ফালতু ২০০ স্ট্রাইক রেট রেখে লাভ কী? সঞ্জু, সাঙ্গাকারাকে তুলোধনা বীরুর

অসমের গুয়াহাটির বর্ষাপাড়া ক্রিকেট স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হয় রাজস্থান রয়্যালস ও পঞ্জাব কিংস। রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে ৫ রানে হারে রাজস্থান রয়্যালস। ১৯৮ রানের টার্গেট নিয়ে ব্যাট করতে নামলে ১৯২ রানেই শেষ হয়ে সঞ্জু স্যামসনদের ইনিংস। এই ম্যাচে ৭ নম্বরে ব্যাট করতে নামানো হয় ওয়েস্ট ইন্ডিজের আক্রমণাত্মক ব্যাটার সিমরন হেটমেয়ারকে। আর এখানেই অধিনায়ক সঞ্জু স্যামসন ও কোচ কুমার সাঙ্গাকারার সঙ্গে সহমত হতে পারেননি ভারতের প্রাক্তন ওপেনার বীরেন্দ্র সেহওয়াগ। হেটমায়ারকে দেরিতে নামানোর জন্য তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন তিনি।

রাজস্থান রয়্যালসের প্রথম ম্যাচে দুর্দান্ত খেলা ওপেনার জস বাটলার এই ম্যাচে সেই ভাবে দাগ কাটতে পারেননি। দলের ৫৭ রানের মাথায় ফিরে যান তিনি। সেই সময় তারা তাদের প্রয়োজনীয় রানের সঙ্গে তাল মিলিয়েই খেলছিল। বাটলার আউট হওয়ার পর হেটমেয়ারকে নামানোর পরিবর্তে রাজস্থান রয়্যালস টিম ম্যানেজমেন্ট দেবদূত পাডিক্কালকে মাঠে নামানো হয়। জস বাটলার সামান্য চোট পাওয়ায় তাঁর পরিবর্তে রবিচন্দ্রন অশ্বিনের সঙ্গে যশস্বী জয়শওয়াল ওপেনিং করতে নামেন। অশ্বিনের জায়গায় দেবদূতকে নামানো উচিত ছিল বলে মনে করেন অনেকে।

রাজস্থান অধিনায়ক স্যামসন ম্যাচে গতি হারান। ব্যাটে নেমে কয়েক ওভার পরেই আউট হন। তখন সবাইকে অবাক করে দিয়ে নামেন রিয়ান পরাগ। অপেক্ষা করতে হয় হেটমেয়ারকে। রিয়ান পরাগ চেষ্টা করেন বড় রান করার। ১২ বলে ২০ রান করেন। কিন্তু পাডিক্কাল ২৬ বলে ২১ রান করে ম্যাচ রাজস্থানের হাতের বাইরে নিয়ে যান।

হেটমেয়ার যখন ব্যাট করতে নামেন, ততক্ষণে ওভার প্রতি প্রয়োজনীয় রান ১৩তে উঠে গিয়েছিল। কয়েকটি অবিশ্বাস্য শট মেরে এই ব্যাটার রাজস্থান রয়্যালসকে ম্যাচে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করেন। তাকে যোগ্য সঙ্গ দেন তরুণ ধ্রুব জুরেল। কিন্তু স্যাম কারান শেষ ওভারে তার স্নায়ু ধরে রেখে পঞ্জাব কিংসের জয় ছিনিয়ে নেন।

সেহওয়াগ জানান, হেটমেয়ারকে আগে পাঠানো হলে খেলার ফলাফল অন্যরকম হতে পারত। প্রাক্তন ভারতীয় ওপেনার মনে করেন হেটমেয়ার ব্যাট করার জন্য পর্যাপ্ত বল পাননি। পরাগ এবং পাডিক্কালের আগে ব্যাট করতে নামানো উচিত ছিল। তিনি বলেন, ‘হেটমেয়ার ব্যাট করার জন্য পর্যাপ্ত বল পাননি। এই ২০০ স্ট্রাইক রেট দিয়ে কী লাভ? যদি সে ৪ বা ৫ নম্বরে ব্যাট করত, রিয়ান পরাগ বা এমনকী পাডিক্কালের আগেও আসত, তাহলে ও ভালো করতে পারত। ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে ৪ নম্বরে ব্যাট করে। ভারতে সেঞ্চুরি রয়েছে। এখানকার কন্ডিশন ভালোভাবে জানে। ও গত কয়েক বছর ধরে রাজস্থান রয়্যালসের জয়ের পিছনে অনেক অবদান রেখেছে। যখন দিল্লি দলের অংশ ছিল তখনও দিল্লিকে ফাইনালে পৌঁছানোর পিছনে ওর অবদান ছিল অনেক।’

(আইপিএলের আরও খবরের জন্য ক্লিক করুন এই লিঙ্কে- https://bangla.hindustantimes.com/sports/ipl)

For all the latest Sports News Click Here 

Read original article here

Denial of responsibility! TechAI is an automatic aggregator around the global media. All the content are available free on Internet. We have just arranged it in one platform for educational purpose only. In each content, the hyperlink to the primary source is specified. All trademarks belong to their rightful owners, all materials to their authors. If you are the owner of the content and do not want us to publish your materials on our website, please contact us by email – [email protected]. The content will be deleted within 24 hours.