ফের ইডেনে এক লক্ষ দর্শক একসঙ্গে বসে খেলা দেখতে পারবেন, বড়সড় আপডেট দিলেন সৌরভ
সাম্প্রতিক অতীতেও ভারতে বড় কোনও টুর্নামেন্ট আয়োজিত হলে ফাইনাল ম্যাচ আয়োজনের দায়িত্ব পেত কলকাতার ইডেন গার্ডেন্স। ২০১৬ টি-২০ বিশ্বকাপের ফাইনালও ইডেনেই অনুষ্ঠিত হয়। তবে ছবিটা একটু বদলেছে এই মুহূর্তে। এখন আইপিএল ফাইনালই হোক বা বিশ্বকাপ ফাইনাল, বাজি জিতে নেয় আমদাবাদের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়াম।
সেটাই অবশ্য স্বাভাবিক। বিশ্বের সব থেকে বড় ও অত্যন্ত আধুনিক মানের স্টেডিয়ামেই যে সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ আয়োজিত হবে, তাতে বিতর্কের কিছু নেই। সেই কারণেই ২০২৩ ওয়ান ডে বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ও ফাইনাল ম্যাচ ছাড়াও ভারত-পাকিস্তান হাই ভোল্টেজ ম্যাচ আয়োজনের দায়িত্বও উঠেছে আমদাবাদের হাতে।
এক্ষেত্রে ইডেনের জৌলুস একটু কমলেও গুরুত্ব অক্ষুন্ন রয়েছে এখনও। তাই বিশ্বকাপের সেমিফাইনালের মতো বড় ম্যাচ আয়োজনের দায়িত্ব পয়েছে কলকাতা। টিম ইন্ডিয়ার প্রাক্তন দলনায়ক তথা প্রাক্তন বিসিসিআই সভাপতি সৌরভ স্পষ্ট জানালেন যে, বড় ম্যাচ আয়োজনের দায়িত্ব দেওয়ার ক্ষেত্রে দর্শকাসনের কথা মাথায় রাখা হয়। সেই জন্যই বিশ্বকাপের পরে ফের ইডেন সংস্কার করা হবে বলেও জানান মহারাজ।
আরও পড়ুন:- Emerging Asia Cup 2023: বদলে গেল ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের দিনক্ষণ, দেখে নিন এমার্জিং এশিয়া কাপের পূর্ণাঙ্গ সূচি
সৌরভ সিএবির প্রশাসনে থাকাকালীন মাঠ ও পিচের চরিত্রই বদলে দেন। পরে সিএবির পরিকাঠামো বদলনানোর কাজ চলে জোরকদমে। ক্লাবহাউস থেকে ড্রেসিংরুম, আধুনিকতায় ছোঁয়া লেগেছে সর্বত্রই। তবে দর্শকাসন ৬৭ হাজারেই আটকে রয়েছে। বাকেট চেয়ারের ব্যবস্থা করার আগে পর্যন্ত ইডেনে লক্ষাধিক মানুষ একসঙ্গে বসে খেলা দেখত। ইডেনকে ফের ‘এক লাখি’ করে তোলার কাজে নজর দেওয়া হবে বলে জানান সৌরভ।
তিনি বলেন, ‘বিশ্বকাপের পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ আয়োজনের দায়িত্ব পেয়েছে ইডেন। আমরা খুশি। এটা প্রত্যাশিতই ছিল। আমি যখন সিএবিতে ছিলাম, ২০১৬ সালে টি-২০ বিশ্বকাপের ফাইনাল হয় ইডেনে। পরে আরও একটি টি-২০ বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল হওয়ার কথা ছিল ইডেনে। তবে দুর্ভাগ্যের যে, টুর্নামেন্টটাই শেষমেশ দেশের বাইরে চলে যায়।’
আরও পড়ুন:- বিশ্বকাপের আগেই রিঙ্কুর সামনে খুলতে পারে জাতীয় দলের দরজা, এবার কেন ভারতের T20 স্কোয়াডে জায়গা হল না KKR তারকার?
সৌরভ আরও যোগ করেন, ‘আসলে স্টেডিয়ামের দর্শকাসনের বিষয়টি এই সব ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়ায়। ইডেনের এত দর্শকাসন, এত ভালো মাঠ, পিচও এত ভালো। প্রায় প্রতি বছরই তো ইডেন সেরা মাঠের পুরস্কার পায়। আমরা স্থির করেছি বিশ্বকাপের পরেই ইডেনের দর্শকাসন বাড়িয়ে ১ লক্ষ করা হবে। তাড়াতাড়িই কাজ শুরু হয়ে যাবে।’
একদিকে ইডেনের গুরুত্ব যখন আরও বাড়িয়ে তোলার দিকে নজর সৌরভের, ঝুলন গোস্বামীর চোখ রয়েছে ভারতের পুনরায় বিশ্বকাপ জয়ের দিকে। তিনি নিশ্চিত, রোহিত শর্মারা পুনরায় ভারতকে বিশ্বচ্যাম্পিয়নে পরিণত করবেন। টিম ইন্ডিয়ার উপর পূর্ণ আস্থা রেখে ঝুলন বলেন, ‘মনে আছে, ২০১১-য় ধোনির সেই ছক্কার পরে আমাদের মধ্যে কতটা উন্মাদনা তৈরি হয়েছিল? আমি নিশ্চিত যে, ১৯ নভেম্বর আমদাবাদে ফের সেই একই পরিস্থিতি তৈরি হবে। রোহিতরাই ট্রফি হাতে তুলবে।’
For all the latest Sports News Click Here