পোলার্ডের টিপসেই সবসময় সাফল্য এসেছে, বললেন MI-র নয়া ‘পোলার্ড’ তিলক
এই বছর আইপিএলের অন্যতম আবিষ্কার তিলক বর্মা। মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের হয়ে আইপিএলের গোটা মরশুম জুড়ে অসাধারণ পারফরম্যান্স করেছেন তিনি। মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের হয়ে মিডিল অর্ডার ব্যাটিংয়ের দায়িত্ব অসাধারণ ভাবে সামলানোর পর ভারতীয় দলে ডাক পেয়েছেন তিনি। হায়দরাবাদের ব্যাটার বর্তমানে দলীপ ট্রফির জন্য দক্ষিণাঞ্চলের হয়ে দায়িত্ব সামলাচ্ছেন। বেঙ্গালুরুতে সেমিফাইনাল খেলার সময় ভারতীয় দলের হয়ে ডাক পাওয়ার খবর পান তিলক।
মাত্র কুড়ি বছর বয়সে তিলক ভারতীয় দলের সুযোগ পেয়েছেন। নিজের এই সাফল্য তিনি এখন তারিয়ে তারিয়ে উপভোগ করছেন। এই বছর আইপিএলে তিনি নজর কারলেও গত দু’বছর ধরে আইপিএলের ফ্র্যাঞ্চাইজি দল মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের হয়ে মিডিল অর্ডারের নির্ভরযোগ্য ব্যাটার হয়ে উঠেছেন। এবার তাঁর সতীর্থ সূর্যকুমার যাদবের সঙ্গে জাতীয় দলে যোগ দেবেন তিনি। যদি ভালো পারফরম্যান্স করতে পারেন তাহলে আগামী বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে জাতীয় দলের অংশ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে তাঁর কাছে। তিনি এখন সেই দিকেই লক্ষ্য রাখছেন।
জাতীয় দলের সুযোগ পাওয়ার বিষয়ে সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে তিনি বলেন, ‘আমি দলীপ ট্রফিতে খেলছিলাম তাই আমার ফোন বন্ধ ছিল। আমার ছোটবেলার এক বন্ধু ফোন করে আমাকে জানায় আমি নির্বাচিত হয়েছি। রাত আটটার দিকে আমি ওর থেকেই এই খবর পাই। গতকাল আমার মা এবং বাবা এই খবর শুনে কার্যত কেঁদে ফেলে। আমি ওদের ভিডিয়ো কল করেছিলাম ওরা খুব আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন। ছেলেবেলার কোচ সালাম বায়াশেরও একই অবস্থা হয়। তিনিও আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন।’
বাঁ-হাতি এই ব্যাটার ২০২২ সালে মুম্বইয়ের হয়ে তাঁর অভিষেক ঘটান। প্রথম মরশুমে ৩৬ গড় রেখে এবং ১৩১ এর স্ট্রাইক রেটে ৩৯৭ রান করেন তিনি। জাতীয় দলের না খেলা ক্রিকেটার হিসেবে তিনি তৃতীয় ব্যাটার যে ৪০০-র কাছাকাছি রান করেছেন। তার আগে রয়েছেন শ্রেয়স আইয়ার এবং দেবদূত পাডিক্কাল। তারপর এই মরশুমে সূর্যকুমার যাদব ফিট হয়ে মুম্বই দলে ফিরে আসলে তাকে নিজের পজিশনে ব্যাট করার কথা বলা হয়। এই বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে তিলক জানান, ‘যেকোনও পরিস্থিতিতে খেলতে আমি রাজি। নিজেকে সেই রকম ভাবেই তৈরি করতে চাই। আমি আমার মানসিকতা খুব পরিষ্কার রাখতে চাই। আমি কায়রন পোলার্ডকে ডেথ ওভারে বল করতে দেখেছি। ও সবসময় আমাকে শান্ত থাকতে বলে। পরের বলে ফোকাস করতে বলে।’
For all the latest Sports News Click Here