পন্ত গর্ত এড়াতে চেষ্টা করেছিলেন- এমনটাই নাকি DDCA কর্তাকে জানিয়েছেন তারকা কিপার
ভারতের উইকেটরক্ষক ঋষভ পন্ত, যিনি শুক্রবার ভোরে হরিদ্বারে গাড়ি দুর্ঘটনার কবলে পড়েছিলেন, তিনি এখন দেরাদুনের ম্যাক্স হাসপাতালে আইসিইউ-তে ভর্তি রয়েছেন। দিল্লি এবং জেলা ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের ডিরেক্টর শ্যাম শর্মা শনিবার হাসপাতালে পন্তের সঙ্গে দেখা করেন।
তিনি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, ‘পন্ত স্থিতিশীল হয়ে উঠেছেন এবং আগের চেয়ে সুস্থ হয়ে উঠেছেন। বিসিসিআই চিকিৎসকেরা এই হাসপাতালের চিকিৎসকদের সঙ্গে সব সময়ে যোগাযোগ রাখছেন। বিসিসিআই ওঁকে সর্বোত্তম চিকিৎসার জন্য কোথাও স্থানান্তর করতে হবে কিনা, সেই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে। পন্ত আমাকে বলেছিলেন যে, দুর্ঘটনার সময় তিনি একটি গর্ত এড়াতে চেষ্টা করেছিলেন।’
আরও পড়ুন: ICU-তে কী পরিস্থিতিতে রয়েছেন পন্ত? জানালেন উত্তরাখণ্ডের খানপুরের বিধায়ক
উত্তরাখণ্ড পুলিশ শনিবার বলেছে যে, পন্তের গাড়ি নাকি দ্রুত গতিতে ছিল না। এবং তিনি মদ্যপও ছিলেন না। তবে ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছে, গাড়িটি বেশ জোরে চলছিল এবং দ্রুত গতির গাড়িটি ডিভাইডারে সজোরে এসে ধাক্কা মারে এবং তার পরে রাস্তার অন্য প্রান্তে ছিটকে গিয়ে আগুন জ্বলে যায়।
হরিদ্বারের সিনিয়র সুপারিনটেনডেন্ট অফ পুলিশ (এসএসপি), অজয় সিং বলেছেন, ‘আমরা উত্তরপ্রদেশ সীমান্ত থেকে নরসানের দুর্ঘটনাস্থল পর্যন্ত আট থেকে দশটি স্পিড ক্যামেরা পরীক্ষা করেছি, ক্রিকেটারের গাড়িটি গতিসীমা অতিক্রম করেনি, এবং সেই জাতীয় সড়কে ঘন্টায় ৮০ কিলোমিটার ছিল।’ তবে সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছে, ডিভাইডারে সজোরে ধাক্কা খেয়ে গাড়িটি প্রচণ্ড গতিতে রাস্তার অন্য দিকে চলে গিয়ে, তাতে আগুন ধরে যায়। তবে অজয় সিং-এর দাবি, ‘আমাদের প্রযুক্তিগত দল দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। আমরা এমন কিছু পাইনি, যাতে বলতে পারি, ক্রিকেটারের গাড়ির গতি বেশি ছিল।’
আরও পড়ুন: BCCI-এ ভক্তদের ফোনের সুনামি,মলদ্বীপ থেকে পন্তের চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বললেন রোহিত
এসএসপি আরও যোগ করেছেন, ‘যদি তিনি মাতাল হতেন, তবে কী ভাবে তিনি দিল্লি থেকে ২০০ কিলোমিটার গাড়ি চালিয়ে এত দীর্ঘ দূরত্বে কোনও দুর্ঘটনার মুখোমুখি হতেন না? যে চিকিৎসক রুরকি হাসপাতালে তাঁর প্রাথমিক চিকিৎসা করেছিলেন, তিনিও জানিয়েছেন যে, ঋষভ পন্ত সম্পূর্ণ স্বাভাবিক ছিলেন। সে কারণেই তিনি সফল ভাবে গাড়ি থেকে বের হতে পেরেছিলেন। মাতাল হলে গাড়ি থেকে নামতে পারতেন না।’
হরিদ্বারের পুলিশ সুপার (গ্রামীণ) স্বপ্ন কিশোর সিং বলেছেন, দুর্ঘটনার পরে পুলিশের কাছে একটি প্রাথমিক বিবৃতিতে পন্ত বলেছিলেন যে, সব কিছু কী ভাবে ঘটেছিল, সেটা তাঁর ঠিক মনে নেই। ক্রিকেটার তাঁর মাকে সারপ্রাইজ দিতে রুরকিতে তাঁর নিজের শহরে আসছিলেন যখন ম্যাঙ্গালোর থানার অন্তর্গত নরসানের কাছে দুর্ঘটনার কবলে পড়েন তিনি।
For all the latest Sports News Click Here