প্রতিপক্ষের প্রশংসায় পঞ্চমুখ এমা, ভবিষ্যতে ‘সঠিক’ ট্রফি জেতার অঙ্গীকার লেইলার
যুক্তরাষ্ট্রে ওপেনে ৪৪ বছর পর প্রথম ব্রিটিশ মহিলা হিসাবে গ্র্যান্ড স্ল্যাম জিতে ইতিহাস রচনা করেছেন এমা রাডুকানু। ফাইনালে স্ট্রেট সেটে লেইলা ফার্নান্ডেজকে পরাস্ত করেন তিনি। তবে ম্যাচের পর প্রতিদ্বন্দ্বীর থেকেও বাল্যকাল পরিচিত কানাডিয়ান টেনিস তারকার প্রশংসাই ধরা পড়ে এমার গলায়।
এমা ও লেইলার অনুর্ধ্ব-১২ বয়সীদের এক টুর্নামেন্টে প্রথম দেখা হয়। লেইলা কানাডিয়ান এবং এমা ব্রিটিশ হলেও তাঁর জন্ম কানাডায়। এই কানেকশনের ওপর ভর করেই তাঁদের মধ্যে বন্ধুত্বও গড়ে ওঠে। একে অপরকে যে দুই তরুণী কতটা শ্রদ্ধা করেন, তা ম্যাচ শেষে এমার কথা ভালই বোঝা যায। ম্যাচ হারলেও দ্বিতীয় সেটে ম্যাচ জয়ের দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে থাকা এমার বিরুদ্ধে দুইবার ম্যাচ পয়েন্ট সেভ করে ফিরে আসা লেইলার জন্য সেই কারণেই তো এমা অকপটে বলতে পারেন, ‘প্রতিপক্ষ হিসাবে ওর থেকে তো এটাই আশা ছিল।’
এদিন ছিল ফ্লাশিং মিডোয় তারুণ্যের উত্থানের জয়গাথা লেখার রাত। দুই টিনএজারের লড়াইয়ে প্রথম গ্র্যান্ড স্ল্যাম খেতাবজয়ী এমা কিন্তু মহিলা টেনিসের ভবিষ্যত নিয়ে উচ্ছ্বসিত। ১৮ বছর বয়সী তারকা জানান,’মহিলা টেনিসের ভবিষ্যত উজ্জ্বল এবং বর্তমানে প্রতিযোগীর কোন অভাব নেই। আমার মনে হয় এই টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণকারী প্রতিটা মহিলা টেনিস তারকারই ভবিষ্যতে যে কোন টুর্নামেন্ট জেতার দক্ষতা রয়েছে।’
ম্যাচ হারলেও সদ্য ১৯-এ পা দেওয়া লেইলার সফরটাও কিন্তু ছিল স্বপ্নের মতোই। ঐতিহাসিক দৌড়ে একে একে তিনি নাওমি ওসাকা,এলিনা সেভিতোলিনার মতো তাবড় তাবড় তারকাদের হারিয়ে ফাইনালে নিজের জায়গা পাকা করেছিলেন। ম্যাচ হারলেও আমেরিকার ইতিহাসে কুখ্যাত ১১ সেপ্টেম্বরের রাতে নিউ ইয়র্কের জনগণের লড়াকু মনোভাব থেকেই প্রেরণা নিয়ে ফিরে আসার অঙ্গীকার কানাডিয়ানের।
ম্যাচ শেষে লেইলা বলেন, ‘এটা নিঃসন্দেহে কষ্টদায়ক। তবে আমি আরও শক্তিশালী হয়ে প্রতি টুর্নামেন্টে জয়ের খিদে ফের কোর্টে নামব।’ ক্রন্দনরত লেইলা সমর্থকদের উদ্দেশ্য আরও জানান, ‘আমি আবারও এই টুর্নামেন্টের ফাইনালে ফিরব এবং আশা করছি পরেরবার সঠিক ট্রফিই আমার হাতে উঠবে। দিনের শেষে খেলায় জয়-পরাজয় থাকবেই, তবে এদিন আর্থার অ্যাশে আসল জয়ী কিন্তু টেনিসই।’
For all the latest Sports News Click Here