‘বলো ও আমার সন্তান, তোমায় বিয়ে করে নেব’,সেদিন অন্তঃসত্ত্বা নীনার পাশে ছিলেন সতীশ
ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের খ্যতনামা ক্রিকেটার ভিভিয়ান ভিভিয়ান রিচার্ডসের প্রেমে পড়েছিলেন নীনা গুপ্ত। ভিভের সঙ্গে প্রেম, ওয়ান নাইট স্ট্যান্ডের সিদ্ধান্ত কোনওটাই কখনও লুকিয়ে রাখেননি নীনা। ভিভ রিচার্ডস বিয়ে করতে অস্বীকার করার পরও কুমারী মা হিসাবে নীনা জন্ম দিয়েছিলেন মাসাবার। সালটা ১৯৮৯, সেসময় দাঁড়িয়ে বিষয়টা মোটেও সহজ ছিল না। সেদিন অন্তঃসত্ত্বা নীনার পাশে ভিভ ছিলেন না ঠিকই, তবে সতীশ কৌশিক তাঁর পাশে দাঁড়াতে চেয়েছিলেন।
সতীশ কৌশিকের সঙ্গে দীর্ঘদিন বন্ধুত্ব প্রসঙ্গে নিজের আত্মজীবনী ‘সচ কহু তো’-তে লিখেছেন নীনা। নাসিরুদ্দিন শাহ, রবি বাসওয়ানি এবং সতীশ কৌশিকের সঙ্গেনীনা গুপ্তার অন্যতম চর্চিত ছবি হল ‘জানে ভি দো ইয়ারো’। সেই ছবিতে যখন নীনা শ্যুটিং করছেন, তখন চারিদিকে নীনার হবু সন্তান নিয়ে চলছে চর্চা। গসিপ ম্যাগাজিন গুলোতেও নীনা গুপ্তার মা হতে চলা নিয়ে লেখালিখি হচ্ছে। কেউ কেউ নীনার সন্তান কৃষ্ণবর্ণের হবে কিনা তা নিয়েও খোঁচা দিতে ছাড়েননি। নীনা তাঁর আত্মজীবনীতে লেখেন ,সতীশ সে সময় তাঁর পাশে দাঁড়িয়েছিলেন, বলেন ‘তোমার সন্তান যদি কৃষ্ণবর্ণের হয় তাতেও অসুবিধা নেই। বলে দিও ও আমার সন্তান। আমরা ওঁর জন্মের আগেই বিয়ে করে নিতে পারি। তাহলে কোনও প্রশ্নের অবকাশ থাকবে না।’ নীনা আত্মজীবনীতে লেখেন, সতীশের সঙ্গে তাঁর বন্ধুত্ব দীর্ঘদিনের, সবসময় তিনি কৌতুকশিল্পীকে পাশে পেয়েছেন। এমনকি ভিভের সঙ্গে সম্পর্কের নানান বিষয় নিয়েও তিনি সতীশের সঙ্গে নির্দ্বিধায় আলোচনা করেছেন।
নীনার সঙ্গে বন্ধুত্ব প্রসঙ্গে সতীশ কৌশিক এক সাক্ষাৎকারে বলেন, নীনার সঙ্গে তাঁর বন্ধুত্ব ১৯৭৫ সাল থেকে। ‘নীনার অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার খবর তখন কিছু লোকজনই জানতেন। সেসময় বিয়ে না করে মা হওয়া সহজ ছিল না, নীনাকে কুর্নিশ জানাতে হয়। বন্ধু হিসাবে ওর পাশে থাকতে চেয়েছিলাম। যাতে ও একাকীত্বে না ভোগে। ও যা লিখেছে আত্মজীবনীতে তাতে ওর প্রতি আমার স্নেহই প্রকাশ পেয়েছে। সেদিন ও আমার কথা শুনে কেঁদে ফেলেছিল। আমাদের বন্ধুত্ব আরও গভীর হয়েছিল।’
For all the latest entertainment News Click Here