বাঁচার লড়াই ছোট থেকেই! হাসপাতালে শুয়ে ক্লাস টুয়েলভের পরীক্ষা দিয়েছিল ঐন্দ্রিলা
রবিবার শেষ হয়ে গিয়েছে টানা একটা লড়াই। হার-জিতের প্রশ্নই আসে না, কারণ অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা শর্মা বুঝিয়ে দিয়েছেন তিনি চলে গিয়েও থেকে যাবেন সকলের মনে সারাজীবন। তবে চোখের জল শুকোচ্ছে না পরিবার-বন্ধু-অনুরাগীদের। ছোটবেলাটা বহরমপুরে কেটেছিল তাঁর। সেখানকার ইন্দ্রপ্রস্থ এলাকার চারতলা বাড়িটার নেমপ্লেটে বাবা, মা ও দিদির সঙ্গে তাঁর নামটাও জ্বলজ্বল করছে।
ঐন্দ্রিলা ও তাঁর দিদি ঐশ্বর্য বহরমপুরেরই কাশীশ্বরী গার্লস হাইস্কুলের ছাত্রী ছিল। ২০১৫ সালে একাদশ শ্রেণিতে থাকাকালীনই প্রথম ক্যানসার ধরা পড়ে। ক্লাস ইলেভেনে থাকতেই অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন খুব, কিন্তু সে বছরটা স্কুলে গিয়েই পরীক্ষা দিয়েছিলেন। ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা চৈতালী চট্টোপাধ্যায় জানান, ‘ক্লাস টুয়েলভের পরীক্ষার সময় এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করতে হয় ঐন্দ্রিলাকে। তবে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ ঐন্দ্রিলা জানিয়ে দেয় হাসরাতালের বেডে শুয়েই পরীক্ষা দেবে। আর সেটাই করেছিল।’
জুলাই মাসে শেষ বহরমপুরে গিয়েছিলেন। পুজোতে যাওয়ার কথা থাকলেও হয়ে ওঠেনি। আর পুজো মিটতেই তো এভাবে চলে গেলেন। ফলত ঘরের মেয়েটাকে শেষ দেখাটাও টিভিতেই দেখলেন সকলে।
প্রথমবার বোনম্যারো ক্যানসার হয়েছিল ঐন্দ্রিলার। তারপর পুরো সুস্থ হয়ে উঠে যোগ দেন এক নাচের রিয়েলিটি শো-তে। সেখান থেকে ঝুমুর দিয়ে পা রাখেন অভিনয়ে। ওখানেই পরিচয় হয় প্রেমিক সব্যসাচী চৌধুরীর সঙ্গে, যদিও তখন তাঁরা শুধুই বন্ধু। জনপ্রিয়তা এনে দেয় ‘জিয়ন কাঠি’। আর এই ধারাবাহিকে কাজ করার সময়ই দ্বিতীয়বার মারণরোগ থাবা বসায় শরীরে। এবার ফুসফুসে। সেই নিয়েই বেশ কিছুদিন শ্যুট চালিয়ে গিয়েছিলেন।
দ্বিতীয়বার ক্যানসারকে হারিয়ে প্রথম দেখা দেন জি বাংলার ‘দিদি নম্বর ১’-এ। তারপর আসেন ‘দাদাগিরিতে’। ভাগাড় ওয়েব সিরিজেও কাজ করেছিলেন তিনি, সঙ্গে সব্যসাচী। তবে ১ নভেম্বর হঠাৎ ব্রেন স্ট্রোক। তারপর ২০ দিনের লম্বা লড়াই থামল রবিবার।
For all the latest entertainment News Click Here