পেলেকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে দূর-দূরান্ত থেকে হাজির সমর্থকরা
ক্যান্সারের সাথে দীর্ঘ লড়ায়ের পর গত ২৯ ডিসেম্বর পৃথিবী থেকে বিদায় নেন ফুটবল সম্রাট পেলে। তাঁর মৃত্যুতে শোকাহত গোটা ফুটবল বিশ্ব। একটি অধ্যায়ের সমাপ্তি ঘটেছে। এবার তাঁর পার্থিব শরীরটাকে শান্তিতে চিরতরে ঘুমাতে দেওয়ার পালা।
সোমবার তাঁর প্রাণহীন শরীরটাকে রাখা হবে স্যান্টোসের বেলমিরো স্টেডিয়ামে। শেষ বারের মতো জনসাধারণ দেখতে পারবেন পেলেকে। সোমবার সকালে সাও পাওলো থেকে শোভাযাত্রা করে ফুটবল সম্রাটকে নিয়ে যাওয়া হবে তাঁর ক্লাব স্যান্টোস এফসি-তে। ঘরের মাঠ ভিলা বেলভিরোতে সোমবার সকাল ১০টা থেকে ২৪ ঘণ্টা অর্থাৎ মঙ্গলবার সকাল ১০টা পর্যন্ত রাখা হবে ফুটবল সম্রাটের নিথর দেহ। স্টেডিয়ামের ২ ও ৩ নম্বর গেট দিয়ে অনুরাগীরা প্রবেশ করতে পারবেন।
সকাল দশটার সময় গেট খোলা হলেও, তার আগে থেকেই প্রচুর সংখ্যায় পেলের ভক্তরা জমা হতে থাকেন গেটের সামনে। ভিড়ের মধ্যে সবার আগে ছিলেন ৩৬ বছর বয়সী সাওলো ডুয়ার্তে সোয়ারেস। পেলেকে দেখতে মরিয়া তিনি। চলে এসেছেন অনেক আগেই। বেলভিরোর সামনে রাত কাটিয়েছেন। লাইনে দাঁড়িয়েছেন সবার আগে। সাওলো ডুয়ার্তে সোয়ারেস বলেছেন, ‘সম্রাটকে যে শেষবার দেখতেই হবে। তাই চলে এসেছি। আর কোনও দিন তাঁকে দেখতে পাব না। তাই অপেক্ষা করছি শেষবারের জন্য তাঁকে দেখার।’
ওই ভিড়ের মধ্যেই ছিলেন ৫৮ বছর বয়সী এমিলিও কারমো ডি লিমা। পেলের মৃত্যুতে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলেন তিনি। কারমো ডি লিমা জানিয়েছেন, ‘তাঁর কেরিয়ারের শেষের দিকে আমি একবার পেলেকে স্টেডিয়ামে দেখেছিলাম। স্যান্টোস এবং পালমেইরাসের খেলা ছিল। ম্যাচটি ১-১ ড্র হয়।’ এক নাগাড়ে বলে যাচ্ছিলেন কথাগুলি। স্থানীয় এক চিত্রশিল্পী পেলের শেষ যাত্রার শুরুর কুড়ি ঘন্টা আগেই পৌঁছে গিয়েছেন বেলমিরো স্টেডিয়ামে। তিনি বলেন, ‘আমি রুটি নিয়ে এসেছি। এখানেই রাত কাটাবো। পেলেকে দেখতেই হবে। নইলে আমার বড় আক্ষেপ থেকে যাবে। আমি পেলের বিশাল বড় ভক্ত।’
রবিবার রাতে বেলমিরো স্টেডিয়ামের আশেপাশে প্রচুর ভক্ত জড়ো হয়েছেন। শুধু ভক্ত নয় অনেক বিদেশী সাংবাদিক ও পুলিশে ছেয়ে গেছে এলাকা। সবারই যে একটাই ইচ্ছা, শেষবারের মতো দেখব সম্রাট কে চোখের দেখা।
For all the latest Sports News Click Here