বড় চুল, সারা মুখ ভর্তি দাড়ি, ছবির মধ্যমণি, চেয়ারে বসা মানুষটিকে চিনলেন?
একটা বাড়ির লম্বা করিডোর। সেখানেই বসে আছেন কিছু মানুষ। দুজন দেওয়ালের পাশে রাখা বেঞ্চিতে বসে। একজন চেয়ারে মধ্যমণি হয়ে। আর দুজন দুই পাশে দাঁড়িয়ে। সামনের টেবিলে রাখা নানা ধরনের খাবার। এঁদের মধ্যে চেয়ারে বসে থাকা মানুষটি কিন্তু যে সে কেউ নন। বরং তাঁর একটা বিশেষ পরিচিতি আছে। বিপুল জনপ্রিয়তা তাঁর। কে বলুন তো? এক মাথা লম্বা চুল, সারা মুখ ভর্তি দাড়ি গোঁফ। পরনে টিশার্ট আর প্যান্ট। চিনতে পারলেন? আচ্ছা হিন্ট দিই বরং। এই প্রজন্মের অন্যতম শ্রেষ্ঠ জীবনমুখী গানের গায়ক। বুঝলেন না? আচ্ছা, আরও একটু বলি, ‘রাজশ্রী তোমার জন্য…’ কিংবা ‘আমার ঠিকানা সেই বৃদ্ধাশ্রম।’ এবার চেনা গেল? হ্যাঁ, ইনি হলেন নচিকেতা চক্রবর্তী।
ফেসবুকের পাতায় এদিন একটি পুরনো ছবি পোস্ট করেন গায়ক। এই ছবিতে দেখা যাচ্ছে জিয়াগঞ্জ কলেজে অনুষ্ঠান করতে গিয়ে তার আগে সতীর্থ এবং স্ত্রীর সঙ্গে আড্ডা দিচ্ছেন তিনি। অনুষ্ঠানের পর একটি হোটেলের করিডোরেই আড্ডা জমিয়েছিলেন তাঁরা। তাঁর সঙ্গীত সফরের ৩০ বছর এটা। সেই কথা গায়ক নিজেই তাঁর পোস্টে জানিয়েছেন।
এই ছবিতে থাকা প্রতিটি মানুষের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিয়ে বলেন তাঁর পিছনে দাঁড়িয়ে থাকা ব্যক্তি হলেন মিঠু সোম। টেবিলের কাছে যিনি দাঁড়িয়ে আছেন তিনি হলেন ঋত্বিক মিত্র। আর দেওয়ালের কাছে বেঞ্চিতে বসা দুজন হলেন জয় সেনগুপ্ত এবং গায়কের স্ত্রী সুমিতা চক্রবর্তী।
এই ছবি পোস্ট করে নচিকেতা লেখেন ‘১৯৯৪ সালে মুর্শিদাবাদ জেলার জিয়াগঞ্জে অনুষ্ঠানের পর লালবাগ অঞ্চলের একটি হোটেলে অবসরে। ছবিতে নচিকেতার পিছনে দাঁড়িয়ে মিঠু সোম (সাউন্ড), সামনে ঝুঁকে ঋত্বিক মিত্র (গিটার), সামনে বসে জয় সেনগুপ্ত (তবলা) এবং নচিকেতার সহধর্মিনী শ্রীমতি সুমিতা চক্রবর্তী।’
একই সঙ্গে তিনি আরও লেখেন, ‘একটি আনপ্যারালাল সফরের ৩০ বছর। নচিকেতা ৩০।’ এই পোস্টেই তিনি জানান এই ছবিটি তাঁর স্ত্রীর খুঁজে দেওয়া। তিনিই পুরনো কথা স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন। এখানে নচিকেতা একাধিক হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করেছেন। লিখেছেন নচিকেতা, আগুনপাখি, আগুনপাখি আর্কাইভ।
অনেকেই তাঁর এই পোস্টে নিজেদের মতামত জানিয়েছেন। এক ব্যক্তি লেখেন, ‘১৯৯৪ সাল থেকে ২০২৩, এখনও এতটুকু পরিবর্তন হয়নি। তুমি চিররঙিন।’ আরেক ব্যক্তি লেখেন, ‘সেই কলেজের অনুষ্ঠান দেখেছিলাম। আরেকবার আসুন না জিয়াগঞ্জে।’ নচিকেতার এক ভক্ত স্মৃতিচারণ করে লেখেন, ‘ আমি তখন এই কলেজের ফার্স্ট ইয়ারে পড়ি। এই কলেজের অনুষ্ঠানের পর বহরমপুরে অঞ্জনা দির বাড়িয়ে আমরা সবাই নচিকেতাকে দেখতে গিয়েছিলাম। কাছ থেকে ওঁর অ্যালবামের অনেক গান শুনেছিলাম। অটোগ্রাফ নিয়েছিলাম। এখন পুরনো কথা মনে পড়লে খুব ভালো লাগে।’
For all the latest entertainment News Click Here