বাংলাদেশের মেয়েরা দুর্ধর্ষ খেলল-হেরে সুলতানাদের প্রশংসা হরমনের,দুষলেন ব্যাটারদের
টি-টোয়েন্টি সিরিজ আগেই পকেটে পুড়ে ফেলেছি ভারত। তবে সিরিজ জিতলেও, বাংলাদেশের মেয়েদের হোয়াইটওয়াশ করতে পারলেন না হরমনপ্রীত কাউররা। টি-টোয়েন্টি সিরিজের শেষ ম্যাচে বাংলাদেশের কাছে হারতে হল ভারতের মেয়েদের। মূলত ব্যাটিং ব্যর্থতারই খেসারত দিতে হল ভারতকে। দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতেও ব্যর্থ হয়েছিল ভারতের ব্যাটিং। সেই ম্যাচে বোলাররা রক্ষা করেছিলেন। কিন্তু তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে আর শেষ রক্ষা হল না।
বৃহস্পতিবার বাংলাদেশের মেয়েদের সামনে কোনও মতে ১০৩ রানের লক্ষ্য দিয়েছিল ভারত। ১০ বল বাকি থাকতে ৬ উইকেট হারিয়ে সেই রান তুলে ফেলে ৪ উইকেটে ম্যাচ জেতে বাংলাদেশ। আর ম্যাচ হেরে ব্যাটারদের উপরেই ক্ষোভ উগরে দেন হরমন। তাঁর আফসোস, ভারতের ব্যাটাররা প্রতি ওভারে গড়ে ছয় করেও রান করতে পারেননি। হরমন নিজে অবশ্য ৪১ বলে ৪০ রানের নির্ভরযোগ্য একটি ইনিংস খেলেছিলেন।
‘বাংলাদেশ আজ বেশ সচেতন ছিল। ওরা যে ভাবে ব্যাটিং করছে, সেটা দেখে অনেক শেখার আছে। এবং আমরা সেটা থেকে শিক্ষা নেবও। ওরা আমাদের খেলার রাশ নেওয়ার একটিও সুযোগ দেয়নি। তবে আমাদের ইতিবাচক থাকতে হবে এবং দেখতে হবে কী করা যায়।’ এর বাইরে জেমিমা রডরিগেজ করেছিলেন ২৬ বলে ২৮ রান। এর বাইরে ১৫ রানেই কেউ পৌঁছতে পারেননি। শেফালি বর্মার ১১ এবং যস্তিকা ভাটিয়ার ১২ বাদ দিলে বাকিরা এক অঙ্কের ঘরের গড়াগড়ি খেয়েছে।
ম্যাচের পর তাই হতাশ হরমন বলছিলেন, ‘এই উইকেটে আমাদের সিঙ্গেলের উপরেই নির্ভর করতে হবে। আমাদের ব্যাটিং একেবারে ভেঙে পড়ে। আমরা ওভারে ছয় রানও তুলতে পারিনি। পাঁচ ওভার ছিল গেম চেঞ্জার। আমরা যেটা আশা করছিলাম, সেই রান তুলতে পারিনি।’
তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেছেন, ওডিআই সিরিজেও কম রান উঠবে। যে কারণে সিঙ্গলের উপর অনেক বেশি নির্ভর করতে হবে। হরমনের দাবি, ‘ওডিআই-ও একটি কম স্কোরিং টুর্নামেন্ট হবে। আমাদের স্ট্রাইক রোটেড করতে হবে। এবং ডট বলের উপর ফোকাস করতে হবে। আমাদের দীর্ঘমেয়াদী লক্ষ্য নির্ধারণ করতে হবে। দেখা যাক পরের তিনটি ম্যাচের পরিকল্পনা কী করা যায়।’
বাংলাদেশের বোলারদের প্রশংসায় পঞ্চমুখ ছিলেন হরমন। বৃহস্পতিবার তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে রাবেয়া খান তিন উইকেট নিয়েছেন। দুই উইকেট নিয়েছেন সুলতানা খাতুন। নাহিদা আক্তার, ফহিমা খাতুন এবং শোর্না আক্তার ১টি করে উইকেট নিয়েছেন।
বাংলাদেশের বোলারদের পাশাপাশি ভারতের মিনু মান্নি এবং জেমিরারও প্রশংসা করেছেন হরমন। ৪ ওভারে ২৮ রান দিয়ে ২ উইকেট নিয়েছেন মিনু। ২ ওভারে ৯ রান দিয়ে ১ উইকেট নিয়েছেন জেমিমা। এছাড়া দেবীকা বৈদ্য ৪ ওভারে ১৬ রান দিয়ে ২ উইকেট নিয়েছেন। বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ৪২ রান করেছে শামিমা সুলতানা।
হরমন বলেছেন, ‘ওদের (বাংলাদেশের) তরুণ বোলাররা আমাদের কোনও সুযোগই দেয়নি। আরও একটি মেয়ে, খুব ভালো বোলিং করেছে। শুধু মিন্নু মানি নয়, জেমি রডরিগেজও ভালো বোলিং করেছে। নতুন বোলারদের কাছে এটা একটা দারুণ সুযোগ নিজেদের প্রমাণ করার।।’
For all the latest Sports News Click Here