নিলামে নাইটদের হাল দেখে দুশ্চিন্তায় পড়েছিলেন KKR-র লোকজনও, স্বীকার বেঙ্কি মাইসো
নিলামের কলকাতা নাইট রাইডার্সের (কেকেআর) কৌশলে সমর্থকরা রীতিমতো দুশ্চিন্তায় পড়ে গিয়েছিলেন। তবে শুধু তাঁরা নয়, নাইট কর্তৃপক্ষের অভ্যন্তরে লোকজনও চঞ্চল হয়ে উঠেছিলেন। তাঁরাও পড়ে গিয়েছিলেন দুশ্চিন্তায়। এমনটাই জানালেন কেকেআরের সিইও বেঙ্কি মাইসোর।
শনিবার আইপিএলের মেগা নিলামের শুরুতেই মার্কি খেলোয়াড়দের মধ্যে দু’জনকে নেয় কেকেআর। প্যাট কামিন্সের জন্য ৭.২৫ কোটি টাকা খরচ হয়। শ্রেয়স আইয়ারের জন্য বেরিয়ে যায় ১২.২৫ কোটি টাকা। তার জেরে কেকেআরের উপর চাপ বেড়ে যায়। কারণ মাত্র ৪৮ কোটি টাকার পুঁজি নিয়ে নিলামে গিয়েছিলেন নাইট কর্তারা। ক্রমশ সেই চাপ বাড়তে থাকে। পরবর্তী সময় সেরকম কোনও খেলোয়াড়কে নিতে পারেনি কেকেআর। এমনই অবস্থা হয়েছিল যে সমর্থকদের একাংশ দুশ্চিন্তায় পড়ে গিয়েছিলেন, আদৌও প্রথম একাদশ তৈরির মতো ভালো মানের খেলোয়াড় মিলবে তো?
সেই উদ্বেগের বিষয়ে স্বীকার করে নেন কেকেআরের সিইও। নিলামের পরে কেকেআরের ফেসবুক পেজে লাইভে তিনি বলেন, ‘আমি আগেও বলেছি, নিলামও হল একটা ম্যারাথন। প্রায় ৬০০ খেলোয়াড় থাকেন। সেটাও কাটছাঁটের পর। তাই প্রচুর কথাবার্তা চলতে থাকে। আপনি ধৈর্য ধরে থাকেন, নিলামের পরের দিকে যে খেলোয়াড়রা আসছেন, তাঁদের দক্ষতার বিষয়ে অবহিত থাকেন, তাহলে বাড়তি থাকতে হয়। এটা আমার চতুর্থ বড় নিলাম। এবারের নিলাম আলাদা ছিল। কারণ এবার ‘রাইট টু ম্যাচ কার্ড’ ছিল না। যখন ‘রাইট টু ম্যাচ কার্ড থাকে, তখন অন্যরকমভাবে পরিকল্পনা করতে হয়। বিডিংয়ে অংশগ্রহণ না করেও আপনি যদি সংশ্লিষ্ট খেলোয়াড়কে দলে ফিরিয়ে নিতে চান, তাহলে পারবেন। সেক্ষেত্রে আমি নিশ্চিত থাকেন। কিন্তু এবারে নিলাম ফ্রি ফর অল (যে কেউ বিডিংয়ের মাধ্যমে যে কোনও খেলোয়াড়কে নিতে পারবেন) ছিল। সবাই বিড করতে পারবে। তাই পুরো বিষয়টির কাঠামো পুরো পালটে গিয়েছে। আচমকা সবাই দর হাঁকছে। আমাদের দর হাঁকতে হচ্ছে। সেই বিডিং জেতার চেষ্টা করতে হচ্ছে।
কেকেআরের সিইও আরও বলেন, ‘নিলামের শুরুটা খুব ভালো হয়েছিল আমাদের। সেটাই আমাদের পরিকল্পনা ছিল। প্রথম সেশনে কোন কোন খেলোয়াড়দের নেওয়া হবে, তা প্রত্যেকেই আগে থেকে ঠিক করে রাখেন। প্রথম সেশনে আমরা তিনজনকে দলে দিতে পেরেছি। কিন্তু তারপর সকলে কিছুটা প্যানিক করতে শুরু করেন। আমরা কাউকে পায়নি। দাম বেড়ে যাচ্ছে।’ সঙ্গে তিনি বলেন, ‘বাইরে থেকে যাঁরা দেখছিলেন, এমনকী কেকেআর কর্তপক্ষের লোকজনও চঞ্চল হয়ে উঠছিলেন। আমরা ওই খেলোয়াড়ের বিডিংয়ে হেরে গেলাম। (আমরা আশ্বস্ত করছিলাম যে) হালকাভাবে নাও। ’
For all the latest Sports News Click Here