‘পরিচালক কালো মেয়ে খুঁজছিলেন’, আমিরের ‘লগান’ থেকে বাদ পড়া নিয়ে বিস্ফোরক আমিশা
‘কহো না প্যায়ার হ্য়ায়’ ছবির সঙ্গে বলিউডে ড্রিম ডেবিউ সেরেছিলেন আমিশা প্য়াটেল। রাতারাতি স্টার তকমা পেয়েছিলেন এই নবাগতা। পরবর্তীতে ‘গদর: এক প্রেমকথা’র মতো বক্স অফিস সফল ছবিতেও কাজ করেছেন আমিশা। কিন্তু তারপর আর সেভাবে ‘টেক-অফ’ করেনি আমিশার ফিল্মি কেরিয়ার। প্রায় পাঁচ বছরের বিরতির পর রুপোলি পর্দায় কামব্যাক করছেন বছর ৪৭-এর এই অভিনেত্রী। সৌজন্যে ‘গদর ২’, এই ছবি মুক্তির আগে কেরিয়ারের শুরুর দিনের অজানা কথা ফাঁস করলেন নায়িকা।
২০০১ সালে একই দিনে মুক্তি পেয়েছিল ‘লগান’ এবং ‘গদর-এক প্রেমকথা’। ইতিহাস রচনা করেছিল দুটি ছবিই, কিন্তু জানেন কি গদরের পাশাপাশি লগান ছবির নায়িকা হওয়ারও কথা ছিল আমিশার। সবকিছু ঠিক হয়ে যাওয়ার পরেও শেষ মুহূর্তে বাদ দেওয়া হয় তাঁকে, এতোদিনে ফাঁস করলেন অভিনেত্রী। কেন আশুতোষ গোয়ারিকরের ছবি থেকে ছেঁটে ফেলা হয় তাঁকে? আমিশা বলিউড হাঙ্গামাকে জানান, ‘লাগানের জন্য আমাকে বাছা হয়েছিল। ভানু আথিয়াজি আমার জন্য পোশাক তৈরি করেছিলেন। আমিরের বাড়িতে আমরা ছবির চিত্রনাট্যানুসারে একাধিক দৃশ্যের রিহাসার্ল পর্যন্ত করেছিলাম। আমি ছিলাম আমিরের নায়িকা। ছবির জন্য সমস্ত ডেট আমি দিয়ে দিয়েছিলাম’। কিন্তু ভাগ্যের পরিহাস! শেষ মুহূর্তে এই ছবি থেকে আমিশাকে বাদ দেন পরিচালক আশুতোষ গোয়ারিকর। অভিনেত্রী বলেন, ‘নিউজিল্যান্ডে কহো না প্যায়ার হ্য়ায়-র শ্য়ুটিং করছিলাম, তখন যতীনজি (নায়িকার ম্যানেজার) ফোন আসে, উনি বলেন লগান ছবির ডেটগুলো বদ্রী (তেলেগু ছবি) এবং গদর-এর মধ্যে ভাগাভাগি করে দিচ্ছেন। আমি জানতে চেয়েছিলাম লগানের কী হল? উনি বললেন, নির্মাতারা বলছেন গ্রামের মেয়ে হিসাবে তোমাকে মানাচ্ছে না। তোমার চোখ দেখেই মনে হয়, শহুরে, শিক্ষিতা, মার্জিত এক মেয়ে। ওদের কালো মেয়ে দরকার নায়িকার চরিত্রে। আমি বলেছিলাম, মেক-আপের সাহায্যে গায়ের রং পালটাতে আপত্তি নেই, কিন্তু তাঁরা সেটা চায়নি’।
আমিশার কথায়, লগান ছবির জন্য যে প্রস্তুতি তিনি নিয়েছিলেন তা কাজে এসেছিল গদর ছবির জন্য। অভিনেত্রীর কথায়, যে কারণে তিনি লগান থেকে বাদ পড়েছিলেন সেই কারণের জন্যই গদর ছবির প্রযোজক তাঁকে কাজ দিয়েছিলেন। আমিশা যোগ করেন, ‘জি-এর নীতিন কেনি আমাকে বলেছিলেন, অভিনয় শিখিয়ে নেওয়া যাবে কিন্তু কাউকে সফিস্টিকেটেড এবং শিক্ষিতা হওয়া শেখানো যায় না, ওটা তার শরীরী ভাষার মধ্যে থাকতে হবে। সকিনার চরিত্রটা একদম ওইরকমই ছিল। ব্রিটিশ স্কুলে পড়াশোনা করা ধনী বাবার আদুরে কন্যা। সকিনার মতো আমিও বাস্তবে বিদেশে পড়াশোনা করেছি’।
লগান-এ অমিশার জাগয়া নিয়েছিলেন গ্রেসি সিং। গৌরীর চরিত্রে আমিরের পাশে দুর্দান্ত মানিয়েছিল তাঁকে সে-কথা অস্বীকার করার জো নেই। আমিশার কী আফসোস রয়েছে এই চরিত্রটা হারানোর? অভিনেত্রী জানান, ‘ছবিটা এত সফল হবে সেটা আমি জানতাম না, কিন্তু ছবির বিষয়বস্তু এবং সবচেয়ে বড় কথা আমিরের সঙ্গে কাজের সুযোগ হারানোটা বড় ব্যাপার ছিল।’ পরবর্তীতে অবশ্য আমিরের নায়িকা হওয়ার সৌভাগ্য হয়েছে আমিশার। ‘মঙ্গল পাণ্ডে: দ্য রাইসিং’ ছবিতে আমিরের সঙ্গে কাজ করেছেন আমিশা, আমির নিজে ফোন করে সেই চরিত্র অফার করেছিলেন অভিনেত্রীকে।
প্রসঙ্গত, আগামী ১১ই অগস্ট মুক্তি পেতে চলেছে ‘গদর ২’। সানি-আমিশার রসায়ন আবারও পর্দায় দেখতে উত্তেজিত ভক্তরা।
For all the latest entertainment News Click Here