নিজের অদ্ভূত এবং বোল্ড ফ্যাশন স্টেটমেন্টের জন্য সবসময়ই চর্চায় থাকেন উরফি জাভেদ। তাঁর ‘বেশরম’ কাণ্ডকারখানা নিয়ে নেটপাড়ায় রীতিমতো শোরগোল। কখনও সেফটিফন,কখনও তার কখনও দড়ি দিয়ে পোশাক বানিয়ে ফেলেন উরফি, প্রকাশ্য রাস্তায় সেইসব পোশাক পরে ঘুরেও বেড়ান দিব্যি। এর জেরে বারবার অশ্লীলতা ছড়ানোর অভিযোগ উঠেছে বিগ বস ওটিটি খ্যাত নায়িকার উপর। রাস্তায় নগ্নতার প্রচার করছেন উরফি, এমন অভিযোগ তুলেছেন বিজেপির বিধায়ক চিত্রা ওয়াগ। অবিলম্বে উরফির গ্রেফতারির দাবিও তুলেছেন তিনি। নিজের ভঙ্গিতেই এবার বিজেপি নেত্রীকে জবাব দিলেন উরফি।
শুক্রবার নেটমাধ্যমে ভাইরাল হাতকড়া হাতে উরফির ভিডিয়ো। কালো রঙা অন্তর্বাসে উষ্ণতা ছড়াচ্ছেন উরফি, তাঁর হাতে পুলিশের হাতকড়া, তবে কি সত্যিই গ্রেফতার হলেন উরফি জাভেদ? না, মোটেই তেমন কিছু ঘটেনি! আসলে নিজের শর্তে জীবন বাঁচেন উরফি। সমালোচকদের বিশেষ পাত্তা দেন না। কিন্তু তার গ্রেফতারির দাবি নিয়ে গত কয়েকদিন ধরে এতই শোরগোল, যে এবার নিন্দকদের জবা দিনেই নিজের হাতেই হাতকড়া পরালেন নায়িকা।
শরীরের বেশিরভাগ অংশই অনাবৃত, চেন দিয়ে বাঁধা চুল, সঙ্গে মানানসই মেক-আপ। আর হাতে হ্যান্ডকাফ! এই ভিডিয়োর ক্যাপশনে উরফি লেখেন, ‘এ ভাবেই দেখতে চান তো, নিন ইচ্ছে পূরণ করে দিলাম।’ বোঝাই যাচ্ছেন হের্টাসদের উদ্দেশে এই ভিডিয়ো উরফির। কারুর নাম নেননি উরফি, তবে এই ভিডিয়োর মাধ্যমে বিজেপি বিধায়ককে কড়া জবাব দিলেন তিনি তা বেশ স্পষ্ট।
আসলে বিতর্ক আর উরফি- এখন মুদ্রার এপিঠ ওপিঠ। দীপিকার গেরুয়া বিকিনি বিতর্কে যখন উত্তাল দেশ। তখনই কাটা-ফাটা গেরুয়া পোশাকে শরীর প্রদর্শন করতে দেখা গিয়েছে তাঁকে, আর সেই গানের প্রেক্ষাপটে চলছে ‘বেশরম রং’। এইভাবেই ছক ভাঙতে ভালোবাসেন উরফি।
মুম্বইয়ের পাপারাৎজিরা হামেশাই দৌড়াচ্ছেন উরফির পিছনে। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া সেনসেশন তিনি। যে গানের দৃশ্যায়ণ নিয়ে চলছে এত বিতর্ক, সেই বেশরম গেরুয়া পোশাকে রিল ভিডিয়ো বানিয়ে ফের বিতর্ক উস্কে দিয়েছেন উরফি।
নির্লজ্জ পোশাকে উরফিকে দেখে মাঝেমধ্যেই ক্ষোভ উগরে দেন নেটদুনিয়ার বাসিন্দারা। তবে উরফির প্রশংসকের সংখ্যাও কম নয়। সদ্যই হানি সিং উরফির প্রশংসা করে বলেছেন, ‘ওই বাচ্চাটার থেকে সবার কিছু শেখা উচিত’। বিগ বস ওটিটি থেকে লাইমলাইটে আসা অভিনেত্রী সোশ্যাল মিডিয়ায় রাজত্ব করেছেন ২০২২ জুড়ে, নতুন বছরেও সেই ট্রেন্ড বজায় রেখেছেন উরফি।
For all the latest entertainment News Click Here
