ফিজিয়োর সঙ্গে সময় কাটানোর চেয়ে ৩৬৫ দিনই মাঠে কাটানো ভালো- দাবি ফুরফুরে রাহুলের
অধিনায়ক হিসেবে বৃহস্পতিবার প্রথম কোনও ম্যাচ জয়ের স্বাদ পেয়েছেন কেএল রাহুল। তাঁর নেতৃত্বে জিম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে প্রথম ওডিআই-এ ১০ উইকেটে জিতেছে টিম ইন্ডিয়া। স্বভাবতই ফুরফুরে মেজাজে রয়েছেন কেএল রাহুল।
চোট এবং অস্ত্রোপচারের কারণে প্রায় আড়াই মাস ২২ গজের বাইরে ছিলেন কেএল রাহুল। চোট সারিয়ে ফিট হয়েই জিম্বাবোয়ে সফরের টিমে ঢুকে পড়েন তিনি। প্রথমে এই সফরে তাঁর নাম না থাকলেও, পরে ফিটনেস পরীক্ষায় পাস করলে, তাঁকে শিখর ধাওয়ানের বদলে অধিনায়ক করে দেওয়া হয়। ধাওয়ানকে করা সহ-অধিনায়ক। মাঠে ফিরতে পেরে স্বভাবতই খোশমেজাজে রয়েছেন রাহুল। কারণ মাঠের বাইরে গত আড়াই মাস ধরে রিহ্যাব করা এবং ফিজিয়োর সঙ্গে সময় কাটনো নাকি একঘেয়ে এবং বিরক্তিকরও।
আরও পড়ুন: জুটিতে অপরাজিত ১৯২ করে ২৪ বছর আগের সচিন-রাহুলের নজির ভাঙলেন শিখর-গিল
ম্যাচ শেষে রাহুল তাই বলছিলেন, ‘মাঠে ফিরতে পেরে খুব খুশি। খেলায় চোট লাগতেই পারে। কিন্তু মাঠের বাইরে থাকাটা খুব কঠিন। প্রতি দিন রিহ্যাব করা খুবই বিরক্তিকর এবং একঘেয়ে। ফিজিয়োর সঙ্গে সময় কাটানোর চেয়ে বছরের ৩৬৫ দিনই মাঠে কাটানো আমার কাছে অনেক ভাল।’
আরও পড়ুন: প্রথম জয়ের স্বাদ পেলেন অধিনায়ক রাহুল, ১০ উইকেটে গুঁড়িয়ে গেল জিম্বাবোয়ে
আইপিএলের পরেই চোট পান রাহুল। ঘরের মাঠে দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজ থেকে তিনি ছিটকে যান। তার পর ফের জিম্বাবোয়ে সফরের দলে ফেরেন। মাঝে, ইংল্যান্ড, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, আয়ারল্যান্ড কোনও সিরিজই খেলতে পারেননি রাহুল। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি সিরিজের দলে তাঁর নাম থাকলেও, তখন আবার করোনায় আক্রান্ত হন তিনি। সব মিলিয়ে খুব খারাপ সময়ের মধ্যে দিয়ে গিয়েছেন রাহুল।
এই সিরিজে দলে ফিরেছেন দীপক চাহারও। চোট সারিয়ে ফিরে মাঠে নেমেই ম্যাচের সেরা হয়েছেন এই ডান হাতি পেসার। তিন উইকেট নিয়েছেন তিনি। রাহুল অবশ্য বোলিং নিয়ে প্রশংসাই করেছেন। বলেছেন, ‘উইকেট নেওয়াটা গুরুত্বপূর্ণ ছিল। পাশাপাশি উইকেটে সুইং এবং সিম ছিল। কিন্তু সঠিক জায়গায় বল রাখাটাও গুরুত্বপূর্ণ। এবং শৃঙ্খলা মেনে বোলিং করা দেখে ভালো লেগেছে। আমাদের কয়েক জনের জন্য ভারতীয় ড্রেসিংরুমে ফিরে আসাটা দারুণ বিষয়।’
For all the latest Sports News Click Here