ফুলের অ্যালার্জি থেকে খরগোশের কামড়- শকুন্তলা হতে কী কী সহ্য করেছিলেন সামান্থা
বইয়ের চরিত্রকে পর্দায় ফুটিয়ে তোলা কী অতই সহজ! পর্দায় কালিদাসের শকুন্তলা সাজতে গিয়ে যে সামান্থা কে যথেষ্ট বেগ পেতে হয়েছিল সে কথা অভিনেত্রী নিজেই সবাইকে জানালেন। আর কিছুদিনের অপেক্ষা তারপরই মুক্তি পেতে চলেছে অভিনেত্রীর আগামী ছবি শকুন্তলা। এই ছবিটি কালিদাসের শকুন্তলার উপর ভিত্তি করে বানানো হয়েছে। নাম ভূমিকায় সামান্থাকেই দেখা যাবে। অন্যদিকে দেব মোহন থাকবেন রাজা দুষ্মন্তের চরিত্র। সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী জানালেন এই ছবির শ্যুটিং তাঁর জন্য বেশ কষ্টদায়ক ছিল। তাঁর ফুল থেকে অ্যালার্জি হয়ে যায় এই সময়।
ফুলের অ্যালার্জি
সামান্থা জানান চরিত্রের জন্য তাঁকে বহু ফুলের গয়না পরতে হতো। বাহু থেকে গলা, হাতে সর্বত্র থাকত ফুলের গয়না আর সেটা থেকেই অ্যালার্জি হয়ে গিয়েছিল তাঁর। অভিনেত্রী এই বিষয়ে বলেন, ‘গোটা দিন আমি কোনও অভিযোগ, অনুযোগ ছাড়াই শুট করতাম। তারপর সন্ধ্যার পর থেকে আমার গোটা হাতে ফুলের দাগ দেখা যেত। প্রায় টানা ৬ মাস এই দাগ ছিল। মনে হতো যেন হাতে ফুলের ট্যাটু করিয়েছি। আমি ওটার উপরেই মেকআপ লাগিয়ে শুট করেছি। কেউ এটাকে সারাতে পারেনি। তারপর অবশ্য ধীরে ধীরে চলে যায় দাগটা।’
খরগোশের কামড়!
কেবল ফুল থেকে অ্যালার্জি নয়, অভিনেত্রীকে এই সময় রীতিমত খরগোশের কামড় খেতে হয়েছে। ছবির জন্য খরগোশের সঙ্গে শুট করতে হয়েছে তাঁকে। আর তখনই একটি খরগোশ তাঁকে কামড়ে দেয়। সেই প্রসঙ্গে অভিনেত্রী বলেন, ‘আপাতত দৃষ্টিতে দেখে যা মনে হয় ওরা অত মিষ্টি নয়।’
৩০ কেজির লেহেঙ্গা!
ফুল, পশু তো গেল, কিন্তু তাই বলে ৩০ কেজির লেহেঙ্গা পরে শুট করতে হয়েছিল তাঁকে! শকুন্তলার পোশাক নিয়ে সামান্থা বলেন, ‘নীতা লুল্লা ম্যাম শকুন্তলার জন্য কিছু সুন্দর সুন্দর পোশাক বানিয়েছিলেন। একটি গানে আমায় একটা দারুন লেহেঙ্গা পরতে হয়। আমার নাচের কথা মাথায় রেখে উনি কিছু ভারী, কিছু হালকা লেহেঙ্গা বানিয়েছিলেন। শেষ পর্যন্ত আমি একটা ৩০ কেজির লেহেঙ্গা পড়ে নাচ করেছিলাম।’
এই ছবিটির পরিচালনা করেছেন গুণশেখর। দেব মোহন, সামান্থা ছাড়াও এই ছবিতে দেখা যাবে অদিতি বালান, মোহন বাবু, গৌতমী, মাধু, প্রমুখকে। আল্লু অর্জুনের ছেলে আল্লু আরহাকেও দেখা যাবে এখানে।
For all the latest entertainment News Click Here