পল্লবী দে-র মৃত্যুর পর লাগাতর ট্রোলিং-এর শিকার,পুলিশি জেরার মুখে বান্ধবী ভাবনা
টেলি অভিনেত্রী পল্লবী দে-র রহস্য়মৃত্যুর ঘটনায় আপতত পুলিশ হেফাজতে অভিনেত্রীর লিভ ইন পার্টনার সাগ্নিক চক্রবর্তী। গত সোমবার সাগ্নিককে গ্রেফতার করে গড়ফা থানার পুলিশ। আগামী ২৬ তারিখ পর্যন্ত অভিযুক্তকে পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে আলিপুর কোর্ট। এর মাঝেই বুঝবার পল্লবীর খুব ঘনিষ্ঠ বান্ধবীকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করল পুলিশ। ইন্ডাস্ট্রিতে পল্লবীর সবচেয়ে কাছের বন্ধু ছিলেন প্রত্যুষা পাল ও ভাবনা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এদিন বেশ কয়েকঘন্টা ধরে পুলিশি প্রশ্নবাণের মুখে পড়েন ভাবনা। তবে তিনি জেরা শেষে সংবাদমাধ্যমকে স্পষ্ট জানান, ‘আমি এমন কিছু প্রশ্নের মুখে পড়িনি যা সংবাদমাধ্যম আমাকে করেনি। আপনাদের যা বলেছি ওখানেও সেই কথাই বলেছি’। সাগ্নিককে কীভাবে চেনেন ভাবনা? কতদিনের পরিচয়? সাগ্নিক আর পল্লবীর মধ্যে তাঁর সামনে কোনও ঝামেলা হয়েছিে কিনা-এই সবই জানতে চায় পুলিশ।
গত বুধবার, মানে মৃত্যুর মাত্র তিনদিন আগে সাগ্নিক ও পল্লবীর সঙ্গে সিনেমা পর্যন্ত দেখতে গিয়েছিলেন ভাবনা। সেইকারণেই আরও তড়িঘড়ি জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় অভিনেত্রীকে। তবে ভাবনা স্পষ্টই জানিয়েছেন ওই দিনেও পল্লবী খুব স্বাভাবিক আচরণ করেছেন।
পল্লবীর মৃত্যুর পর অভিনেত্রীর ফ্যানেরা সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাবনাকেও গালমন্দ শুরু করেছিলেন। কারণ সাগ্নিকের পাশাপাশি পল্লবীর এক বান্ধবীর বিরুদ্ধে পরিবার অভিযোগ করতে চলেছে, এমনটা জানার পর অনেকেই ভেবে বসেছিল বোধহয় ভাবনাই সেই মেয়ে। এই ব্যাপারে ভাবনা জানান, ‘নামটা সামনে আসবার পর আমাকে আর কিছু ফেস করতে হয়নি। সোশ্যাল মিডিয়ায় এখন আর কেউ হেট কমেন্ট করছেন না। ভুল বোঝাবুঝি মিটে গেছে।
‘মা’ খ্যাত এই অভিনেত্রীর সোশ্যাল মিডিয়ার শেষ কয়েকটি ছবি ঘাঁটলেই দেখা যাবে সেগুলি তুলে দিয়েছেন সাগ্নিক চক্রবর্তী। আর সেই নিয়েই যাবতীয় ভুল বোঝাবুঝি। পরবর্তীতে জানা যায়, পল্লবীর পরিবার অভিনেত্রীর স্কুলজীবনের বান্ধবী ঐন্দ্রিলার বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তুলেছেন।
এর আগে ভাবনা সংবাদমাধ্যমের সামনে পল্লবীর ‘আত্মহত্যা’ নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন। যেদিন এই ঘটনা ঘটে সেদিন ছিল অভিনেত্রীর দিদার মৃত্যুবার্ষিকী ছিল। বাপের বাড়িতেও যাওয়ার কথা ছিল। সকালেও হাওড়ার বাড়িতে যাওয়া নিয়ে তিনবার পরিচারিকার সঙ্গে কথা হয়েছে পল্লবীর। তাহলে এমন কী ঘটল কয়েক মিনিটে?
ভাবনা আরও জানিয়েছেন সাগ্নিক আর পল্লবী ‘হ্যাপি গো লাকি’ কাপল ছিল। আবার ছোটখাটো বিষয় নিয়ে ঝগড়়াও করত। দু’জনে প্রায়ই ঘুরতে চলে যেত। আর সেখানে নাকি সঙ্গে থাকত পার্সোনাল ফোটোগ্রাফার। যে আইফোনে ওদের ছবি তুলে দিত। মূলত এই ফটোগ্রাফারের খরচ সাগ্নিক দিত। কারণ, যে ছেলেটি ওই ছবি তুলে দিত সে ওর চেনা ছিল।
For all the latest entertainment News Click Here