নেশার কবলে পড়ে শেষ হয়ে যাচ্ছিলেন ‘ফ্রেন্ডস’-এর চ্যান্ডলার! দু’মাস ছিলেন কোমায়
যাঁরা ‘ফ্রেন্ডস’ সিরিজটি দেখেছেন, চ্যান্ডলার বিং সম্পর্কে নতুন করে তাঁদের কিছু বলে দিতে হয় না। নয় দশকের এই আমেরিকান সিটকম (সিচ্যুয়েশনাল কমেডি) দর্শককে হাসিয়েছে, কাঁদিয়েছে, মন ভালো করিয়েছে। এই সিরিজে মুখ্য ছয় চরিত্রের মধ্যে অন্যতম চ্যান্ডলার। টানা দশ বছর সেই চরিত্রে অভিনয় জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিলেন অভিনেতা ম্যাথিউ পেরি। তাঁর রসবোধ, বুদ্ধিদীপ্ত সংলাপে আজও মুগ্ধ অনুরাগীরা। কিন্তু জানেন কি, এক সময়ে নেশার কবলে পড়ে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ছিলেন অভিনেতা? আত্মজীবনী ‘ফ্রেন্ডস, লাভার্স অ্যান্ড দ্য বিগ টেরিবল থিং’-এ জীবনের সেই অন্ধকার অধ্যায়ের কথা তুলে ধরেছেন তিনি।
বেশ কয়েক বছর আগের কথা। ম্যাথিউ তখন ৪৯। নেশার কবলে পড়ে তিলে তিলে শেষ হয়ে যাচ্ছিলেন অভিনেতা। বইয়ে তিনি লেখেন, ‘চিকিৎসকরা আমার পরিবারকে বলেছিলেন আমার বাঁচার আশা দু’শতাংশ।’ অতিরিক্ত মাত্রায় ওপিওয়েড নিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন ম্যাথিউ। গ্যাস্ট্রোলিনটেস্টিনাল পারফোরেশন নামে এক জটিল রোগের সঙ্গে লড়তে হয়েছিল তাঁকে। এই রোগের জন্য ম্যাথিউয়ের অন্ত্রও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। দু’মাস কোমায় ছিলেন অভিনেতা। পাঁচ মাস ধরে হাসপাতালে চিকিৎসা চলেছিল তাঁর।
নয়ের দশকে হলিউডের অন্যতম সফল অভিনেতা ম্যাথিউ। মাত্র ২৪-এই মাদকাসক্ত হয়ে পড়েন অভিনেতা। এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন, ‘প্রথম দিকে এই আসক্তি আমি সামলে নিতে পারছিলাম। কিন্তু ৩৪-এ পৌঁছেই অনেক ধরনের সমস্যায় জড়িয়ে পড়ি।’ নেশার সঙ্গে লড়াই করার জন্য এক সময়ে দিনে ৫৫টি পেইন কিলার খেতে হয়েছে অভিনেতাকে। তাঁর ওজন কমে দাঁড়িয়েছিল ১২৮ পাউন্ডে। কিন্তু তার পরেও ঘুরে দাঁড়ান ‘চ্যান্ডলার’। একটু একটু করে নিজেকে স্বাভাবিক ছন্দে ফিরিয়ে আনেন তিনি। সেই গল্পই অভিনেতা তুলে ধরেছেন তাঁর আত্মজীবনীর পাতায়।
For all the latest entertainment News Click Here