পর্দার আড়ালই পছন্দ, রানির স্বামী আদিত্যকে জোর করে ক্যামেরার সামনে আনেন স্মৃতি!
যশরাজ ফিল্মস, কিংবদন্তি পরিচালক যশ চোপড়া ও তাঁর উত্তরাধিকার নিয়ে ডকু-সিরিজ ‘দ্যা রোম্যান্টিকস’ বানিয়েছেন পরিচালক স্মৃতি মুন্ধরা। নেটফ্লিক্স-এ ৪ টি পার্টে আসা এই ডকু-সিরিজটি এখন গোটা দেশের বিনোদন দুনিয়ায় বেশ চর্চার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। আর এই ডকু সিরিজটি হয় আদিত্য চোপড়ার সাক্ষাৎকার ছাড়া সম্পূর্ণই হত না। তবে আদিত্য চোপড়া ক্যামেরার সামনে আসতে চিরকালই নারাজ। তিনি একেবারেই ক্যামেরার সামনে স্বচ্ছন্দ্য বোধ করেন না। তবে যশরাজ ফিল্মসের অন্যতম প্রযোজক আদিত্য চোপড়াকে ক্যামেরার সামনে এনে সেই অসাধ্য সাধন করেছেন পরিচালক স্মৃতি মুন্ধরা। সম্প্রতি সেবিষয়েই কথা বলেছেন পরিচালক।
‘দ্যা রোম্যান্টিকস’-এর হাত ধরে প্রথমবার পর্দার আড়াল থেকে বের হয়ে ক্যামেরার মুখোমুখি হয়েছেন আদিত্য , জানিয়েছেন বাবার সঙ্গে জড়িয়ে থাকা তাঁর ছোটবেলার স্মৃতি, সিনেমা তৈরি করা শেখা। পরিচালক স্মৃতির কথায় এই ডকু সিরিজটি ভারতীয় সিনেমার দর্শকদের নস্টালজিক করে তুলবে। ইতিমধ্যেই ডকু সিরিজটি নিয়ে দর্শকদের বেশ ভালোই সাড়া পাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন স্মৃতি। জানিয়েছেন, এই সিরিজে আমিতাভ বচ্চন থেকে শাহরুখ খান সকলের ভাবনাই উঠে এসেছে। রয়েছে ঋষি কাপুরের শেষ সাক্ষাৎকার। স্মৃতি জানিয়েছেন এটা বানাতে তাঁর প্রিয় তিন বছরেরও বেশি সময় লেগেছে। তবে ভীষণ ঠাণ্ডা মাথায় রিসার্চ করতে হয়েছে তাঁকে।
‘দ্যা রোম্যান্টিকস’-এর মাধ্যমেই প্রথমবার নেপোটিজম বিতর্কে মুখ খুলেছেন আদিত্য চোপড়া, উদাহরণ হিসাবে এনেছেন ভাই উদয় চোপড়ার কথা। ডকুসিরিজের জন্য আদিত্য চোপড়াকে রাজি কারানো, সেই ইন্টারভিউ এডিট টেবিলে নিয়ে গিয়ে কাটছাঁট করা কতটা কঠিন ছিল?
স্মৃতি মুন্ধরা জানিয়েছেন আদিত্য চোপড়াকে রাজি করানো মোটেও সহজ ছিল না, তবে যখন তিনি বুঝেছেন এই ডকুমেন্টরিটা তাঁর সাক্ষাৎকার, চিন্তাভাবনা ছাড়া অসম্পূর্ণ, তখন উনি রাজি হয়ে যান। তবে সৃজনশীলতার প্রয়োজনে আদিত্য চোপড়া কোনওকিছুতেই আপত্তি করেন না। বিষয়টি তৈরি হওয়ার পর প্রথমবার সেটি দেখে আদিত্যর ঠিক কী প্রতিক্রিয়া ছিল? এপ্রসঙ্গে স্মৃতি জানান, ‘আদিত্য চোপড়া ঠাণ্ডা মাথায় তাঁর সঙ্গে কথা বলেছিলেন। হতেই পারে সেটা দেখে আদিত্য রেগে গেছেন বা বিরক্ত হয়েছেন, তবে সেবিষয়ে আমাকে কিছু বলেননি, হতে পারে অন্যকাউকে সেটা বলবেন। খালি বললেন, ‘আপনি কী করতে চাইছেন বুঝতে পারছি। ব্যস, সেটাই আমার কাছে যথেষ্ঠ ছিল।’
এই ডকু সিরিজে ঋষি কাপুরের শেষ সাক্ষাৎকার রয়েছে, সেকা কীভাবে পেয়েছিলেন? এর উত্তরে স্মৃতি জানান, ঈশ্বরকে ধন্যবাদ আমি ঋষিজির সেই সাক্ষাৎকার নিতে পেরেছিলাম, তখন জানতানও না, পরের মাসেই তিনি আমাদেরকে বিদায় জানাবেন।
For all the latest entertainment News Click Here