নিরাশ করলেন তিলক, ব্রাত্য মায়াঙ্ক, হনুমার ব্যাটেই দলীপের ফাইনালে দক্ষিণাঞ্চল
শনিবার দলীপ ট্রফির ফাইনালে ওঠাটা দক্ষিণাঞ্চলের জন্য শুধুমাত্র সময়ের অপেক্ষা ছিল। শেষ পর্যন্ত তারা উত্তরাঞ্চলকে ২ উইকেটে হারিয়ে ফাইনালে পৌঁছে গেল। মাঝে বৃষ্টি বাধ সেধেছিল। খেলা ভেস্তে গেলে কপালে দুঃখ ছিল দক্ষিণাঞ্চলেরই। কারণ ম্যাচ ড্র হলে, প্রথম ইনিংসে এগিয়ে থাকার সুবাদে ফাইনালে চলে যেত উত্তরাঞ্চল। তবে সে রকম কোনও কিছু ঘটেনি। চা-বিরতির পর বৃষ্টি থামলে খেলাও শুরু হয়। এবং উত্তরাঞ্চলকে হারিয়েই ফাইনালে পৌঁছয় দক্ষিণাঞ্চল। প্রথম ইনিংসে পিছিয়ে থাকার পরেও, নিঃসন্দেহে এই জয় বড় প্রাপ্তি।
বল হাতে দক্ষিণাঞ্চলের বিজয়কুমারের দাপটের সঙ্গে, জাতীয় দলে ব্রাত্যের তালিকায় থাকা হনুমা বিহারী এবং মায়াঙ্ক আগরওয়ালের ব্যাটই জয় এনে দিল দক্ষিণাঞ্চলকে। সে অর্থে ম্যাচের চতুর্থ ইনিংসে নিরাশই করলেন সদ্য ভারতের টি-টোয়েন্টি দলে সুযোগ পাওয়া তিলক বর্মা। ওয়াশিংটন সুন্দরও এদিন ব্যর্থ হন। মায়াঙ্কের ৫৭ বলে ৫৪ রানের ইনিংস ভিত গড়ে দিয়েছিল দক্ষিণাঞ্চলের। তাঁর ইনিংসে ছিল ৭টি চার। হনুমা বিহারী নিজের খোলস ছেড়ে বের হয়ে ৮টি চারের সাহায্যে ৪২ বলে ৪৩ রানের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলেন। ২৯ বলে ৩৪ করেন রিকি ভুঁইয়া। তিলক বর্মা শুরুটা খারাপ করেননি। কিন্তু দলের প্রয়োজনের সময়ে ১৯ বলে ২৫ করে কার্যত উইকেট ছুঁড়ে দিয়ে সাজঘরে ফেরেন তিনি। ওয়াশিংটন সুন্দর ৫ বলে ২ করে আউট হন।
আরও পড়ুন: 2023 ODI WC-এ পাকিস্তান অংশ নেবে কিনা ঠিক করতে, কমিটি গঠন করলেন পাক প্রধানমন্ত্রী
তবে আটে নেমে শেষ পর্যন্ত টিকে থেকে দলের জয় নিশ্চিত করেন সাই সুন্দর। ১১ বলে অপরাজিত ১৫ রানের লড়াকু ইনিংস খেলেন তিনি। বৃষ্টি বিঘ্নিত ম্যাচে শেষ পর্যন্ত ২ উইকেটে জয় ছিনিয়ে নিয়ে ফাইনালে পৌঁছে গেল দক্ষিণাঞ্চল।
ম্যাচের সংক্ষিপ্ত রেজাল্ট:
টস- চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে উত্তরাঞ্চলকে ব্যাট করতে পাঠায় দক্ষিণাঞ্চল।
প্রথম ইনিংস- প্রভসিমরন সিং-এর ৪৯, অঙ্কিত কুমারের ৩৩, হর্ষিত রানার ৩১, নিশান্ত সিন্ধুর ২৭, বৈভব আরোরার ২৩ রানের হাত ধরে কোনও মতে ১৯৮ করে উত্তরাঞ্চল। দক্ষিণাঞ্চলের হয়ে বিদ্বাথ কাভেরাপ্পা একাই ৫ উইকেট নেন। ২ উইকেট নেন শশীকান্ত।
আরও পড়ুন: এক ওভারে দু’টি বাউন্সার, ইমপ্যাক্ট রুল, এবার বড় চমক মুস্তাক আলি ট্রফিতে
দ্বিতীয় ইনিংস- জবাবে দক্ষিণাঞ্চল ব্যাট করতে নেমে ১৯৫ রানে অলআউট হয়ে যায়। ৩ রানের লিড পায় উত্তরাঞ্চল। মায়াঙ্ক ৭৬ রানের দুরন্ত একটি ইনিংস খেলেন। তিলক বর্মা নির্ভরযোগ্য ৪৬ রান করেন। সাইকিশোর করেন ২১ রান। উত্তরাঞ্চলের হয়ে ৩টি করে উইকেট নেন বৈভব আরোরা এবং জয়ন্ত যাদব। ২টি করে উইকেট নিয়েছেন বলতেজ সিং এবং হর্ষিত রানা।
তৃতীয় ইনিংস- নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ফের সফল হন প্রভসিমরন। তিনি ৬৩ রান করেন। ৩৮ করেন হর্ষিত রানা। এ ছাড়া অঙ্কিত কালসী এবং অঙ্কিত কুমার যথাক্রমে ২৯ এবং ২৬ রান করেন। দ্বিতীয় ইনিংসে ২১১ রান করে উত্তরাঞ্চল। তিন রানে এগিয়ে থাকার সুবাদে তাদের স্কোর দাঁড়ায় ২১৪ রান। দক্ষিণাঞ্চলের বিজয়কুমার বৈশক একাই ৫ উইকেট তুলে নেন। ৩ উইকেট নেন সাই কিশোর। ২ উইকেট নেন কাভেরাপ্পা।
চতুর্থ ইনিংস: রান তাড়া করতে নেমে চতুর্থ ইনিংসে ৮ উইকেট হারিয়ে ২১৯ রান করে ফেলে দক্ষিণাঞ্চল। ২ রানে জয় পেয়ে তারা ফাইনালে ওঠে। উত্তরাঞ্চের হর্ষিত রানারা বল হাতে লড়াকু পারফরম্যান্স করলেও, শেষ পর্যন্ত জেতাতে পারলেন না দলকে। রানা নিয়েছেন ৩ উইকেট। ২টি করে উইকেট নিয়েছেন বলতেজ এবং বৈভব। ফাইনালে পঞ্চিমাঞ্চলের মুখোমুখি হবে দক্ষিণাঞ্চল।
For all the latest Sports News Click Here