বড্ড গালাগালি দেন সইফ, পর্ন সাইট চালান অমৃতা, দৃঢ় বিশ্বাস ছিল সারার! কেন জানেন?
সইফ আলি খানের সঙ্গে অমৃতা সিংয়ের যখন বিচ্ছেদ হয়, সারা আলি খানের বয়স তখন মাত্র ৯। এরপর মায়ের কাছে মানুষ হলেও বাবার সাহচর্য থেকে দূরে থাকেননি সারা। বিচ্ছেদের পরেও দুই সন্তান সারা ও ইব্রাহিমকে বড় করার পাশাপাশি ব্যস্ত শিডিউলের ফাঁকে সময় পেলেই তাঁদের সঙ্গে যথেচ্ছ সময় কাটিয়েছেন সইফ। তা সত্বেও সেই সময়ে সইফ এবং অমৃতাকে অত্যন্ত ‘বাজে’ মানুষ হিসেবে মনে হত সারার। আরও স্পষ্ট করে বললে সারার মনে এই ধারণা গড়ে উঠেছিল তাঁর বাবার মুখে গালাগাল এবং নোংরা কথা ফুলঝুরি ছোটে, অন্যদিকে মা অমৃতা সিং পর্ন সাইট চালায়!
খুলেই বলা যাক গোটা বিষয়টা। সারা তখন বেশ ছোট। সেইসময় বক্স অফিসে মুক্তি পায় সইফ অভিনীত ‘ওমকারা’ ছবিটি। সেখানে ‘ল্যাংড়া ত্যাগী’ চরিত্রে দুরুন্ত অভিনয়ের পাশাপাশি বিস্তর গালিগালাজ দিয়েছিলেন সইফ। অন্যদিকে, ‘কলিযুগ’ ছবিতে প্রধান ভিলেন হিসেবে পর্দায় হাজির হয়েছিলেন অমৃতা। ওই ছবিতে তাঁকে দেখা গেছিল একটি কুখ্যাত পর্ন সাইটের কর্ণধার হিসেবে। চরিত্রটি যথেষ্ট কূট এবং নিষ্ঠুর ছিল তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
‘হার্পার বাজার ইন্ডিয়া’-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে নিজের ছেলেবেলার স্মৃতি প্রসঙ্গে সারা বলেছেন, ‘ছোটবেলায় এই দুই ছবি দেখে একদিকে যেমন চমকে উঠেছিলাম অন্যদিকে ভারি কষ্ট পেয়েছিলাম। বেশ ছোটই ছিলাম যখন এই দু’টি ছবিই দেখেছিলাম। তাই সত্যি সত্যিই ভেবে নিয়েছিলাম ওটাই আমার বাবা এবংগ মায়ের সত্যিকারের রূপ। এবং বিশ্বাস করুন ব্যাপারটা মোটেই মজার ছিল না তখন। দারুণ অস্বস্তিতে দিন কাটাতাম’। সামান্য থেমে সারা আরও জানান তিনি আরও চমকে উঠেছিলেন যখন দেখেছিলেন যে এরপর একইসঙ্গে ‘সেরা ভিলেন’ এর খেতাবের জন্য ফিল্ম অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানে তাঁর বাবা ও মায়ের নাম বাছাই করেছে বিচারকের দল। সারার কথায়, ‘বুঝতেই পারছিলাম না চারপাশে কী হচ্ছে। সেরা ভিলেন হিসেবে আমার বাবা এবং মায়ের নাম নির্বাচন হওয়ায় যারপরনাই অবাক হয়েছিলাম। নিজেকেই ব্বলতাম এসব হচ্ছেটা কী!’
For all the latest entertainment News Click Here