বং গাই কিরণের ‘এ কেমন সিনেমা’ সিরিজ ‘টুকে তৈরি’, ‘প্রমাণ’ দিয়ে দাবি সিনেবাপের!
বেশ কয়েকদিন ধরেই চলছে সিনেবাপ মৃন্ময় দাস আর বং গাই কিরণ দত্তর মধ্যে ঝামেলা। প্রথমে যা শুরু হয়েছিল ‘দাদাগিরি’ নিয়ে, তা এবার গিয়ে দাঁড়াল চুরির অভিযোগে। বং গাই-এর কেরিয়ারে সাফল্য এনে দেওয়া সিরিজ ‘এ কেমন সিনেমা’ টুকে বানানো হয়েছে বলে দাবি তুললেন মৃন্ময়। শুধু মুখেই বললেন না, নিজের বক্তব্যের প্রমাণও দাখিল করলেন। যেখানে দেখা গেল, লাইন টু লাইন মিল রয়েছে।
যদিও এই বিতর্ক আজকের নয়। সোশ্যাল মিডিয়ায় অনুভব মাইতি নামের এক ব্যক্তি দাবি করেছিলেন সুমন সরকার নামে একজন বই লিখেছেন ‘বউ সিরিজ রিভিউ ও অন্যান্য’ নামে। অবশ্য নিজের লেখা তার আগে তিনি পোস্ট করেছিলেন ফেসবুকে। সেই লেখাগুলি নিয়েই পরে প্রকাশ করেন বই। আর এই বইতে থাকা রিভিউ-র সঙ্গে আশ্চর্য মিল আছে বং গাইয়ের করা রিভিউর। লাইন টু লাইন মিল পড়ে শুনিয়েছিলেন অনুভব। যদিও তা অনেক পুরনো কাসুন্দি, ২০১৯ সালের অগস্ট মাসে পোস্ট করা হয়েছিল ভিডিয়োখানা। আর সেই পুরনো ঘটনাকেই সামনে আনলেন সিনেবাপ মৃন্ময়। দাবি তুললেন, এই ‘টোকা’র অভিযোগের জবাব এখনও কেন দেয়নি বং গাই।
https://www.youtube.com/watch?v=lU42Blf1AAQ
এদিকে মৃন্ময় ভিডিয়ো পোস্ট করার কিছুক্ষণ পরেই নিজের সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে কিরণ দাবি তোলেন, মিথ্যে অভিযোগ এনেছেন সিনেবাপ। বং গাই লেখেন, ‘আবারও মিথ্যে অভিযোগ। বহু বছর আগে এই লেখকের কিছু মুভি রিভিউ মিলে যায় আমার রিভিউ-র সাথে। তার মধ্যে কিছু তার আগে লেখা, কিছু আমার। যেমন অ্যমাজন অভিযান আমার আগে লেখা। একই সিনেমার রিভিউ, তাই কিছু লাইন না চাইতেও মেলে। তাই আমরা দু’জনই ঠিক করি কেউ কাউকে দোষারোপ করব না। এই লেখক যেই সিনেমার রিভিউ করবেন আমি সেই সিনেমার রিভিউ করবই না তাও ঠিক করি আমরা, যাতে কোনোভাবেই না মিলে যায়। কারণ আমাদের দু’জনকেই একই জিনিস শুনতে হয়েছিল। আমরা নিজেরাই সেটা মিটিয়ে নিই। আজ ওনার পারমিশনে এটা নিয়ে ভিডিও করা হল তো ! যদি না হয় তবে শুধুমাত্র মানহানি করা ছাড়া এটা কিছুই না। আমার কী করা উচিৎ?’ এই পোস্টের সঙ্গে ওই লেখক সুমন সরকারের সঙ্গে হওয়া কথার স্ক্রিনশটও শেয়ার করেন কিরণ।
এরপর সোশ্যাল মিডিয়ায় দুই ধরনের বক্তব্যই উঠে এল। কিরণের ‘চর্চিত প্রেমিকা’ ‘আলু দ্য ফ্রেঞ্চ ফ্রাই’-এর অন্তরা নয়না রায় মজুমদার যেমন লিখলেন, ‘লিমিট ক্রস হয়ে গেলে স্টেপ নেওয়া উচিত…’ তেমনই কিরণের ভক্তরা প্রশ্নব তুললেন, কাকতালীয় ভাবে এতটা মিল কি আদৌ সম্ভব। কেন এতদিন এই নিয়ে একটা কথাও শোনা যায়নি বং গাই-য়ের মুখে!
এদিকে ২০১৯ সালে কিরণের উপরে ‘চুরির অভিযোগ’ আনা অনুভব মাইতি লিখলেন তাঁর মত না নিয়েই তাঁর পুরনো ভিডিয়ো ব্যবহার করেছেন সিনেবাপ। এমনকী এটাকে ‘অন্যের ঘাড়ে বন্দুক রাখা’ বলে উল্লেখ করলেন তিনি!
বৃহস্পতিবারই সিনেবাপ আর বং গাই জানিয়ে দিয়েছে ‘এই নিয়ে আর ভিডিয়ো বানাব না’ (ঠিক কী নিয়ে তা কেউই বলেননি, কারণ বিতর্ক দাদাগিরি ছাড়িয়ে, সিনেবাপের বউকে ছাড়িয়ে, কিরণের প্রেম ছাড়িয়ে, এসে দাঁড়িয়ে টোকাটুকিতে)! কিন্তু নেট-নাগরিকদের বিশ্বাস এ এক বড় মহাভারত। এবার খেলা আরও জমবে।
For all the latest entertainment News Click Here