‘নিতম্ব-স্তন দেখিয়ে ভারতীয় ছবি চলে’ মন্তব্য, ‘জি লে জারা’ ছাড়লেন প্রিয়াঙ্কা?
প্রিয়াঙ্কা চোপড়া বর্তমানে ঘাঁটি গড়েছেন হলিউডেই। কাজ করছেন চুটিয়ে সেখানেই। সঙ্গে মার্কিন মুলুকে স্বামী নিক ও মেয়ে মালতি মেরি-কে নিয়ে ভরপুর সংসার তো রয়েইছে। চলতি বছরেই বেশ কিছু সাক্ষাৎকারে ভারতের হিন্দি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করতে দেখা গিয়েছে প্রিয়াঙ্কাকে। কখনও তাঁকে ‘একঘরে’ করেছিল বলিউড বলেছেন, তো কখনও তাঁর দাবি, এখানকার সিনেমার নির্মাতারা তাঁর স্তন থেকে শুরু করে গায়ের রং নিয়ে করেছে হেনস্থা।
এসব নিয়ে দেশে কম কটাক্ষের মুখে পড়ছেন না অভিনেত্রী। তাঁর করা ‘ভারতীয় ছবি মানেই তো শুধু নিতম্ব আর স্তন প্রদর্শন’ মন্তব্য কয়েকদিন আগেই ভাইরাল হয়েছিল নেটপাড়ায়। ধেয়ে এসেছিল নানা কটু কথা ভারতীয় দর্শকদের থেকেই। এমনকী নিজের খুড়তুতো বোন পরিণীতির বিয়েতে না আসার কারণেও, সমালোচনায় তিনি। তার মাঝে এল আরও এক খারাপ খবর। তিনি নাকি সরে দাঁড়িয়েছেন ‘জি লে জারা’ ছবিটি থেকে!
প্রিয়াঙ্কা চোপড়ার বলিউডে কামব্যাক করার কথা চলছিল যে ছবি দিয়ে, তা হল ফারহান আখতারের পরিচালনায় ‘জি লে জারা’। এই ছবিতে আরও থাকার কথা ছিল আলিয়া ভাট ও ক্যাটরিনা কাইফের। সেই ২০০১ সালে ঘোষণা হয়ে গিয়েছিল ছবির। কিন্তু এখনও না শুরু হয়েছে প্রি প্রোডাকশনের কাজ, না ফারহান বা প্রিয়াঙ্কা-আলিয়া-ক্যাটরিনারা এই সিনেমার ব্যাপারে কিছু আপডেট জানিয়েছেন। এখন শোনা যাচ্ছে, কাস্টে একটা বড়সড় পরিবর্তন হবে। তাই নাকি এত দেরি হচ্ছে ছবির কাজ শুরু করতে।
তবে সম্প্রতি ফারহান তাঁর ছবি পিছিয়ে যাওয়া নিয়ে কথা বলেন। তাঁকে বলতে শোনা যায়, ‘আমাদের তারিখ নিয়ে সমস্যা হচ্ছে। বিশেষ করে হলিউডের ধর্মঘট যা ঘটল তা প্রিয়াঙ্কার তারিখগুলিকে সব ঘেঁটে দিয়েছে। এবং সব মিলিয়ে একটা গোলমালের মধ্যে ফেলেছে। আমি বিশ্বাস করতে শুরু করেছি, ছবির নিজস্ব একটা ভাগ্য আছে। তাই যখন হবে, তখন দেখা যাবে।’
কিন্তু বলিউডের অন্দরের খবর বলছে, কারণ মোটেও তা নয়! ‘সত্যিটা হল প্রিয়াঙ্কার স্ক্রিপ্ট পছন্দ হয়নি আর ও না করে দিয়েছে। তাঁর, বোন পরিণীতি চোপড়ার বিয়েতে ভারতে আসার কথা ছিল এবং একই সঙ্গে ছবির চুক্তিতে সই করার কথা ছিল। কিন্তু সৃজনশীল মতভেদের কারণে কথা আর এগোয়নি।’, জানিয়েছে এক সূত্র।
‘যখন একটি ফিল্ম প্রাথমিক পরিকল্পনা অনুযায়ী চলতে ব্যর্থ হয়, তখন পরিচালকের সময় লাগে একটি নতুন উপায় কল্পনা করতে। অনেক সময় তিনি সেই গল্পটিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চান কিনা তা সিদ্ধান্ত নিতেও সময় লাগে। যেভাবেই হোক এই সিনেমা হতে সময় লাগবে। ইতিমধ্যেই অনেক দেরি হয়ে গিয়েছে। ছবিটি ফ্লোরে যেতে হয়তো আরও দুই বছর সময় লেগে যাবে। নির্মাতাদের নিশ্চিত করতে হবে আদৌ গল্পটি সেই সময়ের জন্য প্রাসঙ্গিক থাকবে কি না!’, জানান সেই সূত্র।
For all the latest entertainment News Click Here