বাংলাদেশের ফুটবলের উন্নতিতে আর্জেন্তিনার সাহায্য চাইলেন শেখ হাসিনা
ফুটবলের উন্নয়নের জন্য আর্জেন্তিনার সাহায্য চাইলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনা। লাতিন আমেরিকার দেশ আর্জেন্তিনা ৪৫ বছর ধরে বাংলাদেশে তাদের দূতাবাস বন্ধ রাখে। সেই দূতাবাস পুনরায় চালু হতে চলেছে ঢাকায়।
মঙ্গলবার দূতাবাস পুনরায় চালু করার অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ আসা আর্জেন্তিনার বিদেশমন্ত্রী আন্দ্রেস ক্যাফিয়েরোকে শেখ হাসিনা বলেন, ‘লাতিন আমেরিকার ফুটবল দলের বড় ভক্ত বাংলাদেশের মানুষ। এছাড়াও আর্জেন্তিনার লিওনেল মেসি আমাদের একদম ঘরের প্লেয়ার হয়ে উঠেছে।’ উল্লেখ্য বাংলাদেশে খেলে গিয়েছেন লিওনেল মেসি। ক্যাফিয়েরো বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। প্রধানমন্ত্রীর দফতরের এক মুখপাত্র জানান, দুই দেশের ফুটবল নিয়ে কথা হয় সেই বৈঠকে। সেই সময় হাসিনা ক্যাফিয়েরোকে বলেন, ‘আমাদের ফুটবলের বিকাশের জন্য সহায়তা করুন।’
শেখ হাসিনা ক্যাফিয়েরোকে বলেন, ‘আর্জেন্তিনার সঙ্গে যোগাযোগ ও সম্পর্ক মজবুত করতে আমরা খুবই আগ্রহী। আশা করি দুই দেশেই আর্থ সামাজিক অবস্থার উন্নতির মাধ্যমে দুই দেশের জনগণের অনেক উন্নতি হবে। আমাদের দেশ থেকে আর্জেন্তিনা আরএমজি পণ্য উচ্চমানের পাট ও পাটজাত পণ্য, চামড়া এবং জুতো সামগ্রী কিনতে পারে। আর্জেন্তিনা থেকে বাংলাদেশে পাঠাতে পারে পশু ও উদ্ভিজ্জ চর্বির তেল ও তেলের বীজ, ফল, দুগ্ধজাত পণ্য এবং প্রাকৃতিক মধু।’
বাংলাদেশ তাঁর ফুটবল উন্মাদনার জন্য বিশ্ব ফুটবল মহলে বেশ পরিচিত নাম। বাংলাদেশের নাগরিকরা লাতিন আমেরিকার প্রধান দুই প্রতিপক্ষ ব্রাজিল ও আর্জেন্তিনাকে সমর্থন করে। ২০২২ কাতার বিশ্বকাপে বাংলাদেশের বেশিরভাগ জনগণই আর্জেন্তিনাকে সমর্থন করেছে। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনারও খেলাধুলার প্রতি যথেষ্ট আগ্রহ রয়েছে। তবে তিনি কোন দলকে সমর্থন করেন তা জানা যায়নি। বাংলাদেশ সরকারের সড়ক পরিবহন মন্ত্রী জানান, তিনি আর্জেন্তিনা ও ব্রাজিল দুই দলকেই সমর্থন করেন।
বিশ্বকাপে বাংলাদেশের অনেক মানুষকে আর্জেন্তিনাকে সমর্থন করতে দেখা গিয়েছে। তার বিনিময়ে আর্জেন্তিনা বিশ্বকাপ জেতার পর দেশে ফিরলে সেখানে বাংলাদেশের পতাকা উড়তে দেখা যায়। দীর্ঘ ৪৫ বছর পর বাংলাদেশে দূতাবাস খোলায় যেমন রাজনৈতিক এবং কূটনৈতিক সম্পর্কের উন্নতি হবে, তেমনভাবেই ফুটবলের ক্ষেত্রে তার প্রভাবও পড়বে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞ মহল।
For all the latest Sports News Click Here