নীলের শাশুড়িষষ্ঠী! নিজের হাতে কী রেঁধে খাওয়ালেন তৃণার মাকে
জামাইষষ্ঠীতে মোটামুটি এতক্ষণে সবাই শ্বশুরবাড়ি পৌঁছে গিয়েছেন মিষ্টির হাঁড়ি আর উপহার হাতে। শাশুড়িরাও বরণের ডালা, বাহারি খাবার রেঁধে তৈরি। এই দিনটা কেবলই জামাই-শাশুড়ির। সঙ্গে অবশ্য ফাও হিসেবে মেয়ে আর মেয়ের বাবাও থাকেন! সে যাক গে, এমন দিনে মিষ্টি প্যাকেট নিয়ে একাই শ্বশুরবাড়ি হাজির হয়েছেন অভিনেতা নীল ভট্টাচার্য।
নীল ভট্টাচার্যকে এদিন একদম অন্যরূপে, অন্য মেজাজে দেখা গেল। তিনি এদিন নিজে শাশুড়িকে রান্না করে খাওয়ান। হ্যাঁ!
বাংলা মিডিয়াম খ্যাত অভিনেতা এদিন একটি রিল পোস্ট করেন সেখানে দেখা যায় তিনি দুহাতে মিষ্টির প্যাকেট নিয়ে শ্বশুরবাড়ি গিয়েছেন। তাঁর শাশুড়ি তাঁকে বরণ করে ঘরে আনেন। কিন্তু শাশুড়িকে তাঁর মঙ্গল কামনায় ধাগা বাঁধতে দেওয়ার বদলে অভিনেতা নিজেই তাঁর হাতে ধাগা বেঁধে দেন। তারপর তিনি জানিয়েও দেন, ‘আজ আমি মাটন রান্না করব।’ যেমন বলা তেমনই কাজ!
শাশুড়িকে বসিয়ে ঝপাঝপ গিয়ে কোমর বেঁধে রান্না শুরু করে দেন তৃণার বেটার হাফ। নিজেই নিজের রান্নার গন্ধে মোহিত হয়ে যান। তারপর সেই খাবার বাটিতে করে নিয়ে এসে শাশুড়িকে খাওয়ান। আসলে এত বছর তো জামাইদের শাশুড়িরা কেয়ার করে এসেছে, এবার নাহয় খেলা বদলে যাক! সেই জন্য এই পরিকল্পনা। তবে এটা আদতে হইচই এবং একটি রান্নার মশলার কোম্পানির যৌথ উদ্যোগ যার মাধ্যমে একটা অন্য বার্তা দিতে চাওয়া হয়েছে এই সমাজকে।
বাস্তবে যদি জামাইষষ্ঠীর আগের দিনেই এই বিশেষ পর্ব সেরে ফেলেছেন নীল! বুধবার রাতেই তাঁকে তাঁর শাশুড়ি একাধিক পদ রেঁধে খাইয়েছেন। সেখানে কী ছিল না! পোলাও, বেগুনি, মাটন, চিংড়ি, দই, নানা রকমের মিষ্টি, আম, আমের চাটনি, স্যালাড ইত্যাদি। আর এই সবই তাঁরা সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাগ করে নিয়েছেন।
অভিনেত্রী বৃহস্পতিবার বন্ধুদের সঙ্গে বিদেশে বেড়াতে যাচ্ছেন। সেই কারণেই একদিন আগেই তাঁরা এই উৎসব সেরে নেন। অভিনেতা এদিন নতুন পাঞ্জাবি পরে হাজির হন জামাইষষ্ঠী পালন করতে। তাঁর শাশুড়িও তাঁকে সমাদরে সমস্ত নিয়ম পালন করে নিজের হাতে এদিন মিষ্টি খাইয়ে দেন।
For all the latest entertainment News Click Here