বউদি না থাকলেও অন্য মেয়েকে নিয়ে ঘরে ছিটকিনি বন্ধ করত সাগ্নিক! বিস্ফোরক পরিচারিকা
খুন নাকি আত্মহত্যা? কীভাবে মৃত্যু হল অভিনেত্রী পল্লবী দে-র? উত্তর খুঁজছে পুলিশষ। ‘আমি সিরাজের বেগম’ খ্যাত মিষ্টি, প্রাণোচ্ছ্বল মেয়েটা এইভাবে চলে যাবে? এখনও বিশ্বাসই করতে পারছে না টেলিপাড়ার অনেকে। তবে পল্লবী-সাগ্নিকের সম্পর্ক আর পাঁচটা সুখী দম্পতির মতো ছিল না, তার ইঙ্গিত ইতিমধ্যেই মিলেছে। তাঁদের মধ্যে প্রায়ই কথাকাটাকাটি চলত, সেটা হাতাহাতির পর্যায়েও পৌঁছে যেত মাঝেমাধ্যেই।
গড়ফার ফ্ল্যাটে স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে থাকতেন দুজনে। প্রতিবেশিরাও তাঁদের মধ্যেকার ঝামেলার আঁচ পেত। দুজনের এই সম্পর্কের জটিলতার ইঙ্গিত মিলল পরিচারিকা সেলিমা সর্দারের কথাতেও।
পল্লবীর গৃহ সহায়িকা সেলিমা সর্দার এদিন হাজির হন গড়ফা থানায়। ক্যানিং-এর বাসিন্দা সেলিমা এদিন ছবি দেখে শনাক্ত করেছে ঐন্দ্রিলাকে। পল্লবীর অনুপস্থিতিতে ওই ফ্ল্যাটে সাগ্নিকের সঙ্গে ছিল ঐন্দ্রিলা, জানিয়েছে সে। সেলিমা বলেন, ইদের ছুটির পরদিন ফ্ল্য়াটে গিয়ে সে দেখে সেখানে রয়েছে একটি রোগা করে মেয়ে, ঐন্দ্রিলা এবং অপর এক ছেলে। সকালে ছেলেটির সঙ্গে রোগা মেয়েটি বেরিয়ে যায়। সেলিমা জানায়, ‘এরপর বউদি আমাকে মাছ আনতে বলে ও কাজে বেরিয়ে যায়। মেয়েটা সারাদিন ছিল। মাছ রান্না করল। এরপর আমাকে চা করতে বলল। দাদার সঙ্গে ঘরে চা খাচ্ছিল। এরপর আমি জামাকাপড় এনে দেখলাম ওরা ঘরের ভিতরে, ছিটকিনি বন্ধ রয়েছে। কী করছিল আমি জানি না’।
তবে বউদির বান্ধবীর সঙ্গে দাদার ঘনিষ্ঠতা পছন্দ হয়নি তাঁর জানান সেলিমা দেবী। পুরোটাই যেন গোলকধাঁধা! সময় যত এগোচ্ছে পল্লবী-সাগ্নিকের ব্যক্তিগত জীবনের একের পর এক চাঞ্চল্য তথ্য সামনে এসেছে। সাগ্নিকের আগে পল্লবী রেহানের সঙ্গে সম্পর্কে ছিলেন, সেই সময় সাগ্নিক সুকন্যা মান্নার স্বামী। সেই বিয়েতে হাজির ছিলেন পল্লবী। এরপর বিবাহিত সাগ্নিকের সঙ্গে সম্পর্কে জড়ান পল্লবী। এরপর পল্লবীর ছোটবেলার বান্ধবী ঐন্দ্রিলা নাকি চলে আসেন পল্লবী ও সাগ্নিকের মধ্যে, এমনটাই দাবি প্রয়াত নায়িকার পরিবারের। সম্পর্কের জটিলতাতেই কি শেষ হয়ে গেলেন পল্লবী?
পল্লবীর পরিচারিকা আরও জানান, রবিবার সকালে সাড়ে সাতটা থেকে সাড়ে আটটার মধ্যে তিনবার পল্লবীর সঙ্গে ফোনে কথা হয় তাঁর। কোনও অস্বাভাবিকতা তাঁর মনে হয়নি। ওইদিন পল্লবীর সঙ্গে তাঁর হাওড়ার বাড়িতে যাওয়ার কথা ছিল সেলিমার। কিন্তু অসুস্থ হওয়ায় তিনি আসতে পারবেন না বলে জানান। এতেই ‘মাথাগরম’ পল্লবী ফোনেই রাগারাগি করেন, শেষে ফোন কেটে দেন।
পল্লবীর বাবা নীলু দে সংবাদমাধ্যমকে জানান, ‘ফ্ল্যাটে ঐন্দ্রিলা আসত। মেয়ের মৃত্যুর জন্য ঐন্দ্রিলা ও সাগ্নিক দায়ী। তাকে খুন করা হয়েছে। তার দাবি উপযুক্ত তদন্ত হোক।দোষীদের শাস্তি হোক।’ তিনি আরও যোগ করেন, ‘মেয়ে স্পষ্ট জানিয়েছিল সাগ্নিককে দু নৌকায় পা দিয়ে তুমি চলো না’। পল্লবীর রহস্যমৃত্যুতে এখনও বহুপ্রশ্নের উত্তর অধরা। এর মাঝেই এদিন সাগ্নিককে আলিপুর আদালতে পেশ করবে পুলিশ।
For all the latest entertainment News Click Here