বাচ্চা নিতেই ভয় পাচ্ছেন মানালি, কী এমন হল ‘কার কাছে কই মনের কথার’ সেটে?
সোমবার ৩ জুলাই থেকে শুরু হচ্ছে কার কাছে কই মনের কথা ধারাবাহিক। স্টার জলসা নয়, জি বাংলার পর্দায় ফিরছেন মানালি দে। আর ধারাবাহিকের প্রচারে দিদি নম্বর ১-এর ৫০০ তম পর্বে হাজির হয়েছিলেন ছবির মুখ্য চরিত্রে থাকা পাঁচ মহিলা। মানালির পাশাপাশি ছিলেন স্নেহা চট্টোপাধ্যায়, বাসবদত্তা চট্টোপাধ্যায়, কুয়াশা বিশ্বাস, সৃজনী মিত্ররা।
রচনার সঙ্গে কথা প্রসঙ্গে তাঁরা জানান, মেকআপ রুমে পাঁচ বিবাহিত মেয়ের আড্ডা চলছে। যাতে স্নেহা থামিয়ে দিয়ে বলে ওঠে, ‘দুজন তো ছানা নিয়ে গল্পজুড়ে দিচ্ছি। আমি বাসবদত্তাকে বলছি আমার ছেলেটা ঘুমোয় রে। এ মা তোমার মেয়েটা ঘুমোয় না কী কষ্ট তোমার।’
বাসবদত্তা পাশ থেকে বলে ওঠেন, ‘আর এসব শুনে মানালি ভয় পেয়ে যাচ্ছে।’
মানালি এরপর বলে ওঠেন, ‘আর আমি ঘাড় ঘুরিয়ে একবার এদিকে তাকাচ্ছি তারপর ওদিকে। তারপর বলছি, বাবা রে তোমরা আর বোলো না।’
‘কার কাছে কই মনের কথা’-তে মানালির চরিত্রের নাম শিমূল। যাকে বোঝে না তাঁর স্বামী-শাশুড়ি। হারমোনিয়ামের জায়গা হয় বাড়ির স্টোর রুমে। গানের শংসাপত্র দেখার থেকে শাশুড়ি দুধ কেন উতলে যাচ্ছিল তাই নিয়ে খোঁটা দিতে বেশি ব্যস্ত থাকে। তবে শিমূলের বন্ধু, কথা বলার সঙ্গী তাঁর পাড়ার চার বান্ধবী। অনেকেই আশা করছেন টিআরপি-তে বেশ ভালো ফল করবে এই মেগা। এক তো বাসবদত্তা, মানালি, স্নেহাদের মতো অভিনেত্রীদের উপস্থিতি, আর মহিলাপ্রধান গল্প এক অন্যমাত্রা দেবে বলেই মনে করা হচ্ছে। যদিও অনেকেই ইতিমধ্যে স্টার জলসার সদ্য শেষ হওয়া মেগা মেয়েবেলার কপি বলতে শুরু করেছে ‘কার কাছে কই মনের কথা’-কে। কেউ আবার মিল খুঁজে পাচ্ছে নিম ফুলের মধু-র সঙ্গে।
প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের জুলাইতে মা হয়েছেন বসাবদত্তা। ২০১৮ সালে পেশায় সাংবাদিক অনির্বাণের গলায় মালা দেন। ‘গানের ওপারে’ দিয়ে নজর কাড়েন বাসবদত্তা দর্শকদের। একাধিক বড় প্রোজেক্টে তাঁর দেখা মিলেছে। ‘গোয়েন্দা গিন্নি’, ‘মন নিয়ে কাছাকাছি’, ‘বয়েই গেল’র মতো ধারাবাহিক রয়েছে তালিকায়।
এদিকে স্নেহা-র ছেলে সামান্য বড়। ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে জন্ম হয়েছে খুদের। ছেলের নাম রেখেছেন তুরুপ। মাত্বকালীন ছুটি কাটানোর পর প্রথম কাজ ছিল লালকুঠি। যেখানে তাঁকে দেখা গিয়েছিল নায়িকা রুকমার দিদির চরিত্রে।
অন্য দিকে, মানালি বিয়ে করেন ভরা লকডাউনে। ২০২০ সালের ১৫ অগস্ট পরিচালক অভিমন্যু মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে সাতপাকে বাঁধা পড়েন তিনি। পরিবারের কয়েকজনের উপস্থিতিতে নেহাতই ছিমছাম আইনি সইসাবুদ সেরে বিয়েটা হয়। এর আগে দিদি নম্বর ১-এ রচনা বাচ্চা নিয়ে প্রশ্ন করলে মানালির কাছ থেকে জবাব এসেছিল, ‘আমার তো মধুচন্দ্রিমায় যাওয়া হয়নি। এর থেকে দুঃখের কথা কীইবা হতে পারে। আমার সময় হলে ওর হয় না। ওর হলে আমার। আর দুজনের হলে বলে ওই তো শান্তিনিকেতনে তোর একটা বাড়ি আছে ওখানে যাই। একটা মেয়ে মধুচন্দ্রিমা কাটালো না, বরের সঙ্গে হাত ধরে সমুদ্র দেখলো না, তাহলে ফ্যামিলি প্ল্যানিং হবে কীভাবে!’
For all the latest entertainment News Click Here