‘পুরুষদের আমি ঘেন্না করি’, হঠাৎ কী হল মধুমিতার?

আর কিছুদিনের অপেক্ষা তারপরই বড়পর্দায় মুক্তি পেতে চলেছে মধুমিতা সরকারের নতুন ছবি দিলখুশ। তাঁর সঙ্গে এই ছবিতে দেখা যাবে সোহম মজুমদারকে। তবে এই ছবি নিয়ে তাঁর বক্তব্য কি? ২০২৩ সাল তাঁর জন্য কতটা খুশি বয়ে আনল? আনন্দবাজারকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কী জানালেন অভিনেত্রী?

মধুমিতার কাছে ২০২৩ কতটা খুশির সেই প্রসঙ্গে জানাতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘প্রচণ্ড খুশি আমি। ২০২২ সালে আমি যা পরিশ্রম করেছিলাম সেটার ফল পাওয়ার অপেক্ষা করছি এখন। অবশ্য এর মধ্যেই আমি অল্প অল্প করে ফল পেতে শুরু করেছি। ২০২২ সাল যেমন ভেবেছিলাম তেমনই কেটেছে। এবার দেখা যাক ২০২৩ কেমন কাটে।

২০২২ নিয়ে কী কী পরিকল্পনা করেছিলেন তিনি? এই বিষয়ে অভিনেত্রী জানান, ‘আমি অনেক কাজ করতে চেয়েছিলাম। সারাক্ষণ ব্যস্ত থাকতে চেয়েছিলাম। সেটাই হয়েছে। অনেক জায়গা ঘুরে ঘুরে কাজ করেছি। কিন্তু হ্যাঁ, মুড়িমুড়কির মতো সব একই ধরনের কাজ করছি এমনটা নয়। আলাদা আলাদা ধরনের কাজ করছি। সেটা ভালো লাগছে। আমাকে এই নানা ধরনের কাজের জন্য বেশ অনেকটা করে সময় দিতে হচ্ছে।

মধুমিতার লক্ষ্য কী? সেই লক্ষ্যে কতটা পৌঁছতে পারলেন তিনি? এই প্রশ্নের উত্তরে অভিনেত্রী জানান, তাঁর লক্ষ্য পূরণ এখনও কিছুই হয়নি। তিনি এগিয়ে চলেছেন কেবল। কিন্তু তাঁর মতে যতটা জোরে তাঁর এগোনোর কথা তিনি সেটা এগোতে পারছেন না। কিন্তু কেন? এই বিষয়ে তিনি জানান, ‘ শুধু বাংলায় নয়, আমি অন্য ভাষায়, অন্য ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করতে চাই।’

কিন্তু সেটা তো ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে! তিনি তো একটি তেলেগু ছবিতে শ্যুটিং করেছেন। সেটার অভিজ্ঞতা কেমন তাঁর? এই বিষয়ে মধুমিতা বলেন, ‘সে এক অন্য জগৎ। আমায় ছবির জন্য মার্শাল আর্ট শিখতে হয়েছে। আর এই পারফর্মিং আর্ট শিখতে আমার দারুণ লেগেছে।’ অভিনেত্রী জানান ওখানে ওঁরা বেশ সময় নিয়ে কাজ করেন। তাঁকে এক মাস সময় দেওয়া হয়েছিল এই মার্শাল আর্ট শেখার জন্য। তিনি জানান এই মার্শাল আর্ট শিখতে গিয়ে কালশিটে পড়েছে তাঁর শরীরে, রক্ত বের হয়েছে। তিনিও অনেক সময় অন্য কারও বুকে লাথি মেরে দিয়েছেন।

তেলেগু বাংলা তো হল, কিন্তু বলিউড? মুম্বইতে যাওয়ার কথা ভাবছেন কি তিনি? এই বিষয়ে অভিনেত্রী জানান তিনি নিজে চেষ্টা করছেন না কিন্তু নিজেকে এমনভাবে তৈরি রাখছেন যাতে তিনি সব জায়গা থেকেই সুযোগ পান। তবে হ্যাঁ, একটি হিন্দি কাজ তিনি পেয়েছেন বলে জানান। অভিনেত্রীর কথায়, ‘দিলখুশ মুক্তি পাওয়ার পর আমি যাব কথা বলতে। নিজেকে এমনভাবে তৈরি করতে চাই যাতে সব জায়গা থেকে সুযোগ আসে।’

কিন্তু এসভিএফের সঙ্গেই সব কাজ কেন? এর নেপথ্যে কি বিশেষ কোনও কারণ আছে? নাকি তিনিই এসভিএফের বাইরে গিয়ে কাজ করতে চাইছেন না? এই প্রসঙ্গে তিনি জানান, ‘না এমন কোনও ব্যাপার নয়। ভালো কনটেন্ট পেলে নিশ্চয় করব। কিন্তু কাকতালীয়ভাবে যে কটা কাজের অফার এসেছে সব কটাই এসভিএফ থেকেই। তবে তার মানে এটা নয় যে এসভিএফ থেকে কেউ আমায় কাজগুলো নিতে বলেছে। পরিচালকরা মনে করেছেন তাই আমায় বেছেছেন। সেটা চিনি, দিলখুশ সব কিছুতেই।’

কিন্তু বাংলার এই গ্ল্যামারাস সুন্দরী অভিনেত্রী কি সারাদিন কাজ নিয়েই থাকেন? নাকি জীবনে বিশেষ কেউ আছেন? এই বিষয়ে মধুমিতা স্পষ্ট জানান, ‘কাজের প্রতিই আমি কমিটেড। আর বিশ্বাস করুন, আমি পুরুষদের ঘেন্না করি।’

For all the latest entertainment News Click Here 

Read original article here

Denial of responsibility! TechAI is an automatic aggregator around the global media. All the content are available free on Internet. We have just arranged it in one platform for educational purpose only. In each content, the hyperlink to the primary source is specified. All trademarks belong to their rightful owners, all materials to their authors. If you are the owner of the content and do not want us to publish your materials on our website, please contact us by email – [email protected]. The content will be deleted within 24 hours.