বন্ধের মুখে ‘মেয়েবেলা’! রাগ কমছেই না রূপার, ‘আমাকে বাড়ি থেকে ডেকে অপমান করেছে’
একমাস ধরে নানা টালবাহানা। তবে শেষরক্ষা হল না। বুধবার হয়ে গেল ‘মেয়েবেলা’র শেষ দিনের শ্যুট। খবর ছড়িয়ে পড়তেই মন খারাপের রেশ দর্শকদের মধ্যে। সোশ্যাল মিডিয়ায় মনখারাপের পোস্ট করেছেন ধারাবাহিকের পরিচালক ইতিমধ্যেই। বুধবার রাতেই একটি পোস্ট করেন পরিচালক সুমন দাস। লেখেন, ‘অনেকদিন পরে একটা মনের মতো শো পরিচালনা করতে পেরে খুব ভালো লাগছিল। কিন্তু সেটা এত তাড়াতাড়ি শেষ হয়ে যাবে ভাবিনি। যাই হোক, ভালো জিনিস কম হলেই ভালো। সেটা মনে থেকে যায়। আর মানুষও বিরক্ত হয় না। থ্যাঙ্ক ইউ সুরিন্দর ফিল্মস, থ্যাঙ্ক ইউ মেয়েবেলার সমস্ত আর্টিস্টদের। থ্যাঙ্ক ইউ স্টার জলসাকে।’
দর্শকদের মধ্যে অনেকেরই ধারণা মেয়েবেলা এত জলদি শেষ হত না, যদি না রূপা গঙ্গোপাধ্যায় মাঝ পথে সিরিয়ালের হাল ছেড়ে দিতেন। রূপা সেইসময় জানিয়েছিলেন শাশুড়ির হাতে বউমার হেনস্থা হওয়া একেবারেই ভালো লাগছিল না তাঁর। তাঁকে যে ক্যারেক্টার ব্রিফ দেওয়া হয়েছিল পরে দেখা যায় তাঁর সঙ্গে চরিত্রের কোনও মিল নেই। যে মাত্রায় নোংরামো দেখানো হচ্ছিল তাতে বাধ্য হয়েই সিরিয়াল ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। চ্যানেল থেকে শুরু করে প্রযোজনা সংস্থা, কারও সঙ্গে কথা বলেই কোনও লাভ হয়নি।
মেয়েবেলা নিয়ে ফের একবার মুখ খুললেন অভিনেত্রী। টুডেজ স্টোরি নামক এক সংবাদমাধ্যমকে জানালেন, ‘আমাকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে দুঃখ দেওয়া হয়েছিল। ডেকে নিয়ে গিয়ে অপমান করা হয়েছিল ফ্লোরে। প্রযোজক থেকে শুরু করে অনেকের উপরে দোষ চাপানোর চেষ্টা হয়েছে তা সত্যি কথা নয়। ফ্লোরে আমাকে কষ্ট বেশি দেওয়া হয়েছে।’
আগামীদিনের কাজ নিয়ে প্রশ্ন উঠলে রূপা স্পষ্ট করে দেন, ‘আমার মুশকিল হল আমি কিছু পুরনো পদ্ধতি অনুসরণের চেষ্টা করি এখনও। সকাল সাতটায় কল মানে সকাল ৭টা ১৫-র মধ্যে উইথ মেকআপ ঢোকা পছন্দ করি। জীবনের শেষদিন অবধি তাই করব। সেগুলো মেনে যদি কাজের সুযোগ পাই তাহলেই করব। মেয়েবেলায় যে কথাগুলো আমায় দেওয়া হয়েছিল, দিন পনেরোর মধ্যে তা মুছে ফেলে দেওয়া হয়। সেই মিথ্যেচারীতার ফাঁদে আর পড়ব না।’
‘আমাকে বলা হয়েছিল স্ক্রিপ্ট দেওয়া হবে। একটা গল্পের লাইন পরিষ্কার জানতে পারব। ৫-৭টা ওয়ান লাইনার পাব। সেগুলো কিচ্ছু হয়নি। দিনের পর দিন চেয়েছি পাইনি। তারপর দিনের দিন গরম গরম ভেজে আসছে, সেগুলো বলতে হবে। আমি কোনও দম দেওয়া পুতুল নেই। এখন কেউ যদি সেই মেনে চলার চেষ্টা করে আমার নিয়মগুলো, তাহলেই আমি কাজ করব। না হলে বাড়িতে বসে গান শুনব। বই পড়ব।’, আরও জানান রূপা।
For all the latest entertainment News Click Here