাদিন অপেক্ষা করে থাকে। চেষ্টা করি আমার মতো ছোটবেলা ছেলেকে দিতে।’ মীরের আরেক ভক্তের কথায়, ‘সবাই খুব ব্যস্ত সংসারের চাপে। তাই সত্যি বাচ্চাদের গল্প শোনাবার মতো কেউ নেই। এই লেখা অনেককে অনুপ্রাণিত করবে।আপনি আর মুসকান দুজনে খুব ভালো থাকুন।’
For all the latest entertainment News Click Here