ফিরে গিয়ে বরং ইডলি বেচো! প্রথম ছবির পর এমনই কটাক্ষ করেন এক ফিল্ম সমালোচক: সুনীল
সালটা ১৯৯২, মুক্তি পেয়েছিল সুনীল শেট্টির প্রথম ছবি ‘বলবান’। ডেবিউ ছবিতেই সুপারহিট দিয়েছিলেন সুনীল। তারপরেও বলিউডে বহু হিট ছবির নায়ক তিনি। কিন্তু হিট দেওয়ার পরও ডেবিউ ছবির পর সুনীলকে শুনতে হয়েছিল এক ফিল্ম সমালোচকের কটাক্ষ।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে সেবিষয়েই খোলসা করেছেন অভিনেতা সুনীল শেট্টি। সুনীল বলেন, ‘প্রথম ছবি বক্স অফিসে দারুণ হিট। আমিও অ্যাকশন হিরো হিসাবে আত্মপ্রকাশ করেছি। অনেকে আবার বলছেন, অমিতাভ বচ্চনের পরের অ্যাকশন হিরো। অথচ এক নামী সংবাদসংস্থার ফিল্ম সমালোচক কটাক্ষ করে বলেছিলেন, আমার নাকি ফিরে গিয়ে ইডলি বেচা উচিত।’
আরও পড়ুন-‘আন্ডারওয়ার্ল্ডের ফোন এলে গালাগালি দিতাম, পুলিশ শুনে বলে আমি পাগল’: সুনীল শেট্টি
আরও পড়ুন-বাবা মাত্র ৯ বছর বয়সে লোকের বাড়িতে কাজ করতেন, বলতে লজ্জা পাই না: সুনীল শেট্টি
মুম্বইয়ে একসময় আন্ডারওয়ার্ল্ডের দাপট নিয়েও মুখ খুলেছেন সুনীল শেট্টি। বলেন, সেসময় মুম্বইয়ের রাস্তায় ইতিউতি ঘুরে বেড়াত আন্ডারওয়ার্ল্ডের চড়রা। তাঁর কাছেও হুমকি ফোন এসেছে, আর তাতে তিনি পাল্টা গালাগালি দিতে ছাড়েননি। পুলিশ আধিকারিকরা তাঁকে সতর্ক করে বলেছিলেন, ‘আপনি কি পাগল? ওদের চটাবেন না, তাতে যেকোনও সময় যেকোনও কিছু ঘটে যেতে পারে।’ একথা শুনে সুনীলও পাল্টা বলেছিলেন, তিনি এমনই পরিবেশ থেকে উঠে এসেছেন, পুলিশই নাহয় তাঁকে সুরক্ষা দিক। সুনীল শেট্টি বলেন, তিনি এমন কিছু কাজ করেছেন, যা তিনি দুই ছেলেমেয়ে আথিয়া, আহানকেও বলেননি।
প্রসঙ্গত, খুবই নিম্নবিত্ত পরিবার থেকে উঠে এসেছিলেন সুনীল শেট্টি। তাঁর বাবা অনেক ছোট থেকে পরের বাড়িতে কাজ করতেন। বেশকিছুদিন আগে ইন্ডিয়ান আইডল-এ এসে সুনীল বলেন, ‘আমার বাবা ক্লিনার বয় হিসাবে কাজ করতেন, তাও সেটা মাত্র ৯ বছর বয়স থেকে। তবে তা নিয়ে আমি খুব গর্বিত। আমি সবসময় বলি যে আমি ক্লিনার বয়ের ছেলে। এত অল্প বয়সে, তাঁকে সবকিছু পরিষ্কার রাখার কাজ করতে হয়েছে যেসময় ওঁর টেবিলে হাতও পৌঁছাতো না, আর তাই উনি টেবিলের চারপাশে ঘুরতেন। আমার এসব কথা বলতে কোনও লজ্জা নেই। আমার মনে হয় সবসময় বাবা-মায়ের কাছে ঋণী থাকুন।’
For all the latest entertainment News Click Here