প্রকৃতির তাণ্ডবে নিভল মঞ্চের বাতি, শ্রোতাদের সহযোগিতায় মুগ্ধ ইমন
ইমন চক্রবর্তী বরাবরই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভীষণ অ্যাক্টিভ। নিজের ব্যক্তি জীবনের কোনও ঘটনা ভাগ করে নেওয়া হোক, বা প্রফেশনাল জগতের সবটাই তিনি সমাজ মাধ্যমে পোস্ট করেন। বিডি যান না কোনও ঘটনার বিরুদ্ধে সরব হতেও। সম্প্রতি তেমনই এক ঘটনা নিয়ে ফের সোশ্যাল মিডিয়ায় আপডেট দিলেন গায়িকা।
গানই তাঁর পেশা, নেশা সব কিছু। গান গাইতে গিয়ে কত ধরনেরই না অভিজ্ঞতা হয়। তবুও তার মধ্যে কিছু কিছু ঘটনা, কিছু অভিজ্ঞতা আজীবন তাঁদের মনে থেকে যায়। শুধুই কি তাই? শিল্পী হিসেবে এই ঘটনাগুলো তাঁদের অনুপ্রেরণা জোগায়। এবার সেই ধরনের একটি ঘটনার কথাই তিনি ইনস্টাগ্রামে ভাগ করে নিলেন।
কী হয়েছে? ইমন যে ভিডিয়ো সম্প্রতি ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করেছেন সেখানে দেখা যাচ্ছে গোটা হল অন্ধকারে ডুবে আছে। তার মধ্যে দাঁড়িয়েও গান গেয়ে চলেছেন পাখিদের স্মৃতি গানটির গায়িকা। আর দর্শকরা জ্বেলে রয়েছেন তাঁদের ফোনের ফ্ল্যাশলাইট। সেই ফ্ল্যাশলাইটের আলোয় আলোকিত গোটা হল। অনেক সময়ই কোনও গায়ক মঞ্চে উঠলে মৃদু আলোর সঙ্গে দর্শকরা এমনই ফ্ল্যাশলাইটের জ্বেলে একটা মায়াময় পরিবেশ তৈরি করেন। এক্ষেত্রেও কী তেমন কিছু হয়েছিল? না। তবে? লোডশেডিং! হ্যাঁ, লোডশেডিংয়ের মধ্যেও গান গেয়েছেন ইমন। আর তাঁকে যোগ্য সঙ্গত দিয়েছেন তাঁর দর্শকরা। আর এই অভিনব, অদ্ভুত ঘটনার কথাই তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন।
তবে পোস্ট করা ভিডিয়োর ক্যাপশন পড়লেই সবটাই স্পষ্ট হয়ে যায়।
গায়িকা তাঁর পোস্টে জানিয়েছেন তিনি আদতে হলদিয়া কলেজে গিয়েছিলেন একটি শো করতে। তখনই সেখানে তুমুল ঝড় এবং পাল্লা দিয়ে ভারী বৃষ্টি শুরু হয়। প্রকৃতির তান্ডবে লোডশেডিং হয়ে যায়। এদিকে মঞ্চে তখন ইমন। গেয়ে চলেছেন ইন্দুবালা ভাতের হোটেল সিরিজের গান পাখিদের স্মৃতি। এত সুন্দর গানটি মাঝ পথে থামিয়ে দেবেন গায়িকা? না, সেটা হতে দেননি উপস্থিত কোনও দর্শক। উল্টে তাঁরা সকলে মিলে ফোনের ফ্ল্যাশলাইট জ্বালান। গোটা অডিটোরিয়াম আলোয় ভরে ওঠে। এদিকে ইমনও এমন অদ্ভুত সহযোগিতা পেয়ে একভাবে গেয়ে চলেন। তিনিও তাঁর গান থামাননি।
একদিকে এমন ফোনের আলো, অন্যদিকে ইমনের গান। সবটা মিলিয়েই এক অনন্য পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছিল।
ইমন এই গোটা ঘটনার ভিডিয়ো পোস্ট করে লেখেন, ‘হলদিয়া কলেজের প্রোগ্রামে আমার পাখিদের স্মৃতি গানের মাঝেই হঠাৎ বাইরে প্রচন্ড ঝড়-বৃষ্টি শুরু হয়ে যায়। আর তার সঙ্গে অফ হয়ে যায় কারেন্ট। গোটা অডিটরিয়াম যখন অন্ধকারে আচ্ছন্ন।’
তাঁর আরও বক্তব্য ‘সেই সময় দর্শকরা যখন মোবাইলের ফ্ল্যাশ জ্বেলে তাঁদের শিল্পীকে আলো দেয়, তখন তার থেকে আনন্দের মুহূর্ত আর কিছু হতে পারেনা একজন শিল্পীর কাছে। যেকোনো গানকে তার প্রাপ্য স্থানে পৌঁছে দিতে প্রতিটি দর্শকের একটা ভূমিকা থেকে। প্রত্যেকের যে পাখিদের স্মৃতি গানটা ভালো লেগেছে সেটা আমাকে জানানোর জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। এরম ভাবেই প্রত্যেকটি শিল্পী যানো তাদের দর্শকের কাছে এই ভালোবাসা পায়।’
অনেকেই তাঁর এই পোস্টে নানা মন্তব্য করেছেন। শুভেচ্ছা জানিয়েছেন এভাবে সঙ্গীত পরিবেশন করার জন্য।
প্রসঙ্গত, ইন্দুবালা ভাতের হোটেল সিরিজটি দেবালয় ভট্টাচার্য কল্লোল লাহিড়ীর একই নামের বই অবলম্বনে বানিয়েছেন। এখানে মুখ্য ভূমিকায় শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়কে দেখা গিয়েছিল।
For all the latest entertainment News Click Here