নিজে দুর্দান্ত ৯৪ করলেও, রশিদের ইনিংসই ম্যাচ ঘুরিয়েছে বলে মনে করছেন মিলার
১০ বছর আগে আইপিএলে নিজের অভিষেক ঘটিয়েছিলেন ডেভিড মিলার। প্রথম কয়েক বছরে কিংস ইলেভেন পঞ্জাবের ( বর্তমানে পঞ্জাব কিংস) হয়ে আগুন ঝরালেও, গত কয়েক বছরে আইপিএলে মিলারের পারফরম্যান্স খুব একটা আহামরি নয়। তবে চেন্নাই সুপার কিংসের বিরুদ্ধে গুজরাট টাইটানসের বিরুদ্ধে আবার দেখা মিলল সেই পুরোনো ‘কিলার মিলার’র।
এক সময় ধুঁকতে থাকা দলকে ৫১ বলে অপরাজিত ৯৪ করে ম্যাচ জেতালেন মিলার। অনবদ্য ইনিংসের সুবাদে ম্যাচ সেরাও হন দক্ষিণ আফ্রিকানই। ম্যাচ শেষে নিজেই ২০১৩ সালে আরসিবির বিরুদ্ধে ৩৮ বলে করা অপরাজিত ১০১ রানের ইনিংসের তুলনা টেনে স্মৃতির সাগরে ডুব দিলেন মিলার। তিনি বলেন, ‘এই ইনিংসটা পুরনো স্মৃতি মনে করিয়ে দিল। আমি বল দেখে, প্রতিটি বলে মারার চেষ্টা করছিলাম। শুরু থেকেই নিজের স্বাভাবিক ইনিংস খেলার লক্ষ্যে ছিলাম। পাওয়ার প্লেতে ব্যাটিং করতে আসাটাও মদত করেছে। নতুন, তুলনামূলক শক্ত বলের বিরুদ্ধে খেলার পাশাপাশি রান করারও যথেষ্ট সময় ছিল আমার কাছে।’
১৭০ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই ১৬ রানে তিন উইকেট হারিয়ে মহাবিপদে পড়ে যায় গুজরাট। ৮৭ রানে পাঁচ উইকেট হারানোর পর মিলারের ৯৪ ও রশিদ খানের ২১ বলে ৪০ রানের সুবাদেই সিএসকেকে মাত দেয় গুজরাট। এক সময় যেখানে মনে হচ্ছিল গুজরাট হয়তো আর জিততে পারবে না, সেখানেই ক্রিস জর্ডনের বিরুদ্ধে রশিদ খানের ২৫ রানের ওভার খেলা পুরোপুরি ঘুরিয়ে দেয়। ওই ওভারই ম্যাচের গেমচেঞ্জার বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিচ্ছেন মিলার।
‘রশিদের ব্যাটিং চাপ অনেকটাই হালকা করে দিয়েছিল। ওটা একটা অসাধারণ ইনিংস ছিল। ওই ওভারটিই (জর্ডনের বিরুদ্ধে ২৫ রানের ওভার) গেমচেঞ্জার ছিল। প্রথম দুই ম্যাচেই আমরা হাড্ডাহাড্ডি লড়াই করে ম্যাচ জিতি। এটাও বেশ ক্লোজ ম্যাচ ছিল। আমরা হয়তো ছয়টির মধ্যে চারটি ম্যাচ হারতে পারতাম, তবে তার পরিবর্তে ছয়টির মধ্যে পাঁচটিতে জিতেছি। আশা করছি ব্যাট হাতে আমার এই ফর্ম অব্যাহত থাকবে।’ আশাবাদী মিলার। পাঁচ ম্যাচ জিতে লিগ শীর্ষে নিজেদের দখল মজবুত করল গুজরাট টাইটানস।
For all the latest Sports News Click Here