‘বাঙালি শিল্পীদের অবাঙালি শিল্পীরা উঠতেই দেয় না’! মুম্বইয়ে অন্য অভিজ্ঞতা অনন্যার
জাতীয় মঞ্চে সকলকে মুগ্ধ করেছেন বাংলার মেয়ে অনন্যা চক্রবর্তী। বাংলা থেকে দূরে থাকলেও, বাংলার সংস্কৃতি তাঁর অন্তর জুড়ে। একাধিকবার সারেগামাপা-র মঞ্চে খাঁটি বাংলায় গান গাইতে শোনা গেছে বজবজের অনন্যাকে। বাংলা গানের দুনিয়ায় পরিচিত মুখ এই কন্যে। একতারা হাতে অনন্যার বাউল গান মুগ্ধ করেছে বাঙালিকে। এর আগে জি বাংলার সারেগামাপা-র মঞ্চে অংশ নিয়েছেন অনন্যা। অনন্যার অন্যরকম কন্ঠস্বর বরাবরই প্রশংসা কুড়িয়েছে সব্বার।
আপতত মায়ানগরী মুম্বই ঠিকানা অনন্যার। সারেগামাপা-র ট্রফির যোগ্য দাবিদার হতে নিয়মিত রেওয়াজ করছেন, তালিম নিচ্ছেন। চলছে প্র্যাক্টিস। সহ-প্রতিযোগিরা আর সারেগামাপা-র ফ্যামিলি এখন তাঁর পরিবার। আর সেখানে গিয়ে যে ভালোবাসা পাচ্ছেন বাংলার এই মেয়ে, তাতে মুগ্ধ সে। বিনোদন জগতে একটা প্রচলিত কথা রয়েছে, মুম্বইয়ে নাকি ‘বাঙালি শিল্পীদের অবাঙালি শিল্পীরা উঠতেই দেই না’, বলা হয় সেই জন্যই নাকি মুম্বইয়ের গানের জগতে যোগ্য সম্মান বা স্থান পাননি সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের মতো শিল্পী। তবে অনন্যার কিন্তু একদম অন্যরকম অভিজ্ঞতা হল মায়ানগরীতে। ‘বিচিত্র দেশ ভারতবর্ষ’-এর অন্য ছবি তুলে ধরলেন অনন্যা। এক ফেসবুক পোস্টে দুই গুরু জয়দীপ দিলীপ ভাগবতকর এবং নীরজ কালকরের সঙ্গে ছবি পোস্ট করে তিনি জানান এই দুই মরাঠি সংগীত গুরু কেমনভাবে তাঁকে পিতৃস্নেহে আগলে রেখেছেন এক বাঙালি গায়িকাকে। শুধু গান শেখাচ্ছেন তাই নয়, বরং সবরকম ‘জংলীপনা’ সহ্য নিজের হাতে রান্না করে খাওয়াচ্ছেন।
অনন্যা লেখেন, ‘ভারতবর্ষ বিচিত্র। এখানে যেমন বলা হয় বাঙালি শিল্পীদের অবাঙালী শিল্পীরা উঠতেই দেই না , জায়গা ছাড়ে না। আবার অন্যদিকে বম্বের এই দুই মহারাষ্ট্রীয় গুরু, পশ্চিমবঙ্গ থেকে আসা, এক লোক সঙ্গীত শিল্পীকে চূড়ান্ত ভালোবাসে, নিজের মেয়ের মতো সমস্ত রকম জংলীপনা সহ্য করে, মাছ খেতে পারিনা বলে, নিজের হাতে বাজার করে,মাছ রান্না করে আনে, গুরুর তার মেয়ের প্রতি অগাধ বিশ্বাস। বলে তুই পারবি, তোকে পারতেই হবে’।
সব শেষে অনন্যা যোগ করেন, ভালোবাসাই শ্রেষ্ঠ ধর্ম, যে কোনওরকম দ্বেষ থেকে দূরে থাকার আর্তি তাঁর। তিনি লেখেন, ‘আবার বলবো, যেকোনো রকম ভেদাভেদ থেকে দূরে থাকুন। ভালোবাসা ছড়িয়ে দিন। আর কী বা আছে, ভালোবাসা ছাড়া।’
For all the latest entertainment News Click Here