বছরের শুরুতেই টলিগঞ্জে দুঃসংবাদ! অকালে চলে গেলেন অঞ্জন চৌধুরী পুত্র, সন্দীপ
২০২৩-এর শুরুতেই বিরাট ধাক্কা টলিপাড়ায়! চলে গেলেন অঞ্জন চৌধুরী পুত্র তথা পরিচালক সন্দীপ চৌধুরী। দিন কয়েক আগেই সিরিয়ালের সেটে অসুস্থবোধ করায় একবালপুরের এক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল পরিচালককে। মঙ্গলবার সকাল ১১টা নাগাদ শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন সন্দীপ চৌধুরী। তাঁর অকাল মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ ইন্ডাস্ট্রি। জানা গিয়েছে, তাঁর হার্টে স্টেন্ট বসানোর চেষ্টা চলছিল কিন্তু অনান্য শারীরিক জটিলতা দেখা যাওয়ায় তা শেষ পর্যন্ত সম্ভবপর হয়নি।
বাংলা টেলিভিশনের জগতে এক উজ্জ্বল নাম সন্দীপ চৌধুরী। ইন্ডাস্ট্রিতে ‘বাবু’ নামেই পরিচিত ছিলেন। বাবার পদচিহ্ন অনুসরণ করেই তুলে নিয়েছিলেন পরিচালকের দায়িত্ব। একাধিক জনপ্রিয় মেগা সিরিয়াল ও সিনেমা পরিচালনা করেছেন এই মানুষটি। এদিন একমাত্র ভাইকে হারালেন অভিনেত্রী চুমকি ও রিনা চৌধুরী। সম্প্রতি কালার্স বাংলার ‘ফেরারি মন’ ধারাবাহিকের দায়িত্ব ছিল তাঁর কাঁধে। যদিও তাঁর কেরিয়ারের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য কাজ ‘এরাও শক্রু’ এবং ‘রাঙিয়ে দিয়ে যাও’।
সন্দীপ চৌধুরীর মৃত্যুর খবর জানিয়ে অভিনেতা সোহন বন্দ্যোপাধ্যায় লেখেন, ‘সকাল ১১টা নাগাদ একবালপুর নার্সিংহোমে বাবু (সন্দীপ চৌধুরী) মারা গেছে। কয়েকদিন আগে হার্ট অ্যাটাক নিয়ে ভর্তি হয়েছিল। স্টেন্ট বসানোর চেষ্টা চলছিল, কিন্তু প্যারামিটার্স ফ্লাকচুয়েট করায় বসানো যায়নি।’
‘ডিরেক্টর অ্যাসোসিয়েশন অব ইস্টার্ন ইন্ডিয়া’-র সভাপতি ছিল সন্দীপ চৌধুরী। ‘উড়ন তুবড়ি’, ‘কন্যাদান’-এর মতো মেগা সিরিয়ালের পরিচালনার দায়িত্ব সামলেছেন প্রয়াত পরিচালক। তাঁর অকাল প্রয়াণে শোকস্তব্ধ টেলিপাড়া। অভিনেতা জয়জিৎ চৌধুরী ফেসবুকের দেওয়ালে লেখেন- ‘সন্দীপ চৌধুরী,, বাবু … উফ,..,, এটা কথা ছিলো না ভাই…’। পরিচালক সন্দীপ চৌধুরীকে তাঁর সহকর্মীরা সবচেয়ে বেশি মনে রাখবে তাঁর ভদ্র ও নম্র স্বভাবের জন্য। অভিনেতা সপ্তর্ষি রায় নিজের প্রতিক্রিয়া জানিয়ে লেখেন, ‘ইন্ডাস্ট্রিতে আরও একটা ভদ্র মানুষ কমে গেল..’।
গত বছর অগস্ট মাসে প্রয়াত হয়েছিলেন অঞ্জন চৌধুরীর স্ত্রী জয়শ্রী চৌধুরী। মাস কয়েক যেতে না যেতেই ফের ধাক্কা খেল বেহালার চৌধুরীর পরিবার।
For all the latest entertainment News Click Here