পাকিস্তানকে ফলো-অন না করিয়েই কি ভুল হয়ে গিয়েছে? কী সাফাই দিলেন কামিন্স?
প্রথম ইনিংসের নিরিখে ৪০৮ রানের বিশাল লিড ছিল অস্ট্রেলিয়ার হাতে। তা সত্ত্বেও করাচি টেস্টে পাকিস্তানকে ফলো-অন করায়নি অজিরা। এমনটা নয় যে পাকিস্তানকে প্রথম ইনিংসে অল-আউট করতে প্রচুর ঘাম ঝরাতে হয়েছিল অস্ট্রেলিয়ার বোলারদের। বাবর আজমরা প্রথম ইনিংসে মাত্র ৫৩ ওভারেই অল-আউট হয়ে যায়।
পিচে বোলারদের জন্য বিশেষ কোনও সাহায্য ছিল না। সুতরাং দ্বিতীয় ইনিংসে পাকিস্তানকে অল-আউট করার জন্য যে হাতে বাড়তি সময় দরকার, কামিন্সের মতো বিচক্ষণ অধিনায়কের সেটা বুঝতে বিশেষ অসুবিধা হওয়ার কথা নয়। তা সত্ত্বেও অস্ট্রেলিয়া দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নামে। চতুর্থ দিনের সকালে অস্ট্রেলিয়া তাদের দ্বিতীয় ইনিংস ডিক্লেয়ার করে। তবে পাকিস্তান প্রায় দু’দিন ধরে লড়াই চালিয়ে করাচি টেস্ট বাঁচিয়ে নেয়।
এই অবস্থায় বিশেষজ্ঞদের ধারণা, পাকিস্তানকে ফলো-অন করালে অস্ট্রেলিয়া ম্যাচ জিতে মাঠ ছাড়তে পারত। কেননা, বাবর আজমরা ৭ উইকেট হারিয়ে বসেছিল। বাড়তি কিছুটা সময় পেলে পাকিস্তানকে দ্বিতীয় ইনিংসে অল-আউট করতে পারত অস্ট্রেলিয়া। কামিন্সের অবশ্য ফলো-অন না করানো নিয়ে কোনও আক্ষেপ নেই। তাঁর দাবি, চতুর্থ ও পঞ্চম দিনে পিচ ভেঙে যাবে বলেই আশা ছিল তাঁদের। যদিও তেমনটা হয়নি।
ম্যাচের শেষে অজি দলনায়ক বলেন, ‘এখানে সারা ম্যাচ জুড়ে পিচ ভালো ছিল। আমরা সেরা সময়ে আড়াই দিন ধরে ব্যাট হাতে খোঁড়াখুঁড়ি চালিয়েছি। ভেবেছিলাম চতুর্থ ও পঞ্চম দিনে পিচ ভেঙে যাবে।’
বরং ম্যাচ জিততে না পারার জন্য কামিন্স দায়ি করেন দলের ফিল্ডিংকে। গুরুত্বপূর্ণ সময়ে কয়েকটি ক্যাচ মিস না হলে অস্ট্রেলিয়া যে ম্যাচ জিততে পারত, সেদিকেই ইঙ্গিত করেন তিনি। কামিন্স বলেন, ‘ওই ক্যাচগুলির গোটাদুয়েক যদি ধরতে পারতাম, ছবিটা তাহলে অন্যরকম হতে পারত।’
উল্লেখ্য, করাচি টেস্টের প্রথম ইনিংসে অস্ট্রেলিয়া ৯ উইকেটে ৫৫৬ রান তোলে। পালটা ব্যাট করতে নেমে পাকিস্তান প্রথম ইনিংসে ১৪৮ রানে অল-আউট হয়ে যায়। অস্ট্রেলিয়া দ্বিতীয় ইনিংসে ২ উইকেটে ৯৭ রান তুলে ব্যাট ছেড়ে দেয়। পাকিস্তান শেষ ইনিংসে ৭ উইকেটে ৪৪৩ রান তুলে ম্যাচ বাঁচিয়ে নেয়। প্রথম ইনিংসে ৩৬ ও দ্বিতীয় ইনিংসে ১৯৬ রান সংগ্রহ করে ম্যাচের সেরা ক্রিকেটারের পুরস্কার জেতেন বাবর আজম।
For all the latest Sports News Click Here