বাড়িতে নিষেধ সত্ত্বেও কার জন্য রাঁধেন মাংস?’ময়ূরী’র পেট থেকে কথা বের করলেন রচনা
দিদি নম্বর ওয়ানে হাজির ইচ্ছে পুতুলের টিম। জমিয়ে চলল আড্ডা। কথা কথায় সামনে এল নানান অজানা কথা। ধারাবাহিকের গল্পে দুই বোন মেঘ আর ময়ূরী একই ব্যক্তির প্রেমে পড়েছেন। তা নিয়েই চলছে টানাটানা। তবে সিরিয়ালের গল্পে যাই ঘটুক, বাস্তবে কিন্তু বেশ বন্ধুত্ব মেঘ ও মযূরীর, থুড়ি, তাঁদের আসল নাম শ্বেতা মিশ্রা ও তিতিক্ষা দাস। জানা গেল, আসলে কিন্তু শ্বেতা ও তিতিক্ষার বেশ বন্ধুত্ব।
দিদি নম্বর ওয়ানে তিনিক্ষা দাস ওরফে মেঘ জানান, তিনি বহুবার দিদি নম্বর ওয়ানে এসেছেন, গুনে শেষ করা যাবে না। তিতিক্ষা জানান, তিনি বহুবার কো-ডান্সার হিসাবে রচনার বন্দ্যোপাধ্যায়ের শোয়ে এসেছেন। শুনে অবাক হন রচনা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। তিতিক্ষা রচনাকে বলেন, ‘তুমি আমার সামনে নাচতে আমি পিছন থেকে দেখতাম। ভাবতাম, কবে তোমার জায়গায় আসব, অবশেষে আমি এখানে এসেছি। আমি নাচ করলাম, তুমি হাত তালি দিলে, এটা একটা পাওনা।’ তিতিক্ষা জানান, তিনি প্রথম মঞ্চে পারফর্ম করেছিলেন জি বাংলার সারেগামাপা-র ওপেনিংয়ে। তিতিক্ষা জাননা, নাচের হাত ধরেই তাঁর অভিনয়ে আসা, পর্দায় ময়ূরী তাঁকে কোনওভাবে সহযোগিতা না করলেও বাস্তবে শ্বেতা (ময়ূরী) তাঁর পাশে থাকেন। তবে তিতিক্ষার অভিযোগ শ্বেতা নাকি ভীষণ ‘ল্যাদখোর’। শ্য়ুটিং শেষ হলেই বাড়ি যাওয়ার তাড়া থাকে ওর।
তিতিক্ষা (মেঘ)-এর কথা ধরেই ইচ্ছেপুতুলের ময়ূরী জানান,অর্থাৎ শ্বেতা জানান, তিনি বাড়ি গিয়ে শুধুই ঘুমান। এদিকে কথায় কথায় ময়ূরী অর্থাৎ শ্বেতা মিশ্রা জানান, তিনি বাস্তবে একজন অবাঙালি পরিবারের মেয়ে। তাঁর মা রাজস্থানের আর বাবা উত্তরপ্রদেশের। তাঁদের বাড়িতে মাছ-মাংস ঢোকা নিষিদ্ধ, তারপরেও তিনি মাছ, মাংস রান্না করতে এক্সপার্ট। প্রথমে বলতে না চাইলেও শ্বেতা জানান, কলেজে পড়ার সময়ই তিনি মিস্টার সেনগুপ্তর প্রেমে পড়েন। ওঁর জন্যই তিনি রান্না শিখেছেন, মিস্টার সেনগুপ্তের খাবার-দাবারের ব্যবসা, ভবিষ্যতে যাতে তিনিও ব্যবসার হাল ধরতে পারেন, তাই মাছ-মাংস রান্না শিখে নিয়েছেন। তবে তিনি জানান, অভিনয়ের পাশাপাশি পড়াশোনাতেও মন দিচ্ছেন। খুব ইচ্ছে নামের আগে ডক্টর শব্দটি বসানোর।
For all the latest entertainment News Click Here